What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আমার বান্দরবেলা ... (1 Viewer)

মাইন

মাইন
Staff member
Supporter
Joined
Mar 6, 2018
Threads
2
Messages
263
Credits
2,420
Satellite Antenna
আমার বান্দরবেলা – ১(সংগ্রহীত)

এক্ববারে ছুডুবেলা থেইকা শুরু করি....... মার কাছে যতটুকু শুনছি

ছোট থেইকাই নাকি বান্দরের মতো স্বভাব ছিলো।হাসপাতালে জন্মের পর আকাশ বাতাস কাঁপায়া এমনভাবে কানছিলাম যে নার্স আমারে কোলে নিয়া ছিলো সে নাকি আমার আওয়াজ শুইনা ডরের চোটে ভিড়মী খায়া পড়ছিলো।নানা আমার কান্না শুইনা নাকি বলছিলো ভোটের সময় সবাই মাইক ভাড়া দেয়,আমিআমার নাতিরে ভাড়া দিমু,তার গলার আওয়াজ একাই একশ মাইকের কাজ করবে।হাসপাতাল থেইকা বাসায় আনার পর কাউরে শান্তিতে থাকতে দিতাম না এক সেকেন্ডও।সবাই নাওয়া খাওয়া ছাইড়া আমার পিছনে পইরা থাকতো।সবচেয়ে জ্বলাইতাম
রাতেরবেলা।রাত যত গভীর হইতো আমার বান্দরামী তত বাড়তো।আমারে শান্ত কইরা সবাই যখন ঘুমাইতে যাইতো আবার কান্দাকাটি শুরু কইরা দিতাম,এভাবে ভোররাত পর্যন্ত চলতো।সবাইরে জ্বালাইয়া সকালের দিকে ঘুমাইতে যাইতাম আর বাকি সবাই তখন না ঘুমানো লাল লাল চোখ নিয়া দিনের কাজ শুরু করতো

সবচেয়ে বেশি জ্বালাতন করতাম খাবার নিয়া ( এখনও করি)।কোনকিছুই সহজে খাওয়াইতে পারতো না মা আমারে, মুখে কিছু দিলেই ফালায় দিতাম আর নাইলে চোখমুখ উল্টাইয়া এমনভাব করতাম যে ভয়ের চোটে মা আর কিছু দিতে সাহস করতো না।সব পোলাপাইন ফিডার খাইতো দুই হাতে ধইরা আর আমি ফিডার খাইতাম দুই পায়ের মাঝখানে ধইরা।একটু বড় হওয়ার পর ফিডার খাওয়া শেষ হইলে জানালা দিয়া ফিডার ফালায় দিতাম।

মোটামুটি হাটতে শিখার পর আমার প্রিয় খেলা ছিলো বিছানার পাশে জানালার শিক ধইরা ঝুলা ঝুলা খেলা।আরেকটা প্রিয় খেলা ছিলো খাওয়া খাওয়া খেলা,এই খেলায় সমানে যা পাইতাম মুখের ভিতর দিয়া ফেলতাম।এই খেলা খেলতে গিয়ে যে কত পোকামাকড় পেটের ভিতর চালান করছি হিসাব নাই।একবার একটা তেলাপোকা খেয়ে ফেলছিলাম।খাওয়ার পর মুখে ঘা হয়ে গেছিলো সাতদিন লিকুইড খাবার ছাড়া আর কিছু খাইতে পারি নাই।

