একটু খানি জ্ঞানের কথা কই
এই লাইনের শেষে ধান, ভান, গান
এগুলা ছন্দ না, এগুলা হল অন্তমিল
ছন্দ অনেক গভীরের বিষয়
লাইনের প্রতিটা শব্দের ওজনের হিসাব নেয় ছন্দ
লাইনের মধ্যে প্রতিটা শব্দে একটা ব্যালেন্স রাখতে হয়
অনেকটা তবলার বোলের মত
ধরেন, ২-৩-৪-৪
কিংবা - ৪-৪-৬ (এইটা সনেটের ছন্দ)
কিংবা কবি চাইলে যে কোন রকম ছন্দ গড়ে নিতে পারেন
তবে পুরো কবিতা, কিংবা বেশির ভাগটা ঐ একই ছন্দের কাঠামোতে গড়ে তুলতে হয়
যেমনঃ
বাড়িতে কবে যাবেন - এটাতে ছন্দের হানি হয়
তার চেয়ে
কবে যাবেন বাড়িতে
বা
বাড়িতে যাবেন কবে
অনেকটা ছন্দোবদ্ধ।
আবার কি হয়, এক বার ছন্দের উপরে দখল চলে এলে তখন কবিরা সেই ছন্দ ভাঙ্গার মধ্যেও একটা দক্ষতা দেখায়
সেই ভাঙ্গার মধ্যেও একটা প্যাটার্ণ থাকে
ভালো ভালো কবিরা, একবার প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলে, আবার ছন্দ ভাঙ্গার খেলাও খেলেন
সেই ছন্দ ভাঙ্গতেও শক্তি লাগে
যাই হোক, ছন্দের হিসাব রেখে কবিতা লিখতে গেলে অনেকেরই কলম শুকিয়ে যাবে
আপনাদের অন্তমিলেই আমরা কাব্য চর্চার যে অনাবিল সুখ পাচ্ছি, তার ধারা বহমান থাকুক
আপনার আপাতত অন্তমিল নিয়েই সুকুমার কাব্য চর্চা চালিয়ে যান
ছন্দের ব্যাপারটা মাথায় নিতে গেলে অন্তমিলেও হাত চলবে না
ছন্দের হিসাবটা না হয় পত্রিকায় যারা কবিতা প্রকাশ করে, তাদের জন্যই তুলে রাখি।
ওরেববাস, বিশাল ব্যাপার...
ঠিক, অন্তমিল নিয়েই কাব্য চর্চা চলুক...