অন্তর্বর্তী শূণ্যতা
রতিমোহিনী দেবী
বি.দ্র. – এই কাহিনীর স্থান-কাল-চরিত্রের নাম সবই কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে মিল একেবারেই নেই।
পরিচিতি পর্ব
এই কাহিনী রায় পরিবারের। কাহিনী শুরুর আগে এই পরিবার এবং এই পরিবারের মানুষজন সম্পর্কিত কয়েকটি কথা আগে থেকে উল্লেখ করে নেওয়া প্রয়োজন। রায় পরিবারের কর্তা অর্থাৎ বিমলবাবু গত হয়েছেন প্রায় বছর আষ্টেক আগে। ওনার স্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বর্তমানে বয়সজনিত কারণে অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী। রায় পরিবার কলকাতারই এই বহুতল আবাসনে বসবাস করে, তবে আলাদা আলাদা ফ্লোরে। তাহলে আসুন, সবার প্রথমে এক এক করে পরিচয় করে নেওয়া যাক এই রায় পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সাথে।
১) দূর্নিবার রায় – রায় পরিবারের বড় ছেলে। বিমলবাবুর মৃত্যুর পর এখন উনিই এই পরিবারের মাথা বলা যেতে পারে। বয়স ৫২ বছর। এক নামকরা বেসরকারী ব্যাঙ্কে কর্মরত। নেশা বলতে ইংরেজী খবরের কাগজ। আর প্রতি শনিবারে বন্ধুর বাড়িতে দু-পাত্তর রঙিন জল। দুনিয়ায় নিজের বিয়ে করা বউকে ছাড়া আর বোধহয় সাপকে ভয় পান। শরীরস্বাস্থ্যের গঠন মোটামুটি। কানের পাশে জুলপি দুটোতে রূপোলী রঙ ছাড়া আর যেটা দেখে ওনার বয়স সম্পর্কে একটা আঁচ পাওয়া যায় তা হল ওনার মাথা জোড়া টাক। কলেজ বেলা থেকেই চুল ওঠা শুরু। বিবাহের অব্যবহিত পরেই টাকের সূত্রপাত। বর্তমানে তা গোটা মাথায় জাঁকিয়ে বসেছে। স্ত্রী-পুত্র-কন্যা সমেত শহরের এক বহুতল আবাসনের অষ্টম তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন।
২) ইন্দুমতি রায় – রায় পরিবারের বড় বউ। দূর্নিবার বাবুর স্ত্রী। বয়স ৪৬। সামনের বছর ওনাদের বিয়ের রজত জয়ন্তী পূ্র্তী হবে। অতি অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে এই বাড়িতে এসেছেন। বিয়ের পর থেকেই সেই যে নিজের স্বামী দেবতাটিকে নিজের শাড়ির আঁচলের খুঁটে বেঁধে রেখেছেন, সেই বাঁধন আজও অটুট। পড়াশোনায় প্রীতি দেখে শ্বশুরমশাই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করিয়ে ছিলেন। সেই সুবাদে কলকাতার এই বড়ো কলেজের ইংরেজীর অধ্যাপিকা। নাকের ডগায় পুরু মাইনাস পাওয়ারের চশমার কাঁচের আড়ালে থাকা চোখদুটো সুন্দরবনের বাঘিনীর মত সবসময়ই জ্বলতে থাকে। কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে পতি দেবতাটি শুদ্ধ তাঁর গলার স্বর ও বাক্যবাণে জড়ো। তবে বয়সের তুলনায় শরীর স্বাস্থ্যটি একটু বেশীই ভারী। শরীরের আনাচে কানাচে মেদাধিক্য সহজেই চোখে পড়ে। তবে নিজের এবং পতি দেবতাটির মোটা আয়ের কারণে ওর নাকটা একটু বেশীই উঁচুতে থাকে। নেশা বলতে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাসাইনমেন্ট চেক করা আর মোবাইলে একটু আধটু বিদেশী সিরিজ দেখা। শরীরের গড়ন মোটা হলেও রঙ ফর্সা। দৈহিক গড়নের হিসাব বলতে 38C সাইজের ব্রা পরেন। এবং ওনাকে সাধুভাষায় গুরুনিতম্বিনীও বলা যেতে পারে।