আমার নানার ২টা ছাগল ছিলো।একটা সাদা আরেকটা কালো।ঢাকা শহরে বাসার ভিতর যে কেউ ছাগল পালতে পারে এইটা আমার নানারে দেইখা বুঝছি।ঐ ছাগলগুলার জন্য আলাদা বিছানা,খাওয়ার প্লেট ,শীতের দিনে ঠান্ডা নিবারনের জন্য কম্বল সব ছিলো।এই ছাগল ২টা আহ্লাদ পাইয়া এমন ভাব নিতো যেন তারা ২টা নবাবজাদা নাসিরুল্লার পায়জামা।ছোটবেলায় বেলায় এই ছাগলা ২টা অনেক জ্বালাইছে আমারে।আমারে দেখলেই তেইড়া আসতো।একবার কালো ছাগলটা মাথা দিয়া আমার পেট ঢুঁশা দিছিলো।এরপর থেইকাই ছাগল দেখতে পারিনা আমি।ছাগল সামনে পড়লেই গদাম লাথ্থি মারি সেটা বাস্তবের ছাগল হোক আর ব্লগের ছাগল হোক।একদিন সাদা ছাগলটার ল্যাজে দড়ি বেঁধে আগুন ধরায় দিছিলাম, আগুনের ছ্যাকায় ছাগল হনুমানের লঙ্কাকান্ডের মতো আমার নানাবাড়িতেও একটা লঙ্কাকান্ড ঘটাবার প্ল্যান করছিলো কিন্টু আমার বড় খালা ছাগলের ল্যাজে জল ঢাইলা দেওয়ায় আমার ছাগলের লঙ্কাকান্ড দেখবার আশা জলে গেলো।

চলবে...
 
আমার বান্দরবেলা – ২(সংগ্রহীত)

আমার ছোট খালার বিয়ে ছিলো প্রেমের বিয়ে।বিয়ের আগে আমাকে বিকালবেলা ঘুরাবার কথা বলে সোশালওয়েলফেয়ার কলেজের মাঠে যাইতো খালুর সাথে দেখা করতে।বাসায় ফেরার পথে সবসময় চকলেট কিনা দিতো দেখা করার কথা যাতে ফাঁস করে না দেই, একদিন দেখা করে ফেরার সময় চকলেট কিনা দিবার কথা ভুইলা গেছিলো,খালাকে সে কথা মনে করায় দিতেই আমারে দিছে এক রামধমক।ধমক খায়া আমি সারা রাস্তায় চুপচাপ।বাসায় ফিরার পর সোজা নানার রুমে ঢুইকা নানারে বললাম খালা এক মোচওয়ালা লোকরে গাল টিইপা আদর করছে আজকে।শুইনা নানা তো পুরা ফায়ার।২য় বিশ্ব যুদ্ধের আমলের একটা গাদা বন্দুক নিয়া ছোট খালারে গুলি করতে বাইর হইছে। আম্মুরা সবগুলি ভাইবোন নানারে খুব ভয় পাইতো,ঐদিন নানার চিৎকার শুইনা যে যেখান দিয়া পারছে দৌড়ায়া পালাইছে,আমার নানিও ভয়ের চোটে বাথরুমে গিয়া দরজা বন্ধ কইরা বইসা ছিলো সন্ধ্যা পর্যন্ত বাইর হয় নাই।আর ছোট মামা দুইতালার কার্নিশে নাইমা আর নিচে নামার উপায় খুইজা পায়না আবার নানার ভয়ে রুমেও ঢুকতে পারেনা।একবার নানা জানালা দিয়া কি মনে কইরা যেন উকি মারছিলো,ছোট মামা নানার হাত থেইকা বাচাঁর জন্য কার্নিশের পাশে বাথরুমের পাইপ বেয়ে নামতে গিয়া পুরা ফান্দে,নামতেও পারেনা,উঠতেও পারেন,অনেকক্ষন এভাবেই ঝুইলা ছিলো।আর ছোট খালা নানার রুমেই খাটের নীচে লুকায় ছিলো।

