What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২০ (9 Viewers)

Status
Not open for further replies.
কি রাজধানী যে কি হয়ে গেলো দ্রুতই 😞
শুধু রাজধানী বলছেন কেন! সারাদেশই তো দেখতে দেখতে বদলে গেল। আগে যশোরে নানাবাড়িতে গেলে গদখালি থে ভ্যানে করে পানিসারায় যাওয়ার সময় মাটির রস্তার ঢেউ খেলানো উচুনিচু যায়গায় এক অন্য রকম অনুভূতি সৃষ্টি হতো। এখন অনেক খুজেও কোথাও মাটির রাস্তা পাওয়া যায়না
 
শুধু রাজধানী বলছেন কেন! সারাদেশই তো দেখতে দেখতে বদলে গেল। আগে যশোরে নানাবাড়িতে গেলে গদখালি থে ভ্যানে করে পানিসারায় যাওয়ার সময় মাটির রস্তার ঢেউ খেলানো উচুনিচু যায়গায় এক অন্য রকম অনুভূতি সৃষ্টি হতো। এখন অনেক খুজেও কোথাও মাটির রাস্তা পাওয়া যায়না
উন্নতির পানে হয়তো এভাবেই ধেয়ে চলেছি 😒
 
পাখি মামাদের বাসায় যখন গিয়েছিলাম তখন সেই স্কুলের পর থেকেই মোবাইলে ইন্সট্রাকশন নিয়ে নিয়ে ডান বাম ডান বাম করতে করতে ওনার বাসার কাছে গিয়ে পৌঁছেছিলাম। তখন যদি পুলিশ প্লাজা থাকতো, তবে মনে হয় এক কথায় নির্দেশ দিয়ে দিতে পারতেন, পুলিশ প্লাজার সামনে চলে যাবার জন্য...
যতদূর মনেপড়ে নির্দেশনা আমি আপনাকে দেইনি। আমি নির্দেশনা দিলে আপনি আরো সহজেই আসতে পারতেন, বেশী ডানে বামে শোনা লাগতোনা
 
