ভাইরাসটি হয়তো বাতাসে ঘুরে বেড়ায় না। কিন্তু যেখানে জনসমাগম আছে সেখানে আক্রান্ত ন্যাক্তির একটি হাঁচি-কাশিই যথেষ্ঠ !
ওই সময়ে বাতাসে যে পরিমাণে জীবাণুর উপস্থিতি থাকবে তাতেই আশেপাশের সবাই আক্রান্ত হয়ে যাবে...
মামা, অবশ্যই ভাইরাসটি বাতাসে ঘুরে বেরায় না, আর কথাটি বলার প্রধান কারন সবার মাজে জানো এই
ভয়ের পরিস্থিতি একটু লাঘব হয়। আর মামা জনসমাগমে হাঁচি কাশি ও তার droplet Infection এই মাহমারি
ছরানর প্রধান কারন। তাই এক মাত্র সমাধান জনসমাগম থেকে এমনকি সবার থেকে দূরে অর্থাৎ আগামি ১৫
থেকে ২০ দিন সবার থেকে Isolated থাকুন। এবং সবাইকে থাকতে উতসাহিতি করুন, জেখানেই ২ বা তার
বেশি লোকের আড্ডা ভির জটলা দেখবেন সেখান থেকে নিজে দূরে থাকবেন পারলে তাদের বলবেন দুরত্ত
বজায় রাখতে। মামা, কিছু মনে করবেন না কারন আমি ধর্মীয় বিসয়ে কথা বলি না এবং সেটা পছন্দ করিও
না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তে একটা কথা অবশ্যই বলতে চাই, বেচে থাকলে বাকি জীবন অনেক পূজা পার্বণ
নামাজ, Prey সকলি করতে পারব। আর তারচে বড় কথা সুধু নিজের না নিজের পরিবার প্রিয়জনদের কথা
একবার ভাবুন, তাদের জন্য আপনার কি করনিও? আমাদের দেশে আজ তৃতীয় দিন, পুরো ভারত Lock Down
সমস্ত ছোট বড় শহর গ্রাম সব। ইতালির জনসংখ্যা ৬ কোটি, তার মধ্যে করোনায় মৃত 7500+, আর ভারতের
জনসংখ্যা ১৩০ কোটি মৃত আপাতত ৭-৮ জন
একটু দ্বিমত করছি...
নিজেকে পনেরোদিন আবদ্ধ রাখার মানে কিন্তু জিবাণুকে পরাস্ত করা নয়,
জীবাণুর বিস্তার রোধে হয়তো এটা কার্য্যকর ভুমিকা পালন করবে। তাই বলে পনেরো দিনের পর আপনি যখন বেরোবেন তখনও যে আপনি আক্রান্ত হবেন না এরকম কোন গ্যারান্টি কিন্তু নেই !
১৫ দিন একটা আপেক্ষিক ইসাব এর ভাইরাসটির life cycle এর যতটুকু জানতে পারা গেছে তার ওপর ভিত্ত করে।
আজকে যদি কেই নতুন করে এই ভাইরাস সঙ্ক্রমিত হয় এবং সে তার আসেপাসে কিছু যায়গা সঙ্ক্রমিত করে তার
ওপর এর কি প্রভাব হবে সেটা কিছুটা এরকম। সঙ্ক্রমিত বেক্তি ৪-৫ দিন কোন উপসর্গ দেখায় না, অর্থাৎ সুস্থ বা
সঙ্ক্রমিত বেক্তি আলাদা করার উপায় নেই তাই একদিনে সে অন্য অনেকের মধ্যে এটি ছরাবেন, কিন্তু আইসলেসন
এ থালে সেটি কারো মাঝে ছরাবে না এই ৪-৫ দিনে। দিতিও এই ভাইরাস মানব সরিরের বাইরে একদিন বা তার কিছু
বেশি সময় বেচে থাকতে পারে, অর্থাৎ এই ১৫ দিনে বাস ট্রেন গন পরিবহনে যে পরিমান ছরিয়েছে সেটা যদি ৩-৪
দিন আইসোলেটেড থাকে সেখান থেকে নতুন সংক্রমণ ছরানর সম্ভাবনা থাকে না, তৃতীয় যিনি এই ভাইরাসে সঙ্ক্রমিত
তিনি বা তার থেকে এই কটা দিন দুরত্ত বাজয় রাখলে আপনি আপনার প্রিয়জন নতুন করে সঙ্ক্রমিত হচ্ছে না, আর
যিনি সঙ্ক্রমিত তিনি যদি খুবি দুর্বল বা কোন চিকিৎসা না পান সেটি খুবি দুঃখের ব্যাপার কিন্ত তাছারা এই কটা দিনে
তিনি নিজেই এই ভাইরাস টিকে নিজেই পরাস্ত করে সেরে উঠবেন। অর্থাৎ পুরো একটা শৃঙ্খল ভাঙ্গে সবাইকে
সুরক্ষিত রাখার একটা কার্যকর পথ, কারন অন্য পথ এখনও খুজে ওঠা সম্ভব হয়নি।