What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আমার বান্দরবেলা ... (1 Viewer)

আমার বান্দরবেলা – ১(সংগ্রহীত)
সংগ্রহীত হলেও মজা কোন অংশে কম না।

আমার বান্দরবেলা – ২(সংগ্রহীত)

খালুর দুঃখ দুর করার গুরু দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুইলা নিলাম।একদিন রাতে খালু ঘুমের ঔষুধ খায়া ঘুম দিছে এই ফাঁকে আমি খালুর চকচকা টাকে কালো কালি দিয়া নতুন চুল গজায় দিলাম,কানের দুইপাশে দুইটা জুলপিও আইকা দিছিলাম।পরের দিন ঘুম থেইকা জাগার পর খালু নিজের মাথায় ভ্রমর কালো কেশ দেইখা পুরা ভীড়মি খায় অবস্থা।এরপর যথারীতি মার কাছে বিচার আর আমার কিন্চিৎ ধোলাই খাওয়া.................

চলবে...

পরোপকারের মহাত্ম টা কেউ বুঝলেন না। আফসোস! 😂

আমার বান্দরবেলা – ৪(সংগ্রহীত)
বড় খালুর মাথায় চুল আঁকার কারনে মাইর খাওয়ার ফলে কয়েকদিন ছবি আঁকা বন্ধ ছিলো।কিন্তু বড় বড় শিল্পীদের কেউ দমায় রাখতে পারেনা।আমি ছবি আকাঁর জন্য জায়গা খুজতে লাগলাম।একদিন দেখি বড়মামা তার ঘরে উবু হইয়া শুইয়া আছে।আর তার লুঙ্গী পা ঢাকা বাদ দিয়া মাথা ঢাকার তালে আছে।মামার ফর্সা পাছা দেইখা ভাবলাম শিল্প চর্চার জন্য এর চেয়ে সুন্দর ক্যানভাস হইতে পারে না।ব্রাশ আর রং নিয়া আইসা মামার দুই পাছায় সুন্দর কইরা দুইটা চোখ আইঁকা দিলাম আর কোমড়ে একগাছি চুল।পাছার মাঝখানে চেড়া ছিলো দেইখা নাক,ঠোট আঁকতে পারি নাই।

এতো মহান চিত্রকর্মের কথা কেউ জানতেও পারলো না!

আমার বান্দরবেলা(সংগ্রহীত)

গ্রামেরবাড়ি থেইকা ঢাকায় আসার পর জানতে পারলাম আমার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পর থেইকা নানার কালো ছাগলটা নাকি সারা উঠান জুইড়া খুশির চোটে ধেঁই ধেঁই কইরা নাইচা বেড়াতেছিলো আর চোখের সামনে যা পড়তো(ছোট মামার লুঙ্গী থেইকা শুরু কইরা রান্না ঘরে ভাতের পাতিল) সবই গলধকরনের চেষ্টা করছিলো।একদিন নাকি মেঝো খালু সকালে উঠানে দাড়ায়া দাড়ায়া দাত মাজতে ছিলো এইসময় কালো ছাগলটা নাকি তার লুঙ্গী ধইরা টান মাইরা সবার সামনে বেইজ্জ্বত করছিলো।এইসব অভিযোগ শুইনা ছাগলটারে জব্দ করার উপায় খুজতে লাগলাম।একদিন দুপুরে বারান্দায় বইসা নানীর পান খাওয়া দেখতে ছিলাম।এমন সময় মাথায় প্রশ্ন জাগলো ছাগল যদি পান খায় তাইলে ওদেরও কি ঠোট লাল হবে?এইসব চিন্তা কইরা নানী ঘরে চইলা গেলে পানের বাটা থেইকা একটা পান নিয়া খিলি বানায়া তার মধ্যে হাকিমপুরী জর্দার ডিব্বা পুরাটা ঢাইলা দিলাম।আমার হাতে পান দেইখা ছাগলটা ড্যাবড্যাব কইরা তাকায়া আছিলো।আমি পানটা সামনে ধরতেই মুখের মধ্যে নিয়া দুই চাবান দিয়ে কোৎ কইরা গিলা ফালাইলো।একটু পর জর্দার প্রভাবে নাকমুখ দিয়া দোয়া বাইর করতে করতে সারা উঠানে ব্যা ব্যা কইরা দাপাদাপি করতে লাগলো।উঠানের এককোনে নানার সাদা ছাগলটা চুপচাপ দাড়ায় ঝিমাইতে ছিলো।কালো ছাগলটা দাতমুখ খিঁচায়া তেইড়া আইসা সাদা ছাগলটার পাছায় রাম কামড় বসায় দিলো।কামড় খায়া সাদা ছাগলটা সামনে ফিরা দুই পা উঁচা কইরা কালোছাগলের মাথার মাঝ বরাবর ক্ষুর দিয়া একটা গাট্টা বসায় দিলো।গাট্টা খায়া কালো ছাগলটা জিব আধহাত বাইর কইরা উঠানে মুখ থুবড়ায়া পড়লো।এর আগে মানুষরে জ্ঞ্যান হারাইতে দেখছি।কিন্তু ছাগলও যে জ্ঞ্যান হারাইতে পারে ঐবারই প্রথম দেখলাম।এই ঘটনার কয়েকদিন পর কালো ছাগলটা লজ্জ্বা লজ্জ্বা মুখ কইরা সাদাটার সাথে ভাব করতে আসলেও।সাদা ছাগলটা কালো ছাগলটারে দেখা মাত্রই দুই পা উঁচা কইরা গাট্টা মারার জন্য রেডী হয়া থাকতো…………………….