3) আয়ুষ রায় – দূর্নিবার ও ইন্দুমতির ছেলে। বয়স ২১। বয়েসের তুলনায় শারীরিক গঠন বেশ মজবুত। তার উপর আবার ইদানিং জিমেও ভর্তি হয়েছে। তবে শরীর যতটা মজবুত মনটা ততটাই কোমল। লাজুক স্বভাবের আয়ুষ মাকে যমের মত ভয় পায়। তাই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও মায়ের কথা অনুসারে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা নেহাতে আঙুলে গোণা। সবসময়ের সঙ্গী বলতে ল্যাপটপ আর নিজের মুঠোফোন।
4) আয়ুষী রায় – দূর্নিবার ও ইন্দুমতির মেয়ে এবং আয়ুষের যমজ বোন। আদরে বাঁদর বলা যেতে পারে। মাকে একদমই ভয় পায় না। উল্টে পৃথিবীতে একমাত্র তারই ক্ষমতা আছে মায়ের মুখে মুখে কথা বলার। কলকাতার এক নামী অথচ কুখ্যাত ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। সেই সাথে গিটার বাজিয়ে গান গায়। মাকে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেটও খায়। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুর সংখ্যা প্রায় সমান। ইন্সটাগ্রামে প্রায় এক লাখের কাছাকাছি ফলোয়ার। শরীরের দূশ্য ও অদূশ্য স্থানে ট্যাটুর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতন। এবং সেই সব দৃশ্য-অদৃশ্য ট্যাটু দেখিয়ে ইন্সটা রিল করাটা ওর নেশা। কাঁধ পর্যন্ত কাটা ববছাঁট চুলে কালোর সাথে সাথে আরো অনেক রঙের মিশেল চোখে পড়ে। তবে শরীরের গঠন রোগার দিকেই। দৈহিক গড়ন বলতে 32-30-32, ব্রা পরে কিনা জানা নেই।
5) সুনির্মল রায় – রায় বাড়ির ছোটোছেলে ও দূর্নিবার বাবুর ভাই। বয়স ওনার তুলনায় অনেকটাই কম। বয়স ৪৩ বছর। দাদার মতন খুব বেশী শিক্ষিত নন। তাই এই ছোটো প্রাইভেট কোম্পানীতে ততোধিক ছোটো ও কম মাইনেতে কাজ করেন। দাদার আবাসনেরই তৃতীয় তলায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকেন। দাদার তুলনায় কম রোজগার বলে দাদাকে ভয় পাওয়ার সাথে সাথে হিংসেও করেন। তবে রায়বাঘিনীর বৌদির ভয়ে তা মনেতেই থেকে যায় সর্বদা। বৌদির আদেশে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অসুস্থ ও শয্যাশায়ী মাকে নিজের কাছেই রাখতে হয়েছে। তবে ডাক্তার ও ওষুধের খরচা বাবদ মাসোহারা দাদার কাছ থেকে আদায় করতে ভোলে না। নেশা বলতে কলেজবেলার সিগারেট আর ক্রিকেট। বউকে অতিরিক্ত ভালোওবাসে না আবার বিনা কারণে হতোচ্ছেদাও করে না। এক কথায় অম্ল মধুর সম্পর্ক। শারীরিক গঠন সামান্য হলেও ক্ষয়িষ্ণু। তার সাক্ষ্য ওর বেরিয়ে থাকা কণ্ঠার হাড় দুটো দেয়।