বহুৎ ঝামেলার পর ছোট খালার বিয়া ঠিক হইলো খালুর সাথে।বিয়ার দিন আমারে আর খালুর এক ভাগ্নীরে ছোট জামাই বউ সাজায়া বসায় দিলো খালা,খালুর পাশে।বিয়ে শেষে খালু,খালারে নিয়া গাড়ীতে উঠবে এমন সময় আমি দিলাম মড়া কান্না জুইড়া,কারন আর কিছুই না আমার খালুর ভাগ্নীও বরযাত্রীর সাথে চইলা যাবে।আমি আমার বউরে (খালুর ভাগ্নী) কিছুতেই যাইতে দিমু না,মেঝেতে গড়াগড়ি কইরা কান্না শুরু কইরা দিলাম।সবাই যতই আমারে বুঝায় আমি বুঝি না, বলতে লাগলাম খালু খালারে বিয়ার পর নিজের বাসায় নিয়া যাইতেছে আমিও আমার বউরে আমার বাসায় নিয়া যামু।আমার কান্না দেইখা খালুর ভাগ্নীও কান্দাকাটি লাগায় দিছিলো, সে মনে করছিলো তারে সত্যি সত্যিই রাইখা সবাই চইলা যাবে।আমারে সবাই বুঝ দিলো যে তোমার বউ আজকে কাপড়চোপড় সাথে নিয়া আসে নাই তাই থাকতে পারবে না কালকে সবকিছু নিয়া তোমার কাছে চইলা আসবে।পরেরদিন ভোরে উইঠা গেলাম বউরে শুভেচ্ছা জানাইতে,হাজার হোক আজকে আমার কাছে চইলা আসবে বাপমারে রাইখা।কিন্তু সারাদিন,দুপুর,বিকাল অপেক্ষা কইরাও দেখি বউয়ের দেখা নাই,দিলাম আবার মড়া কান্না জুইড়া,কান্দার চোটে আমার চোখমুখ প্রায় উল্টায় যায়।পরে বড় মামা খালার শশুর বাড়ীতে আমার বউয়ের কাছে রাইখা আসছিলো।২ দিন ছিলাম ঐ বাসায় ঘরজামাই হইয়া।

আমার সেঝো খালা খুব সুন্দর ছবি আঁকতো।একদিন খালা একটা মেয়ের পোট্রেট আঁকা শেষ করে অন্যরুমে গেছে আমি এই ফাঁকে ঐ ছবির মেয়েটার মুখের দুইপাশে দিছি দুইটা মোছ আঁইকা।মোছ আকার পর মেয়েটার সৌন্দর্য্য আরও বেড়ে গেছিলো কিন্তু আমার বেরসিক খালা সেটা বুঝতে না পাইরা মার কাছে ধইরা নিয়া বিচার দিলো।মা সাথে সাথে নগদে আড়াইমনি ২টা থাবড়া আমার মাসুম গালে বসায় দিলো।কয়দিন পর আবার আমার ভিতরের শিল্পী সত্ত্বা জাইগা উঠলো,দুপুরে খাবার পর মার ঘুমের অভ্যাস ছিলো,এক দুপুরে মা ঘুমাইতেছে,আমি খালার ছবি আঁকার ব্রাশ আর রং চুরি কইরা মার মুখে সুন্দর ২টা চাইনিজ মোছ আঁইকা দিলাম।ঘুম থেইকা জাগার পর মা ঘর থেইকা বাইর হওয়ার পর সবাই মারে দেইখা খিকখিক হাসা শুরু করলো।মা হাসার কারন না বুইঝা সবাইরে বলতে লাগলো, ''কি হইছে? তোমরা আমারে দেইখা হাসতেছো কেন?'' একটু পর আয়নায় চেহারা দেইখা মা তাইম্মার বাচ্চা বইলা এক বিকট চিৎকার দিয়া আমারে ধরতে আসলো।আসার সময় হাতের কাছে এক লাউ পাইয়া ঐটা এক হাতে উঁচায়া ধইরা আমারে দৌড়ানি দিলো।ঐদিন মারে দেইখা মনে হইতেছিলো গদা হাতে শাড়ি পড়া ভীম (পন্চপান্ডবের এক পান্ডবের নাম হইছে ভীম) দৌড়াইতেছে।এরূপ নানা গৃহস্থালী অত্যাচার সত্ত্বেও আমার শিল্প সত্ত্বারে কেউ দমায় রাখতে পারে নাই।আমার পরবর্তী শিল্পকর্মের জন্য বড় খালুর টাকরে বাইছা নিলাম।খালুর টাক ছিলো তেল মাখানো তরমুজের মতো চকচকা।চুল নাই দেইখা খালু সবসময় খুব দূঃখ করতো।খালুর দুঃখ দুর করার গুরু দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুইলা নিলাম।একদিন রাতে খালু ঘুমের ঔষুধ খায়া ঘুম দিছে এই ফাঁকে আমি খালুর চকচকা টাকে কালো কালি দিয়া নতুন চুল গজায় দিলাম,কানের দুইপাশে দুইটা জুলপিও আইকা দিছিলাম।পরের দিন ঘুম থেইকা জাগার পর খালু নিজের মাথায় ভ্রমর কালো কেশ দেইখা পুরা ভীড়মি খায় অবস্থা।এরপর যথারীতি মার কাছে বিচার আর আমার কিন্চিৎ ধোলাই খাওয়া.................

