তার আগে আজ সকালের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। এখানে প্রতিফলিত হবে, আপনাদের দোয়া আমার জন্য সর্বদা জারি আছে...
সেহেরী শেষ করেছি ৩ঃ৫৫ -র দিকে। যেহেতু বিড়ি খাওয়ার সুযোগ নেই তাই নামাজ পড়ে একটু গড়িয়ে নিতে চাইলাম। কিন্তু চোখের সাথে মাথার মিল না হওয়ায় ৫ঃ৩০ -এ শার্ট প্যান্টের ভেতর গুজে বের হলাম কামলা দিতে। গতকাল কমপ্রেসর ইন্সটল করেছিলাম যেনতেন ভাবে, অস্থায়ী ভিত্তিতে। আজ ২৮/০৪/২০২০ তারিখ থেকেই নাকি গার্মেন্টস পূর্ণ রুপে চালু থাকবে। সে ক্ষেত্রে শিফট হবে দুটি, সকাল ৬ঃ০০ থেকে দুপুর ১২ঃ০০ টা এবং দুপুর ১২ঃ০০ টা থেকে সন্দ্যা ৬ঃ০০ টা। আমি কামলা তো ডেইলি হাজিরার তাই আমার ডিউটি কম সকাল ৬ঃ০০ টা থেকে সন্দ্যা ৬ঃ০০ টা। একজন ইলেট্রিশিয়ান সাথে নিয়ে নিজেই কমপ্রেসর চালু করতে চলে গেলাম। চালু করলাম, হালকা লিকেজের শব্দ পাচ্ছি। হাত দিয়ে দিয়ে দেখছি কোথায় কোথায় থেকে বাতাস বের হচ্ছে। হঠাত ধুম!!
শুধু মনে আছে বসে পড়েছি ঠিক ইঞ্জিনের সামনেই। সেকেন্ড পাঁচেক চলে গেছে কি হল তা বুঝতে। বাম হাত দিয়ে কমপ্রেসর এর ইমারজেন্সি সুইচ বন্ধ করে আবার শুন্য দৃষ্টিতে তাকালাম সামনে। নিজেকে আবিস্কার করলাম ধোঁয়ার ভেতরে কুন্ডলী পাকিয়ে বসা অবস্থায়। ১০০০ লিটারের ভেসেলটা চোখের সামনে নেই। সেটাকে পেলাম কিছুদুরে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়া অবস্থায়। আমি ও আমার ইলেক্ট্রিশিয়ান দুজনই আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে অক্ষত আছি।
আপনাদের দোয়া জারি আছে... খুব ভাল করে বুঝছি! তা না হলে হয়তো ওপারে যেন ভাল থাকি তার জন্য মঙ্গল কামনা করে পড়তেন ইন্না... যখন শুনতে পেতেন ছোটভাই আর ...
অথবা আমার পরিহিত শার্টের হাতা থাকতে পারত কিন্তু ওর ভেতরে কিছু থাকত না।
দোয়া জারি রাখবেন, কার হায়াতের পাতা কখন শুকিয়ে যায়...