দিনের শুরুতেই পর্যাপ্ত সুষম খাবার শরীরে এনে দেবে বাড়তি কাজের ক্ষমতা। সকালে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর নাশতা একদিকে শরীরে জোগান দেবে বাড়তি শক্তি, অন্যদিকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকেও ঠিক রাখবে দীর্ঘ সময়।
দিনের শুরুতেই চাই পর্যাপ্ত সুষম খাবার
কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ কখনো বেশি আবার কখনো কম থাকে। কিন্তু আট ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় থাকতে হয় অফিসে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কখনো কখনো শরীরে ক্লান্তি ভর করে। এর মধ্যেও অনেক পেশা রয়েছে, যাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হয় বা কাজ করতে হয়। এমন পেশায় যাঁরা রয়েছেন বা যাঁদের বাড়তি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করতে হয়, তাঁদের উচিত প্রতি এক ঘণ্টা পরপর ৫-১০ মিনিট অফিসের করিডরে বা বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করা। এতে রক্তসঞ্চালন ভালো থাকে। একঘেয়েমি দূর হয়।
অনেকেই আছেন, যাঁদের লম্বা সময় ধরে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে, অবশ্যই কম্পিউটারের উচ্চতা যেন চোখের সমান হয়। অধিক সময় টাইপ করলে হাতের কনুই চেয়ারের দুই পাশের হাতলে রেখে নিতে পারেন।
চা বা কফি চাঙা রাখাবে শরীর
অকুপেশনাল থেরাপিস্টের মতে, চেয়ারের পেছনে কোমরে যথাসম্ভব ঠেস দিয়ে বসুন, ফাঁকা জায়গা রাখবেন না। কুঁজো বা বেঁকে থাকবেন না। হাতের কনুই দেহের কাছাকাছি থাকবে, মাথা-ঘাড় ও কাঁধ সোজা থাকবে। বাহু, কবজি ও হাত মেঝের সমান্তরালে থাকবে। চেয়ারের দূরত্ব এমন হবে না যে ডেস্ক, টেবিল বা কম্পিউটারের নাগাল পেতে কষ্ট করতে হয়। পিঠ চেয়ারে ভালোভাবে হেলান দিয়ে সোজা হয়ে বসে কাজ করুন।
মাঝে অবশ্যই কিছুক্ষণ বিরতি নিতে হবে। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখুন। মাঝে চোখে–মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে নিতে পারেন। এতে কিছুটা সতেজ লাগবে নিজেকে।
কাজ করতে করতে অনেক সময় একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। কাজের ফাঁকে একটু চা বা কফি খেয়ে নিজেকে চাঙা রাখা যেতে পারে। অফিসের লাঞ্চ টাইমে চেষ্টা করুন সহকর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে খেতে। খাওয়ার সময় বিভিন্ন মজার বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। এতে দেখবেন মনটা হালকা হবে। তবে সব সময় মনে রাখতে হবে কাউকে বিরক্ত করা যাবে না একদম। নিজের কাজ ফেলে বা আরেকজনের কাজের মাঝে তাঁকে মোটেও বিরক্ত করা যাবে না।
ডেস্কে থাকতে পারে ইনডোর প্ল্যান্ট
নিজের কাজের ডেস্ক রাখুন পরিষ্কার ও সবুজ। এমনিতেই লম্বা সময়ের কাজে মন বিষিয়ে উঠতে পারে। তার ওপর নিজের ডেস্ক যদি থাকে এলোমেলো, তাহলে আরও বেশি অস্থিরতা কাজ করবে। এই অস্থিরতা দূর করতে ও মনকে সতেজ রাখতে অফিস ডেস্ক গুছিয়ে রাখুন। ডেস্কে থাকতে পারে বিভিন্ন শোভাবর্ধক ইনডোর প্ল্যান্ট।
অফিস থেকে ছুটি নিতে পারেন এক দিন নিজের জন্য। নিজেকে সময় দিন আলাদা করে। আর তা না চাইলে বন্ধুদেরকেও ছুটিতে সঙ্গী করতে পারেন। ঘুরে আসুন প্রকৃতির মাঝ থেকে। এতে ক্লান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি কাজে নতুন উদ্যম খুঁজে পাবেন।
নিজের কাজের ধরন আর চাপের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে খুঁজে নিন আপনার কান্তি দূর করার উপায়, উপভোগ করুন অফিসের লম্বা মুহূর্তগুলো। প্রাণবন্ত হয়ে কাজ করতে পারলে সে কাজে সাফল্যও আসবে দ্রুত।