মামা, লেখালেখি কর। কিছু দেশের অবস্থা তোমারে দেই।
আমরা কিন্তু উচ্চ মধ্যবিত্ত। বাবা ভাই ডাক্তার। সম্পদ ছিলো কিছুটা। ইনকাম মোটামুটি ভালই। সব মিলাইয়া ১.৫ লাখ প্রতি মাসে। কিন্তু গত এক বছর ধরে অবস্থা খারাপ এর দিকে যাচ্ছে। জিনিস পত্র দাম নিয়ন্ত্রণ হিন হয়ে যাচ্ছে। কর্পোরেট দের অবস্থাও খুব এক্টা সুবিধার না।
লাস্ট পেরেক এই কভিড ১৯। গত দুই মাসে সবাইকে সহযোগিতা করতে করতে আমরাই এখন হিসাবের বাহিরে। আমার পকেট আজকে শূন্যে। আম্মার কাছে আছে ২-৩ হাজার টাকা। ব্যাংক এ কিছু নাই। আর কিছু দিন এমন চল্লে বাবা বেতন পাবে শুধু মাত্র সাম্নে মাসে। বড় ভাই আর বেতন পাবে না। ছাটাইটো হইতে পারে।
নিকট আত্তিয়দের অবস্থা বলি। মামাদের একজন গহনা বেচা শুরু করেছে। আরেকজন গত মাস আর এই মাস কিছু টাকা পাঠাইছি সেই দিয়া বাজার করে খাইতেছে। আরেক বোন টাকার অভাবে খালি আলু দিয়ে খাইতেছিলো। অন্য ভাবে খবর পেয়ে টাকা পাঠাইছি বাজার করার জন্য। কারন জামাই বেতন পায় নায় ৩ মাস। দুবাই থাকে। যেকোন সময় দেশে ফিরতে হবে। তার অইর চলবে কেম্নে চিন্তা কর।
প্লেন চলা শুরু করলে বিদেশে কাজ থেকে ফিরত্ব হবে এমন লোন ৩ জন। যারা দেশে ফিরে কিছুই করতে পারবে না
ত্রান দেয়া হচ্ছে এলাকাতে কিন্তু সব 69 স্টাইল এ। শহরে কিছু পাইতেছে কিন্তু গ্রামে সব হাওয়া।
বন্ধু বান্ধব এর অবস্থা আরো খারাপ। সিলেটে যারা একসাথে চলি তারা সবাই এখন ধারে চলতেছে।
কভিড এর কারনে কি এমন হইছে? সঞ্চয় বলে কি কিছুই নাই?
না মামা কভিড এর কারনে এই অবস্থা না।
গত কয়েক বছরে অর্থনৈতিক অবস্থা এমিন বাজে ভাবে যাইতেছিলো যে কেও সঞ্চর করে রাখতে পারে নাই। করলেও খুব অল্প মাত্র।
বিশাল কলসিতে ওয়াসার পানির মত কিছু কিছু টাকা আসে।সঞ্চয় হয়। আবার ফুটা থাকায় কেও আর সঞ্চয় বাড়াইতে পারে না। লাস্ট পেরেক দিছে কভিড ১৯
সেদিন জিগাইছিলা ভালো আছি কি না। না মামা ভালো নাই। খুব অর্থনৈতিক কষ্টে আছি। মুখে হাসি দিয়ে টিকে আছি কিছু দিন। বুঝতেছি এই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারবো না। কারন সাম্নে গ্রীসের অবস্থা হতে যাচ্ছে আমাদের।
গ্রিসের দেওলিয়া হবার ঘটানা এক্টু পড়ে দেইখো। অনেক লেখার কন্টেন্ট পাইবা