আমাদেরও বেড়েছে। আপনাদের একদিন আগে শেষ হবে। ১৬ তারিখ পর্যন্ত বাড়ালেও এতে খুব একটা কাজ হবে বলে মনে হয় না ! সবাই যে যার মতো বেড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থা ত্যাক্ত বিরক্ত... তারা নিজেরাও অনেকেই ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে গেছে। সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। সব মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক সদস্য আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় তারাও আর আগের মতো পাহাড়া বসাতে পারছে না বা চাচ্ছে না ! সুযোগটা বেয়াড়া লোকেরা হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না ! প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে আপন ইচ্ছায় রাস্তায় নেমে এসেছে/আসছে তারা। অবস্থা দৃস্টে মনে হয় সামনে আমাদের ভয়াবহ দিন অপেখা করছে।আমাদের Lockdown আবার এই মাসের ১৭ তারিখ অবধি বাড়ান হল।
একটা সাধারন মদ্ধবিত্ত ঘরে কত টাকা সম্বল বলেন! ২মাস এরকম
বসে খাওয়া সম্ভব!!!! আবার খবরে প্রতিদিনি আমাদের জেলায় ২-৩
জনের আক্রমনের খবর পাচ্ছি। কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা।
মধ্যবিত্ত যারা আছি, তাদের জন্য খুবই খারাপ সময় চলছে। জমানো টাকা বা পূঁজি ভেঙ্গে ভেঙ্গে চলছে কোনোমতে দিনগুলো। আর বুঝি পার করা সম্ভব হবে না ! কারো কাছে হাত পাতাও যাবে না, আর পাতলেও কিছু পাবার সম্ভাবনা খুবই কম। নিন্মবিত্তদের তাও একটা হাল কোনো না কোনোভাবে হয়তো হয়ে যাবে। সচেতন লোক হিসাবে বাড়ি থেকে এই অবস্থায় বেরোনোও যে ঠিক হবে না এটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছি... তবুও বাড়িতেই থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প আসলে নেই !!
আমাদের জেলার চাইতে আপনার জেলার অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো আছে, মামা। গড়ে মাত্র আড়াইজন আপনাদের জেলায়। আমাদের জেলায় বেসরকারীভাবে আপনাদের চাইতে বেশ কিছুটা বেশী হলেও সরকারী হিসাবে আপনাদের থেকে কিছুটা বেশি...
কিচ্ছু করার নেই, মামা।
শুধু প্রার্থনা, যতো দ্রুত যেনো এই ভাইরাস থেকে আমরা মুক্তি লাভ করতে পারি !!