আজকের রম্য গল্পঃ মলি পিসির কাম
মলিপিসির গল্পটা অনেককে শুনিয়েছি, কেউ বিশ্বাস করেনি। বিশ্বাস বস্তুটাই পৃথিবী থেকে বেপাত্তা হয়ে গেছে। আপনারাও শুনুন, আদ্যন্ত সত্যি ঘটনা...
মলিপিসি একদিন খুব গরমের মধ্যে আমাকে ফোনে ডেকে পাঠালেন। মলিপিসি একটা স্কুলের হেড মিসট্রেস ছিলেন। খুব কড়া ধাতের মহিলা।
আমরা পারতপক্ষে কেউ মলিপিসির সামনে ঘেঁষতাম না। পড়ার কথার বাইরে কোনও কথা বলতেন না। কিছু একটা বললেই বলতেন, "সঠিক উচ্চারণ করে কথা বল। 'শ' আর 'স' দুটোর উচ্চারণ আলাদা। গুলিয়ে দিচ্ছিস কেন রে?" ইত্যাদি ইত্যাদি।
মলিপিসির এই উচ্চারণ শেখানোর বাতিকের ফলে উনি যেখানে থাকতেন তার আশেপাশে বিশেষত ছোটদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না।
মলিপিসি বিয়ে করেননি। রিটায়ার্ড করে গেছেন বছর কয়েক আগে। এখন মাঝে মাঝেই আমার ডাক পড়ে বাজার থেকে কিছু এনে দেওয়ার জন্য। শুধু আমি নয় আশেপাশের অন্যদের দিয়েও দরকার মতো বাজার করিয়ে নেন মলিপিসি।
আজ আবার কী দরকার এইসব ভাবতে ভাবতে তাঁর ঘরে গেলাম।
মলিপিসি আমাকে সোফায় বসতে বললেন।
তারপর বললেন, "কাম খুব ভালবাসি তুই তো জানিস। সবরকম কামই ভালবাসি তাও জানিস।"
আমার মনে হল সোফাটা দুলে উঠল। এসব কী বলছেন মলিপিসি! কাম! আমি ঘামতে শুরু করলাম। মলিপিসিকে বললাম, "ফ্যানটা ফুলস্পিডে করে দিন না।"
মলিপিসি বললেন, "ফুলস্পিডেই চলছে।"
আমি বললাম, "আমি মানে আ-আমি কী করব?"
মলিপিসি বললেন, "তুই কামের ব্যবস্থা করবি।"
মলিপিসির বিশাল চেহারার দিকে তাকিয়ে আমার বুকের মধ্যে গুড়গুড় করতে লাগল।
কী ঝামেলায় পড়লাম রে বাবা! এখন কী করি! এই চেহারা টপকে পালানোও তো অসম্ভব।
আমি অসহায় ভাবে বললাম, "কিন্তু আমি কেন?"
মলিপিসি গর্জন করে বললেন, "মানে? তুই করবি না তো কে করবে?"
মলিপিসি একা থাকেন। খুব শক্তপোক্ত মহিলা। নিজের সব কাজ নিজেই করেন। এর আগে বাজার থেকে মাঝে-সাঝে এটা-ওটা এনে দিয়েছি। কিন্তু এমন গেরোয় পড়িনি কোনও দিন। মাথাটাই বিগড়ে গেল নাকি রে বাবা!
বললাম, "আমি এখন আসি মলিপিসি।"
মলিপিসি বাজখাঁই গলায় বললেন, "মানে? কামের কী হবে?"
আমি বললাম, "আমাকে ছেড়ে দিন মলিপিসি।"
মলিপিসি বললেন, "শোন কাল তুই ভাল দেখে এক কেজি কাম এনে দিবি। না না দু'কেজি।"
লে হালুয়া! কাম আবার কেজি দরে পাওয়া যায় নাকি!
বললাম, "দু কেজি কাম?"
মলিপিসি হুঙ্কার দিয়ে বললেন, "কী বললি? কাম? মেরে হাড় ভেঙে দেব আর একবার বাজে কথা বললে।"
এ তো মহামুস্কিলে পড়া গেল! বললাম, "আপনিই তো তখন থেকে কাম কাম করছেন!"
এবার মলিপিসি উঠে পড়লেন, "কী বলছিস এসব? কামি কাম বলেছি?"
আমি বললাম, "আজ নির্ঘাত আমার মাথা খারাপ হয়ে যাবে। কামি আবার কী?"
মলিপিসি রেগে আগুন তেলে বেগুন হয়ে বললেন, "কাম-কামি এসব কী শুরু করেছিস তুই? কামার মাথা কিন্তু খুব গরম হয়ে যাচ্ছে বলে দিলাম।"
কামার! কামি! কাম!
হঠাৎ আমার মাথায় বিদ্যুৎচমক খেলে গেল! আমি মোবাইলের রেকর্ডার অন করে বললাম, "আচ্ছা মলিপিসি বলুন তো, অ'য় অজগর আসছে তেড়ে আ'য় আমটি আমি খাবো পেড়ে।"
মলিপিসি জলদগম্ভীর গলায় বলল, "ফাজলামি হচ্ছে? আচ্ছা বলছি শোন, কয় কজগর কাসছে তেড়ে কায় কামটি কামি খাবো পেড়ে।"
আমি রেকর্ডিংটা মলিপিসিকে শুনিয়ে দিলাম। শুনে মলিপিসির মাথায় হাত! জোঁকের মুখে নুন পড়ল যেন! রাগ-ফাগ কোথায় হাওয়া হয়ে গেল!
সারাজীবন অন্যের উচ্চারণের ভুল ধরা মলিপিসি ডুকরে উঠলেন, "কামার তাহলে 'ক' উচ্চারণ হচ্ছে না!"
আমি বললাম, "হ্যাঁ আপনি 'অ' বলতে গেলে 'ক' বলছেন আর 'আ' বলতে গেলে 'কা'।"
অত ব্যক্তিত্বশালী মানুষটা কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, "কী হবে রে তাহলে কামার? কামি কী করব এখন?"
আমি একটু চিন্তা করে বললাম, "আপাতত কাউকে দিয়ে আম আনানোর দরকার নেই।"
মলিপিসি ঘাড় কাৎ করে বলল, "কাচ্ছা তাহলে তুইই কামার জন্য কাম এনে দিস, কেমন?"
আমিই তারপর থেকে আম এনে দিই।
 
