What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২০ (10 Viewers)

Status
Not open for further replies.
Roaring Fire ছবিটা দেখার সময় খুব ছোট থাকার কারনে আর সবাই মিলে দেখতে গিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলাম।
জি কিছু দৃশ্য তেমনই রয়েছে সেখানে কিন্তু Ninja in the dragons den একদম ফ্রেশ
 
নিশ্চিত কইরা না কওয়ার পরেও তো সারা জীবন ছাঁই উড়াইয়া গেলেন।
এইবার না হয় কূয়োতেই ঝাপ দিলেন !
ছাই তো শেষ করতে দেন আগে 💎
 
আপনাকে ছাড়া উনি ঝাঁপ দিবেন না বলেছেন।
সময়সাপেক্ষ কারণ ছাই এখনো শেষ হয়নাই 😀
 
আজকের সকালটা সবার জয় শুভ হোক।
আশাকরি এখানকার সবাই ভাল আছেন।
আছেন তো, নাকি?
আলহামদুলিল্লাহ !
আল্লাহর মেহেরবানীতে আমি ভাল আছি, মামা !
আপাতদৃস্টিতে ভালো থাকলে কি হবে ? এখন তো আর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া লাগে না !
তাই, সবাই সবার জন্য দোয়া...
 
ইউরোপে এবং হলিউডেও তার ভালোই পদচারণা, এক্ষেত্রে দেখতে পারেন একটা সাইন্স ফিকশন ছবি Sunshine (2007 film) - Wikipedia
দেখেছি, মামা।
ভালো ছবি !
 
সকাল সকাল একখান রম্য দেই কি কন?


রম্য : লকডাউন, আমার বৌ ও বোলতা

দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমাব না পণ করেছি। এই তো আর কদিন পরেই লকডাউন উঠে যাবে। তখন চূড়ান্ত সমস্যায় পড়ব। ঢুলতে ঢুলতে অফিসের টেবিলে মাথা-ফাথা ঠুকে কেলেঙ্কারিয়াস কাণ্ড হবে।
বউ রান্নাঘরে বাসন মাজছে। লকডাউনের দুপুরে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। দূরে কোনো বাড়িতে টিভিতে পুরানো সিরিয়াল চলছে।
হঠাৎ "বাঁচাও বাঁচাও" চিৎকার! বউয়ের গলা না? নির্ঘাত বিপদ হয়েছে কিছু! ভয়ে আমার বুক কেঁপে উঠল।
দৌড়ে রান্নাঘরে গেলাম। দেখলাম বউ দুলে দুলে বাসন মাজছে আর গাইছে, "বাঁচাও কে আছ মরেছি যে প্রেম করে..."
বাব্বা ধড়ে প্রাণ এল!
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললাম, '"বাঁচাও বাঁচাও' বলে চেঁচাচ্ছিলে কেন?"
বউ বাসনে সাবান ঘষতে ঘষতে বলল, "এই গানটার শুরুটা এইরকমই, সেদিন সারেগামায় গৌরব গাইল!"
আমি বললাম, "উফফ ভয় খাইয়ে দিয়েছিলে!"
বউ বলল, "এত ভয় খাওয়ার কী আছে? শুধু ভয়েই মরে যাচ্ছে!"
আমি অবাক হয়ে বললাম, "'বাঁচাও বাঁচাও' বলে চিৎকার করলে ভয় পাব না?"
বউ গান গাওয়া থামিয়ে বলল, "সবসময় এত ভয়ে ভয়ে থাকো কেন? ভীতুর ডিম!.

