আজকে সন্ধ্যার আগে আগে যখন রাস্তায় বেরিয়েছিলাম তখন আমার একটু সামনে একলোক হঠাত করে বিকট আওয়াজে হাঁচি দিয়ে বসলো। কোনো ধরনের প্রটেকশন ছাড়াই হাঁচিটা বাতাসকে উপহার দেয়ার কল্যাণে কয়েক ট্রিলিয়ন জলকনা ছড়িয়ে দিলো বাতাসের মাঝে... থমকে দাঁড়ালাম, একেবারে হাইড্রলিক ব্রেক কষে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হিসাব করলাম ইতিমধ্যেই কতোগুলো জলকণা আমার মাস্ক ভেদ করে ভিতরে গেছে। আশান্বিত হলাম, হয়তো বেশী যায়নি। পরক্ষনেই আরেকটা চিন্তা মাথায় এলো, যদি লোকটা আক্রান্ত ব্যাক্তি হয়, তবে এই জলকণার সাথে বিরিয়ে আসা ভাইরাস তো সাথে সাথেই ভ্যানিশ হয়ে যায়নি। কিছুক্ষণ অন্তত বাতাসে ঘুরে বেড়াবে। আর আমার মতো কারো না কারো নাক মুখ দিয়ে সে তার বংশ বাড়ানোর জায়গায় চলে যাবে। এই হিসাবের সাথে আরেকটা আশঙ্কার কথা মনে পড়ে গেলো। আমার সামনে যে লোক হাঁচি দিলো তাকে না হয় আমি দেখেছি, তার হাঁচির বিকট শব্দও আমার কানে গেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই এখানে বা রাস্তার অন্য কোনো অংশে কেউ হাঁচি-কাশি দিয়ে যে জীবাণু ছড়িয়ে দিয়ে রেখে যায়নি তার খবর তো আমার জানা নেই...
আসলে এখন নির্মল বাতাস খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিলই... সেটা প্রত্যূষেই হউক কিংবা রাতে...