ক্লাশ নাইনে উঠার পর এক স্যারের কাছে ব্যাচে পড়তাম।ঐ ব্যাচে আমাদের সাথে কয়েকটা মেয়েও পড়তো।এদের মধ্যে একজনের সাথে খুব ভাব হয়া গেছিলো।একদিন স্যারের বাসার সামনে গিয়ে দেখি ঐ মেয়ে একা একা দাড়ায় আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,” দাড়ায় আছো কেন?” মেয়ে কইলো, “আজকে ক্লাশ করবো না”।আমি বললাম,”তাইলে কি করবা”,মেয়ে কইলো,”চলো ঘুরতে যাই”। পকেটের অবস্থা চিন্তা কইরা প্রথমে একটু গাঁইগুই করলেও মেয়ের সমগ্র বাংলাদেশে পাঁচটন ট্রাকের হেডলাইটের মতো বড়বড় ভাসাভাসা অক্ষিযুগলের দিকে তাকায়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হইলাম।একটা রিক্সা নিয়া ধানমন্ডির ভিতর ঘন্টাখানেক ঘুরাঘুরির পর ৮নং পার্কে গিয়া বইসা গল্প করতে লাগলাম।একটু পর দেখি মেয়ে কেমন জানি উদাস হয়া আকাশের দিকে তাকায় আছে।আমি জিজ্ঞেস করলাম,”কি হইছে?” প্রশ্ন শুইনা মেয়ে দেখি আরও উদাস হয়া আকাশ দেখা শুরু করলো।আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হইছে বলবা তো!!!’ মেয়ে উত্তর দিলো,’কিছু হয় নাই’।আমি কইলাম, ‘তাইলে চুপ কইরা আছো কেন?মন খারাপ?”মেয়ে কইলো,’না’……”তাইলে কি পেট ব্যাথা করতেছে?”।মেয়ে চোখ পাকায়া উত্তর দিলো,পেট ব্যাথা করবে কেন? আমার কি পেট খারাপ নাকি?।একটু পর উশখুশ করতে করতে মেয়ে কইলো,”ক্ষুদা লাগছে”।আমি কইলাম কি খাবা?।মেয়ে কয়,”জানি না?।আমি বললাম,ফুচকা খাবা?…..না……..ঝালমুড়ি খাবা?……ঝালমুড়ি খাবো কেন?জানো না আমার গ্যাস্ট্রিক আছে?…..আইসক্রীম?…….ঠান্ডা লাগবে……..তাইলে একটা কোক খাও……….কোক খায়া কি পেট ভরবে নাকি?…….আমি এবার কইলাম,”তাইলে আমারে খাও……..।মেয়ে উত্তর দিলো তোমার শরীরে তো হাড্ডি ছাড়া কিছুই নাই।তোমারে খায়া কোন লাভ নাই……এতো হাদুমপাদুম শুইনা আমার গেলো মেজাজ খারাপ হয়া……আমি এবার কইলাম,”তাইলে একটা পাদ দেই,পাদ খাও…….একথা শুইনা মেয়ে বড়বড় চোখ কইরা আমার দিকে তাকায়া থাকতে থাকতে কান্ধে ঝুলানো ব্যাগ দিয়া আমার নাক বরাবর সোজা একটা বাড়ি মারলো……….এরপর একটা রিক্সা ডাইকা চইলা গেলো……এরপর যতদিন স্যারের কাছে পড়ছি ঐ মেয়ে আমার সাথে কথা কয় নাই……..

মেয়েটা খুব সুন্দর আছিলো

আমার বান্দরবেলা – ৫সংগ্রহীত)

নানার ২ টা ছাগলই আমারে অনেক যন্ত্রনা করছে,তবে চার বার ডলা খাওয়ার পর আমারে দেখলেই উল্টাদিকে দৌড় দিতো।ফলে আমিও কিছু করার সুযোগ পাইতাম না।এসব কারনে মনটা প্রায়ই উদাস থাকতো।অবশেষে একদিন সুযোগ আসলো।দুপুরবেলায় দেখি ছগল দুইটা রোদে বইসা ঝিমাইতেছে।আমি রান্নাঘর থেইকা মরিচের গুড়া আইনা ছাগল দুইটার পশ্চাৎদেশে পুরা বয়াম ঢাইলা দিলাম।একটু পর পাছা জ্বলা শুরু করলে ছাগল দুইটাই কিয়ামত আইসা গেছে এমন ভাব কইরা চিৎকার শুরু করলো সেইসাথে একেকটা লাফে দশ হাত উপরে উইঠা যাইতে লাগলো।মা ছাগলের চিৎকার শুইনা লাঠি হাতে বাইর হইলো আমারে মারার জন্য,ততোক্ষনে আমি এক লাফে বাসার বাইরে।পরে বাসায় আইসা শুনি কালো ছাগল টা নাকি লাফালাফি করতে করতে বাসার দেয়ালে উইঠা গেছিলো।এই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন ছাগল দুইটা পাছা চিপায় চিপায় হাটতো আর করুন সুরে ম্যাৎকার করতো।

চলবে...
পার পাবেনা একটি ছাগলও!
 
আপনার বান্দরবেলা তো দেখতাছি ভালই কাটছে। খালি বান্দ্রামি আর বান্দ্রামি।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top