ফিরে এসে গল্পের বই খুলে বসলাম।
কিছুক্ষণ পরে আবার বউয়ের চিৎকার 'বাঁচাও বাঁচাও' শুনতে পেলাম।
উরিব্বাস আজ তাহলে দারুণ মুডে আছে। গান গেয়ে গেয়ে বাসন মাজছে!
একটু পরে আবার 'বাঁচাও বাঁচাও' চিৎকার।
ওহ্ ভাল শুরু করেছে তো আজকে! কাউকে এমন পিলে চমকে দিয়ে গান করতে শুনিনি কখনো!
বউয়ের 'বাঁচাও বাঁচাও' চিৎকারে খান খান হয়ে যাচ্ছে নিস্তব্ধ দুপুর। নাহ্ এটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। বারণ করে দিয়ে আসি।
গিয়ে যা দেখলাম তাতে হতবাক হয়ে গেলাম। বউ রান্নাঘরের মেঝেতে শুয়ে আছে লম্বা হয়ে।
আমাকে দেখতে পেয়েই বলল, "কখন থেকে চেঁচাচ্ছি গ্রাহ্যই করে না! কেমন মানুষ তুমি?"
আমি বললাম, "আমি তো ভাবলাম তুমি গান করছ..."
বউ আমার কথা থামিয়ে দিয়ে বলল, "শুয়ে পড়ো শুয়ে পড়ো। একটা বিরাট বোলতা এসেছে।"
দেখলাম একটা পেল্লাই বোলতা বোঁ করে রান্নাঘরের মধ্যে ঘুরছে। আমি দৌড়ে গিয়ে একটা চারশো পাতার উপন্যাস নিয়ে এসে সেটা দিয়ে চাপড়ে বোলতাটাকে নিকেশ করলাম। মোটা বইগুলো সংসারের আটপৌরে ক্রিয়াকাণ্ডে মায় বিপদে-আপদেও কাজে আসে। একবার ঘাড়ের সমস্যায় ডাক্তারবাবু বলেছিলেন মোটা বালিশ ব্যবহার করতে। তখন হাজার পাতার 'পূর্ব পশ্চিম' বইটা খুব কাজে লেগেছিল।
ওঠার পর দেখা গেল বউয়ের হাঁটু ফুলে বেলুন হয়ে গেছে। দড়াম করে শুতে গিয়ে হাঁটুতে আঘাত লেগেছে। হাঁটতে পারছে না। ধরে ধরে ঘরে নিয়ে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে দিয়ে বললাম, "এখন শুয়ে শুয়ে হাঁটুতে লাগাও।"
ঠিক এমন সময় জোরে দরজায় ধাক্কার আওয়াজ।
দরজা খুলে দেখলাম পাড়ার সব মাতব্বরেরা হাজির। এখন একসঙ্গে এতজন কেন? নিশ্চই সিরিয়াস কিছু। বগলাকাকু, মন্টুকাকু, ভুতুদা ভজহরিদা সবাই আছে।
বগলাকাকু মাস্কের মধ্যে থেকে ঘড়ঘড়ে গলায় বললেন, "বউমা কোথায়? কী হয়েছে বউমার?"
আমি অবাক হয়ে বললাম, "কী হবে আবার? শুয়ে আছে।"
ভুতুদা বলল, "হাইলি সাসপিসাস বুঝলেন বগলাকাকু! এসবই হল লকডাউনের এফেক্ট। কালকেই বিবিসিতে দেখছিলাম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স কত্ত বেড়ে গেছে!"
ভজহরিদা বলল, "রাখ তো তোর বিবিসি। ওতে মদের দোকান কবে খুলবে কিছু বলেছে? সারাক্ষণ বিবিসি দেখাচ্ছে শালা!"
মন্টুকাকু বললেন, "আজেবাজে কথায় সময় নষ্ট না করে কাজের কথায় আসা যাক। দেখো তোমার স্ত্রী 'বাঁচাও বাঁচাও' বলে অনেকক্ষণ ধরে চিৎকার করেছে এটা পাড়ার সবাই শুনেছে। এখন তোমাকে আমরা সবাই ভাল বলেই জানি। কিন্তু মুনিনাঞ্চ মতিভ্রম বলেও তো একটা কথা আছে। তাই তোমার স্ত্রী বেঁচে আছে এবং সুস্থ আছে এইটুকু দেখেই আমরা চলে যাব।"
আমি আর একটু হলেই উল্টে পড়ে যাচ্ছিলাম! কোনরকমে বললাম, "এসব কী বলছেন! আর ও তো এখন কিছুতেই আসতে পারবে না। হাঁটার অবস্থা ওর নেই।"
বগলাকাকু হুঙ্কার দিয়ে বললেন, "যেরকম আর্তনাদ আমি নিজের কানে শুনেছি তাতে ঠিক এই ভয়টাই আমি পাচ্ছিলাম।"
সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়ে একটা পুলিশের জিপ যেতে যেতে দাঁড়িয়ে গেল।
এক দশাসই চেহারার পুলিশ অফিসার জিপ থেকে নেমে হেঁড়ে গলায় বললেন, "এখানে এত ভিড় কেন?"
আমি তাড়াতাড়ি বললাম, "কিছু নয় স্যার। আমার স্ত্রী অসুস্থ, তারই খোঁজখবর করছেন এঁরা।"
অসুস্থ শুনেই পুলিশ অফিসার লাফিয়ে উঠলেন, "জ্বর আছে? কাশি আছে? শ্বাসকষ্ট আছে? কোনও ফরেন কানেক্সান আছে? বা অন্য স্টেট থেকে এসেছেন? রিলেটিভের মধ্যে কেউ কোভিড পজিটিভ আছে?"
আমি বললাম, "না না ওসব কিছু নয়, হাঁটুতে আঘাত লেগেছে।"
শুনে পুলিশ অফিসার যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। বললেন, "আপনারা এখানে কেউ দাঁড়িয়ে থাকবেন না। সবাই যে যার ঘরে যান। একজন মহিলার হাঁটুতে লেগেছে, সবাই লাইন দিয়ে চলে এসেছেন দেখা করতে! যত্তসব..."
নাটক অসমাপ্ত রেখে কারুর যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। ভুতুদা ফিসফিস করে বগলাকাকুকে বলল, "মেরে বউয়ের হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে দিয়েছে নাকি বলুন তো? একটা কিছু ঘটেছে সিওর!"

ঠিক এমন সময় গোটা পাঁচেক ম্যাগনাম সাইজের বোলতা কোথা থেকে এসে বোঁ করে উড়তে লাগল। নির্ঘাত আশেপাশে কোথাও বোলতা বাসা বেঁধেছে। আর কাউকে কিছু বলতে হল না। বগলাকাকু দৌড়াতে গিয়ে ভুতুদার সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজনেই পড়ে গিয়ে আবার উঠে দৌড়াতে লাগলেন। মন্টুকাকু লিকলিকে শরীর নিয়ে পলকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। ভজহরিদা ভয়ে পুলিশ অফিসারের পেছনে লুকাতে গিয়ে এক রদ্দা খেয়ে পড়তে পড়তে কোনওরকমে উঠে পিটটান দিল। পুলিশ অফিসারও জিপে উঠে চম্পট দিলেন। নিমেষে ময়দান ফাঁকা হয়ে গেল।

আমিও দৌড়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলাম।


একখান সাইট ভিজিট করতে গিয়ে সকালেই পেলাম তো, মনে করেলাম এই লকডাউনে যদি আপনাদের একটু বিনোদিত করতে পারি! ক্ষতি কি?
ওপারের লেখা ! তবে একেবারে খাসা হয়েছে !
এই সময়ে এর কল্যাণে হাসতে পেরেছি, এটা অনেক বড় উপহার আমাদের জন্য !
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top