চলবে...
 
আমার বান্দরবেলা – ৩(সংগ্রহীত)

ছুডু থাকতে প্রতি শুক্রবারে লুঙ্গী পরা এক হুজুর আরবী পড়াইতে আসতো।বাসার খোলা বারাম্দায় পাটিতে বইসা হুজুরের কাছে পড়তাম।পড়াইতে আইসা হুজুরের প্রধান কাজ ছিলো নিজের নাক থেইকা ময়লা বাইর করে গোল করে পাকাইয়া ভলিবল খেলা,মাঝে মাঝে লন টেনিস খেলার মতো ঐ ময়লা আমার দিকে ছুইড়া মারতো।একদিন পড়া পারি নাই দেইখা চুলের ঝুটি ধইরা মাথার ঘিলু নাড়ায় ফেলছিলো,মাইরটাইর দেয়া শেষে হুজুর যাওয়ার জন্য উইঠা দাড়াইছে সাথেসাথে আমি দুই হাতে হুজুরের লুঙ্গী নিচের দিকে টান মাইরা একদৌড়ে বাথরুমে ঢুইকা দড়জা বন্ধ করে ফুটা দিয়া তাকায় আছি।ঠিক ঐ সময়ই নানা তার এক বন্ধুরে নিয়া ঘর থেইকা বাইর হয়া দেখে হুজুরের লুঙ্গী খোলা আর হুজুর বেকুবের মতো খাড়ায় আছে।এরপরে হুজুর আর পড়াইতে আসে নাই।