6) অনুরাধা রায় – রায় বাড়ির ছোটো বউ সুনির্মলের স্ত্রী। প্রথমে কলেজের প্রেম, সেখান থেকে ছাদনাতলা পেরিয়ে রায়বাড়ির অন্দরমহল। বিয়ের এক যুগ কেটে যাওয়ার পরে প্রেম জানালা দিয়ে পালাবার চেষ্টায় রত। তার প্রতি স্বামীর বর্তমান ঔদাসিন্য কয়েক বছর আগে হলেও এখন আর মনে দাগ কাটে না। সাংসারিক কাজ, অসুস্থ শাশুড়ির দেখভাল, ছেলের হোমওয়ার্ক এতেই দিন কেটে যায়। মাঝেমধ্যে যেরাতে বরের বুকের তলায় পিষে যাওয়ার সুযোগ পায়, সেই রাতে ঘুমটা একটু বেশীই গাঢ় হয়, এইটুকুই। বয়স ৩৭। তবে শরীর স্বাস্থ্যের বাঁধুনী বেশ মজবুত। তা না হলে বছর দশেকের এক ছেলের মা হয়েও যে এই বয়সে শরীরের চটক রাখা যেতে পারে, তা ওকে দেখে শেখা যেতে পারে। তবে তার জন্য জিম-যোগার প্রয়োজন পড়ে না। উদয়াস্ত সাংসারিক খাটুনিই ওর ব্যায়ামের কাজ করে। আর পাঁচটা সাধারণ গৃহবধূর মতোই সিরিয়ালের নেশা। আর মুঠোফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা মায়ের সাথে কথোপকথন। ভাসুরকে ভালোবাসে। শ্রদ্ধাও করে। তবে জায়ের প্রতি মনোভাব একটু হলেও প্রচ্ছন্ন। মুখে মুখে কথা বলে না ঠিক কথা, তবে মাঝে মধ্যে দু একটা কথা মুখ ফসকে বেরিয়ে যায় বৈকী। যাইহোক গায়ের রঙ মাঝারী। দৈহিক গড়ন বলতে 34-32-34। এবং শোনা যায় 34B সাইজের ব্রা পরে।
৭) ইভান রায় – বয়স ১০ বছর। গোলগাল মিষ্টি চেহারার একটি ছেলে। ক্লাস ফোরে পড়ে। মায়ের থেকে বাবাকে যথেষ্ট ভয় পায়। ভিডিও গেম একমাত্র নেশা। এই কাহিনীতে এর উপস্থিতি অনেকটা নুনের মত। অর্থাৎ স্বাদ অনুযায়ী।
পরিচয়পর্বের পালা যখন শেষ তখন এবার মূল কাহিনীতে প্রবেশ করা যাক। এরা ছাড়াও পরবর্তিকালে হয়তো আরো অনেক চরিত্রের আনাগোনা হতে পারে। তাদের আগমণের পূর্বেই তাদের যথোচিত পরিচয় ও বর্ণণা দিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত এই ছয়জনের মধ্যেই এই কাহিনীর অবতারণা চলবে। গোটা কাহিনীটি এই রায় পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে দেখানো হয়েছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
১) দূর্নিবার রায় – রায় পরিবারের বড় ছেলে। বিমলবাবুর মৃত্যুর পর এখন উনিই এই পরিবারের মাথা বলা যেতে পারে। বয়স ৫২ বছর। এক নামকরা বেসরকারী ব্যাঙ্কে কর্মরত। নেশা বলতে ইংরেজী খবরের কাগজ। আর প্রতি শনিবারে বন্ধুর বাড়িতে দু-পাত্তর রঙিন জল। দুনিয়ায় নিজের বিয়ে করা বউকে ছাড়া আর বোধহয় সাপকে ভয় পান। শরীরস্বাস্থ্যের গঠন মোটামুটি। কানের পাশে জুলপি দুটোতে রূপোলী রঙ ছাড়া আর যেটা দেখে ওনার বয়স সম্পর্কে একটা আঁচ পাওয়া যায় তা হল ওনার মাথা জোড়া টাক। কলেজ বেলা থেকেই চুল ওঠা শুরু। বিবাহের অব্যবহিত পরেই টাকের সূত্রপাত। বর্তমানে তা গোটা মাথায় জাঁকিয়ে বসেছে। স্ত্রী-পুত্র-কন্যা সমেত শহরের এক বহুতল আবাসনের অষ্টম তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন।