আজকের রম্য গল্পঃ মলি পিসির কাম
মলিপিসির গল্পটা অনেককে শুনিয়েছি, কেউ বিশ্বাস করেনি। বিশ্বাস বস্তুটাই পৃথিবী থেকে বেপাত্তা হয়ে গেছে। আপনারাও শুনুন, আদ্যন্ত সত্যি ঘটনা...
মলিপিসি একদিন খুব গরমের মধ্যে আমাকে ফোনে ডেকে পাঠালেন। মলিপিসি একটা স্কুলের হেড মিসট্রেস ছিলেন। খুব কড়া ধাতের মহিলা।
আমরা পারতপক্ষে কেউ মলিপিসির সামনে ঘেঁষতাম না। পড়ার কথার বাইরে কোনও কথা বলতেন না। কিছু একটা বললেই বলতেন, "সঠিক উচ্চারণ করে কথা বল। 'শ' আর 'স' দুটোর উচ্চারণ আলাদা। গুলিয়ে দিচ্ছিস কেন রে?" ইত্যাদি ইত্যাদি।
মলিপিসির এই উচ্চারণ শেখানোর বাতিকের ফলে উনি যেখানে থাকতেন তার আশেপাশে বিশেষত ছোটদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না।
মলিপিসি বিয়ে করেননি। রিটায়ার্ড করে গেছেন বছর কয়েক আগে। এখন মাঝে মাঝেই আমার ডাক পড়ে বাজার থেকে কিছু এনে দেওয়ার জন্য। শুধু আমি নয় আশেপাশের অন্যদের দিয়েও দরকার মতো বাজার করিয়ে নেন মলিপিসি।
আজ আবার কী দরকার এইসব ভাবতে ভাবতে তাঁর ঘরে গেলাম।
মলিপিসি আমাকে সোফায় বসতে বললেন।
তারপর বললেন, "কাম খুব ভালবাসি তুই তো জানিস। সবরকম কামই ভালবাসি তাও জানিস।"
আমার মনে হল সোফাটা দুলে উঠল। এসব কী বলছেন মলিপিসি! কাম! আমি ঘামতে শুরু করলাম। মলিপিসিকে বললাম, "ফ্যানটা ফুলস্পিডে করে দিন না।"
মলিপিসি বললেন, "ফুলস্পিডেই চলছে।"
আমি বললাম, "আমি মানে আ-আমি কী করব?"
মলিপিসি বললেন, "তুই কামের ব্যবস্থা করবি।"
মলিপিসির বিশাল চেহারার দিকে তাকিয়ে আমার বুকের মধ্যে গুড়গুড় করতে লাগল।
কী ঝামেলায় পড়লাম রে বাবা! এখন কী করি! এই চেহারা টপকে পালানোও তো অসম্ভব।
আমি অসহায় ভাবে বললাম, "কিন্তু আমি কেন?"
মলিপিসি গর্জন করে বললেন, "মানে? তুই করবি না তো কে করবে?"
মলিপিসি একা থাকেন। খুব শক্তপোক্ত মহিলা। নিজের সব কাজ নিজেই করেন। এর আগে বাজার থেকে মাঝে-সাঝে এটা-ওটা এনে দিয়েছি। কিন্তু এমন গেরোয় পড়িনি কোনও দিন। মাথাটাই বিগড়ে গেল নাকি রে বাবা!
বললাম, "আমি এখন আসি মলিপিসি।"
মলিপিসি বাজখাঁই গলায় বললেন, "মানে? কামের কী হবে?"
আমি বললাম, "আমাকে ছেড়ে দিন মলিপিসি।"
মলিপিসি বললেন, "শোন কাল তুই ভাল দেখে এক কেজি কাম এনে দিবি। না না দু'কেজি।"
লে হালুয়া! কাম আবার কেজি দরে পাওয়া যায় নাকি!
বললাম, "দু কেজি কাম?"
মলিপিসি হুঙ্কার দিয়ে বললেন, "কী বললি? কাম? মেরে হাড় ভেঙে দেব আর একবার বাজে কথা বললে।"
এ তো মহামুস্কিলে পড়া গেল! বললাম, "আপনিই তো তখন থেকে কাম কাম করছেন!"
এবার মলিপিসি উঠে পড়লেন, "কী বলছিস এসব? কামি কাম বলেছি?"
আমি বললাম, "আজ নির্ঘাত আমার মাথা খারাপ হয়ে যাবে। কামি আবার কী?"
মলিপিসি রেগে আগুন তেলে বেগুন হয়ে বললেন, "কাম-কামি এসব কী শুরু করেছিস তুই? কামার মাথা কিন্তু খুব গরম হয়ে যাচ্ছে বলে দিলাম।"
কামার! কামি! কাম!
হঠাৎ আমার মাথায় বিদ্যুৎচমক খেলে গেল! আমি মোবাইলের রেকর্ডার অন করে বললাম, "আচ্ছা মলিপিসি বলুন তো, অ'য় অজগর আসছে তেড়ে আ'য় আমটি আমি খাবো পেড়ে।"
মলিপিসি জলদগম্ভীর গলায় বলল, "ফাজলামি হচ্ছে? আচ্ছা বলছি শোন, কয় কজগর কাসছে তেড়ে কায় কামটি কামি খাবো পেড়ে।"
আমি রেকর্ডিংটা মলিপিসিকে শুনিয়ে দিলাম। শুনে মলিপিসির মাথায় হাত! জোঁকের মুখে নুন পড়ল যেন! রাগ-ফাগ কোথায় হাওয়া হয়ে গেল!
সারাজীবন অন্যের উচ্চারণের ভুল ধরা মলিপিসি ডুকরে উঠলেন, "কামার তাহলে 'ক' উচ্চারণ হচ্ছে না!"
আমি বললাম, "হ্যাঁ আপনি 'অ' বলতে গেলে 'ক' বলছেন আর 'আ' বলতে গেলে 'কা'।"
অত ব্যক্তিত্বশালী মানুষটা কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, "কী হবে রে তাহলে কামার? কামি কী করব এখন?"
আমি একটু চিন্তা করে বললাম, "আপাতত কাউকে দিয়ে আম আনানোর দরকার নেই।"
মলিপিসি ঘাড় কাৎ করে বলল, "কাচ্ছা তাহলে তুইই কামার জন্য কাম এনে দিস, কেমন?"
আমিই তারপর থেকে আম এনে দিই।
অর্ধেক পড়ার পর চিন্তা করতেছিলাম, ছোটম মামা রোজার দিনে আড্ডা ঘরে লালবাতি জ্বালাইয়া দিলো ক্যান!!! শেষ করে দেখি আসলে দৃষ্টিতে ভীমরতি ধরেছিল, সবুজ বাতিরেই লাল দেখছি। হা হা হা
 