একবার বাবা বিদেশ থেইকা আসার সময় আমার জন্য একটা ঘড়ি আনছিলো।প্রতিদিন শার্ট,হাফপ্যান্ট আর টাই আর ঐ ঘড়ি
পইরা ছোট মামার সাথে সান্ধ্যভ্রমনে বাইর হইতাম।ঘুরাঘুরির সময় একটু পরপর ঘড়িতে সময় দেখতাম আর নিজের মনেই জোরে জোরে কয়টা বাজছে বলতাম, বলার পর চারপাশে এমনভাবে তাকাইতাম যেন সময় জানাইয়া এতো বড় ঢাকা শহরের অবার্চীন মুর্খ মানুষগুলিরে দয়া করতেছি।একদিন ঘড়িতে সময় দেখতে দেখতে রাস্তা দিয়া হাটার সময় ধপাস করে ম্যানহোলের মধ্যে পড়ে গেছিলাম,ছোটমামার চিল্লাচিল্লিতে আশেপাশে লোকজন জড়ো হইয়া আহা উহু শুরু কইরা দিলো,কিন্তু কেউ আমারে উঠাইবার নাম নেয় না,এদিকে আমার, ম্যানহোলের ভিতর দিয়া ভাসতে ভাসতে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে রুট চেন্জ কইরা চীনে যাবার ব্যবস্থ্যা প্রায় হয় হয়। শেষ পর্যন্ত এক লোক মামার কাছ থেইকা টাকা নিয়া আমারে উঠাইছিলো।আমার উঠানোর সাথে সাথে গন্ধের চোটে লোকজনের ভীড় চোখের পলকে ফঁকাফঁকা।এদিকে মামা আমারে ধরতেও পারেনা আবার ছাড়তেও পাড়েনা শেষে দোকান থেইকা প্লাষ্টিকের ব্যাগ কিইনা ঐটা হাতে প্যাচায়া আমারে ধইরা বাসায় আনছিলো।বাসায় আসার পর দেখি পাশের বাসার ফিচঁকা টাইপের একমেয়ে আর ওর মা উঠানে দাড়ায় আমার মার সাথে গল্প করতেছে।আমারে দেখা মাত্র ঐ মেয়ে ওর মারে খুঁচা মাইরা কয় "আম্মু দেখ দেখ ঐখানে একটা গন্ধওয়ালা মামদো ভূত দাড়ায় আছে"।এদিকে আমার শরীরের ফরাসী সৌরভের সুগন্ধে বাসার চারদিক মৌঁ মৌঁ করতেছিলো,মামা খালা,নানা,নানী সবাই ছুইটা আসলো এমন পাগল করা সুগন্ধের উৎস খুজতে।অনেক কান্ডকারখানার পরে সবাই মিইলা মীটিং এ বসলো যে কে আমার এহেন সুগন্ধ সহ্য কইরা গোছল দেওয়াবে.....অনেক কাহিনীর পর ঠিক হইলো মা আর ছোট খালা মিলে জয়েন্ট ভেন্চারে আমারে পাকপবিত্র করবে। গোছল করানের সময় গন্ধের চোটে মা আর খালা দুইজনেই কাছে ঘেষতে পারেনা।শেষ পর্যন্ত ছোট খালা কোথ্থেইকা যেন একটা দশ হাত লম্বা ব্রাশ নিয়া আইসা ঐটা দিয়া ঘইষা ঘইষা ময়লা দুর করছে।কিন্তু ময়লা পরিস্কার হইলেও শরীরের গন্ধ দূর হয় না,২টা কসকো সাবান পুরাটা ঘষার পরেও শরীর থেইকা ভূরভূর কইরা ময়লার গন্ধ বাইর হইতেছে।ঐ সময় আমি বাবা,মার সাথে এক বিছানায় ঘুমাইতাম,ঐ ঘটনার রাতে দুইজনেই নাকে মুখে মুখে কাপড়া বাইন্ধা ঘুমাইছিলো।তবে ঐ ঘটনার পর ছোটমামার উপর অনেক রাগ করছিলাম কারন ছোট মামার বোকামীর জন্যই আমার চীন দেশ দেখা হইলো না অথচ আর কিছুক্ষন ম্যানহোলে থাকতে পারলেই ভাসতে ভাসতে সোজা চীনে পৌছায় যাইতাম।