২) ইন্দুমতি রায় – রায় পরিবারের বড় বউ। দূর্নিবার বাবুর স্ত্রী। বয়স ৪৬। সামনের বছর ওনাদের বিয়ের রজত জয়ন্তী পূ্র্তী হবে। অতি অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে এই বাড়িতে এসেছেন। বিয়ের পর থেকেই সেই যে নিজের স্বামী দেবতাটিকে নিজের শাড়ির আঁচলের খুঁটে বেঁধে রেখেছেন, সেই বাঁধন আজও অটুট। পড়াশোনায় প্রীতি দেখে শ্বশুরমশাই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করিয়ে ছিলেন। সেই সুবাদে কলকাতার এই বড়ো কলেজের ইংরেজীর অধ্যাপিকা। নাকের ডগায় পুরু মাইনাস পাওয়ারের চশমার কাঁচের আড়ালে থাকা চোখদুটো সুন্দরবনের বাঘিনীর মত সবসময়ই জ্বলতে থাকে। কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে পতি দেবতাটি শুদ্ধ তাঁর গলার স্বর ও বাক্যবাণে জড়ো। তবে বয়সের তুলনায় শরীর স্বাস্থ্যটি একটু বেশীই ভারী। শরীরের আনাচে কানাচে মেদাধিক্য সহজেই চোখে পড়ে। তবে নিজের এবং পতি দেবতাটির মোটা আয়ের কারণে ওর নাকটা একটু বেশীই উঁচুতে থাকে। নেশা বলতে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাসাইনমেন্ট চেক করা আর মোবাইলে একটু আধটু বিদেশী সিরিজ দেখা। শরীরের গড়ন মোটা হলেও রঙ ফর্সা। দৈহিক গড়নের হিসাব বলতে 38C সাইজের ব্রা পরেন। এবং ওনাকে সাধুভাষায় গুরুনিতম্বিনীও বলা যেতে পারে।
3) আয়ুষ রায় – দূর্নিবার ও ইন্দুমতির ছেলে। বয়স ২১। বয়েসের তুলনায় শারীরিক গঠন বেশ মজবুত। তার উপর আবার ইদানিং জিমেও ভর্তি হয়েছে। তবে শরীর যতটা মজবুত মনটা ততটাই কোমল। লাজুক স্বভাবের আয়ুষ মাকে যমের মত ভয় পায়। তাই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও মায়ের কথা অনুসারে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা নেহাতে আঙুলে গোণা। সবসময়ের সঙ্গী বলতে ল্যাপটপ আর নিজের মুঠোফোন।
4) আয়ুষী রায় – দূর্নিবার ও ইন্দুমতির মেয়ে এবং আয়ুষের যমজ বোন। আদরে বাঁদর বলা যেতে পারে। মাকে একদমই ভয় পায় না। উল্টে পৃথিবীতে একমাত্র তারই ক্ষমতা আছে মায়ের মুখে মুখে কথা বলার। কলকাতার এক নামী অথচ কুখ্যাত ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। সেই সাথে গিটার বাজিয়ে গান গায়। মাকে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেটও খায়। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুর সংখ্যা প্রায় সমান। ইন্সটাগ্রামে প্রায় এক লাখের কাছাকাছি ফলোয়ার। শরীরের দূশ্য ও অদূশ্য স্থানে ট্যাটুর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতন। এবং সেই সব দৃশ্য-অদৃশ্য ট্যাটু দেখিয়ে ইন্সটা রিল করাটা ওর নেশা। কাঁধ পর্যন্ত কাটা ববছাঁট চুলে কালোর সাথে সাথে আরো অনেক রঙের মিশেল চোখে পড়ে। তবে শরীরের গঠন রোগার দিকেই। দৈহিক গড়ন বলতে 32-30-32, ব্রা পরে কিনা জানা নেই।