অর্ধেক পড়ার পর চিন্তা করতেছিলাম, ছোটম মামা রোজার দিনে আড্ডা ঘরে লালবাতি জ্বালাইয়া দিলো ক্যান!!! শেষ করে দেখি আসলে দৃষ্টিতে ভীমরতি ধরেছিল, সবুজ বাতিরেই লাল দেখছি। হা হা হা
ওই মাসি পিসি খালা নামটা শুনলে আবার মনে হয় যে তেমনই কিছু কিনা :ROFLMAO:
 
তথ‌্যম‌ন্ত্রি ব‌লে‌ছেন, খা‌লেদা জিয়া বের হ‌য়ে সব ক‌রোনা ছ‌ড়ি‌য়ে‌ছেন।
এই জন্যই ওনি তথ্য মন্ত্রী...
দেশে তথ্য প্রবাহের যে অবাধ বিচরণ আছে সেটা তো ওনার কথা থেকেই ভালো মতোন অনুধাবন করা যায়...
 
এমন হাস্যকর একেকটা বক্তব্য দেয় আমাদের মন্ত্রীরা। আসুন এদের সুস্থতা কামনা করি।
‌ঠিক তাই, আল্লাহ যেন উনা‌দের হেদা‌য়েত দান ক‌রেন।
 
এই জিনিসটা টিকে যাবে, গন্ডারের বলে কথা।

আমি তো সেটাই বলতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু আর্ন মামা নাকি চামড়া খুলে ফেলতে পারে।
আর সেটা আমাদের গিফট করে যাবে
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top