একবার নানা ঠিক করলো বড় মামারে বিয়া দিতে হবে।সবাই মিলে পাত্রী খোজা শুরু কইরা দিলো।এক ঘটক নানারে বললো আমার কাছে একটা মেয়ে আছে দেখতে পুরা নাগিন সিনেমার শ্রিদেবীর মতো।বড় মামা মেয়ের বর্ণনা শুইনা বললো এত টাকাপয়সা খরচ কইরা সাপ বিয়া করমু নাকি?,বাসর রাতে একবার একটা ঠোকর দিয়া বসলে আমার স্বর্গবাস ঠেকায় কে?।আবার সাপ নাকি পুর্নিমার রাতে নাচানাচিও করে,বিয়ার পর মেয়ে কোন না কোন খালবিলে গিয়ে সঙ্গীসাথী নিয়া নাচানাচি করবো রাইত বিরাইতে তারে খুজতে আবার কে যাবে।বহুৎ কিচ্ছাকাহিনীর পর একজন মেয়ে ঠিক হইলো।সবাই মিইলা পাত্রীর বাসায় গেলাম তারে দেখতে।পাত্রী সবার জন্য চা নাস্তা নিয়া আইসা লাজুক লাজুক মুখে চুপ কইরা বইসা রইলো। কথাবার্তা চলতেছে এমন সময় দেখি সবাই নাঁক কুচকানো শুরু করছে,একটু পর টের পাইলাম কে যেন বিষাক্ত বায়ু নির্গমন করছে।মা আমার দিকে এমন ভাবে তাকায়লো যেন আমিই ঐটার জন্য দায়ী,অবশ্য কারনও ছিলো,ছুডুবেলায় হাবিজাবি খাওয়ার ফলে প্রায়ই আমি পিছনদিক দিয়া ফরাসী সৌরভ ছাড়তাম।আমার একেকটা বায়ু একেকটা পরমাণু বোমের ন্যায় শক্তশালী আছিলো।বায়ু থেইকা পরমানু বোম বানানের কোন উপায় থাকলে এতো দিনে বড়লোক হইয়া যাইতাম।আম্রিকা,রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা আমারে মাথায় যে তুলতো আর নীচে নামাইতো না। অবশ্য মাথার উপরে তোলা অবস্থায় বায়ু ছাড়লে তাদের মারা যাবার আশঙ্কাও উড়ায় দেওয়া যাইতো না।

যাই হোক, বায়ু ছাড়ার মিথ্যা অপবাদ থেইকা বাচাঁর আশায় চরিদিকে অনুসন্ধান চালাইতে লাগলাম।সবার পিছনদিকে ঘুইরা ঘুইরা শুঁকতে লাগলাম কে সেই কালপ্রিট।অবশেষে আবিস্কার করলাম বায়ু ছাড়ার জন্য আর কেউ না, স্বয়ং লাজুক মুখের পাত্রীই দায়ী।আবিস্কারের অতিশায্যে চিৎকার কইরা সবাইরে জানায় দিলাম,"মামার জন্য যে মেয়ে তোমরা ঠিক করছো সেই বায়ু ছাড়ছে"।এ কথা শুইনা পাত্রী পারলে কাইন্দা দেয় ।আরও ছুডুবেলায় শুনছিলাম,"অধিক শোকে মানুষ পাথর হয়' আমার কথা শুইনা পাত্রীর বাবা অধিক শোকে গ্রানাইট হয়া গেলো।বাসায় আসার পর মামা বললো, "আমি এই মেয়েরে বিয়া করুম না।এই মেয়ে যদি বাসর রাতে এমন ভাবে ঠাশ ঠাশ কইরা পাঁদ মারতে থাকে,তাইলে পরেরদিন পুলিশ আইসা ঘরের মধ্যে বোমা ফাটাইয়া সন্ত্রাসী কার্যকালাপের জন্য আমারে থানায় নিয়া যাবে। তাছাড়া মেয়ে যদি সারারাত এমনে পাদ মারতে থাকে তাহলে সকালে উইঠা তোমরা, আমার, গন্ধের চোটে মমি হয়ে যাওয়া লাশ পাইবা,পত্রিকায় খবর আসবে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে বাসর রাতে মেধাবী স্বামীর মৃত্যু, নববধূ গ্রেপ্তার"......

চলবে...
 