5) সুনির্মল রায় – রায় বাড়ির ছোটোছেলে ও দূর্নিবার বাবুর ভাই। বয়স ওনার তুলনায় অনেকটাই কম। বয়স ৪৩ বছর। দাদার মতন খুব বেশী শিক্ষিত নন। তাই এই ছোটো প্রাইভেট কোম্পানীতে ততোধিক ছোটো ও কম মাইনেতে কাজ করেন। দাদার আবাসনেরই তৃতীয় তলায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকেন। দাদার তুলনায় কম রোজগার বলে দাদাকে ভয় পাওয়ার সাথে সাথে হিংসেও করেন। তবে রায়বাঘিনীর বৌদির ভয়ে তা মনেতেই থেকে যায় সর্বদা। বৌদির আদেশে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অসুস্থ ও শয্যাশায়ী মাকে নিজের কাছেই রাখতে হয়েছে। তবে ডাক্তার ও ওষুধের খরচা বাবদ মাসোহারা দাদার কাছ থেকে আদায় করতে ভোলে না। নেশা বলতে কলেজবেলার সিগারেট আর ক্রিকেট। বউকে অতিরিক্ত ভালোওবাসে না আবার বিনা কারণে হতোচ্ছেদাও করে না। এক কথায় অম্ল মধুর সম্পর্ক। শারীরিক গঠন সামান্য হলেও ক্ষয়িষ্ণু। তার সাক্ষ্য ওর বেরিয়ে থাকা কণ্ঠার হাড় দুটো দেয়।
6) অনুরাধা রায় – রায় বাড়ির ছোটো বউ সুনির্মলের স্ত্রী। প্রথমে কলেজের প্রেম, সেখান থেকে ছাদনাতলা পেরিয়ে রায়বাড়ির অন্দরমহল। বিয়ের এক যুগ কেটে যাওয়ার পরে প্রেম জানালা দিয়ে পালাবার চেষ্টায় রত। তার প্রতি স্বামীর বর্তমান ঔদাসিন্য কয়েক বছর আগে হলেও এখন আর মনে দাগ কাটে না। সাংসারিক কাজ, অসুস্থ শাশুড়ির দেখভাল, ছেলের হোমওয়ার্ক এতেই দিন কেটে যায়। মাঝেমধ্যে যেরাতে বরের বুকের তলায় পিষে যাওয়ার সুযোগ পায়, সেই রাতে ঘুমটা একটু বেশীই গাঢ় হয়, এইটুকুই। বয়স ৩৭। তবে শরীর স্বাস্থ্যের বাঁধুনী বেশ মজবুত। তা না হলে বছর দশেকের এক ছেলের মা হয়েও যে এই বয়সে শরীরের চটক রাখা যেতে পারে, তা ওকে দেখে শেখা যেতে পারে। তবে তার জন্য জিম-যোগার প্রয়োজন পড়ে না। উদয়াস্ত সাংসারিক খাটুনিই ওর ব্যায়ামের কাজ করে। আর পাঁচটা সাধারণ গৃহবধূর মতোই সিরিয়ালের নেশা। আর মুঠোফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা মায়ের সাথে কথোপকথন। ভাসুরকে ভালোবাসে। শ্রদ্ধাও করে। তবে জায়ের প্রতি মনোভাব একটু হলেও প্রচ্ছন্ন। মুখে মুখে কথা বলে না ঠিক কথা, তবে মাঝে মধ্যে দু একটা কথা মুখ ফসকে বেরিয়ে যায় বৈকী। যাইহোক গায়ের রঙ মাঝারী। দৈহিক গড়ন বলতে 34-32-34। এবং শোনা যায় 34B সাইজের ব্রা পরে।
৭) ইভান রায় – বয়স ১০ বছর। গোলগাল মিষ্টি চেহারার একটি ছেলে। ক্লাস ফোরে পড়ে। মায়ের থেকে বাবাকে যথেষ্ট ভয় পায়। ভিডিও গেম একমাত্র নেশা। এই কাহিনীতে এর উপস্থিতি অনেকটা নুনের মত। অর্থাৎ স্বাদ অনুযায়ী।
পরিচয়পর্বের পালা যখন শেষ তখন এবার মূল কাহিনীতে প্রবেশ করা যাক। এরা ছাড়াও পরবর্তিকালে হয়তো আরো অনেক চরিত্রের আনাগোনা হতে পারে। তাদের আগমণের পূর্বেই তাদের যথোচিত পরিচয় ও বর্ণণা দিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত এই ছয়জনের মধ্যেই এই কাহিনীর অবতারণা চলবে। গোটা কাহিনীটি এই রায় পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে দেখানো হয়েছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।