আমার বান্দরবেলা – ৪(সংগ্রহীত)
একবার খালার সাথে তার বান্ধবীর বাসায় বেড়াইতে গিয়া দেখলাম একটা মুরগী ডিমের উপর বইসা আছে,খালারে ডিমের উপর বসার কারন জানতে চাইলে বললো মুরগী ডিমে তাঁ দিতেছে বাচ্চা ফুটানের জন্য।বাসায় আসার পর আমারও ওমন কইরা ডিমে তা দিতে ইচ্ছা হইলো,রান্না ঘরে খুইজা কয়েকটা ডিম নিয়া উঠানের উপর রাইখা আমিও তাঁ দিতে বইসা গেলাম।বসার সাথে সাথে দেখি ডিম ভাইঙ্গা আমার প্যান্টের সাথে লেপটায় গেছে।আমার কান্ড দেইখা ছোট খালা চিৎকার দিয়া মা রে ডাক দিয়া কয় দেখেন আপনের পোলা কান্ড দিনদুপুরে তার বাচ্চা ফুটানের খায়েশ হইছ.খালারে কইলাম,বাচ্চা কি রাত দুপুরে ফুটামু নাকি?।এরই মধ্যে মা খুইজাপাইতা কই থেইকা জানি একটা লাঠি নিয়া আমারে দৌড়ানি দিলো।ঐ দিন দৌড়ানির সময় বারবার দূর্গাদেবীর কথা মনে পড়তেছিলো।দেবী যেমনে অসুররে মারার জন্য খড়গ হাতে দৌড়ানি দিছিলো আমারেও মা তেমনি কইরা দৌড়ানি দিয়া ঘরের ভিতর তাড়ায় নিয়া আসলো।মার হাতে দৌড়ানি খাবার পরও ডিমে তা দেওয়ার ইচ্ছা রয়া গেলো।এইবার ভাবলাম শক্ত কিছুতে তাঁ দিতে হবে যাতে না ভাঙ্গে।অনেক খুজাখুজির পর বড় খালুর চকচকা টাক টা পছন্দ হইলো।কিন্তু বড় খালু তো সেচ্ছায় তার মাথারে তাঁ দিতে দিবেনা।অনেক মাথা খাটায়া বাইর করলাম খালু ঘুমাইলে তাঁ দিতে হইবো।বড় খালুরে যদি তা দিয়া ফ্রি তে একটা বাচ্চা ফুটায়া দিতে পারি তাইলে আর আমার উপর রাগ করবে না।কয়েকদিন পর খালু দুপুরে নাক ডাইকা ঘুমাইতেছে এইফাঁকে আমি খালুর মাথার উপর তাঁ দিতে বইসা গেলাম,বসতে না বসতে পিছনদিক দিয়া বিষাক্তবায়ু ছাইড়া দিছিলাম,গন্ধ পাইয়া খালু ধড়মড় কইরা উইঠা কইলো,"তুমি আমার মাথার উপর কি কর?।আমি কইলাম, "আপনের মাথারে তা দিয়া বাচ্চা ফুটাইতেছি"।এ কথা শুইনা খালু আমারে চ্যাং দোলা কইরা মার কাছে দিয়া আসলো।তারে অনেক কইরা বুঝাইতে চাইলাম একটা বাচ্চা ফুটাইতে পারলে তারই লাভ,সে আরেকটা বাচ্চা ফ্রিতে পাবে।কিন্তু আমার গোয়াঁড় খালু কিছুতেই বুঝলো না যে আমি তার কতবড় উপকার করতে চাইছিলাম।ঐদিন নানা মার খাওয়ার হাত থেইকা বাঁচায় দিছিলো।
কয়েকদিন পরও ডিমে তাঁ দেওয়ার কথাটা মাথা থেইকা সরাইতে পারলাম না।একদিন মারে জিজ্ঞেস করলাম,আম্মু আমি কেমনে হইছি?" মা কইলো, "তুমি পেটের ভিতর থেইকা আসছো"।আমি কইলাম তাইলে পেট রে কে তাঁ দিছিলো?তুমি বাবার পেটে বইসা তাঁ দিছো নাকি বাবা তোমার পেটে বইসা তাঁ দিছে"।একথা শুইনা মা গালে একটা থাবড়া বসাইয়া বললো,'বেশী পাকনা হইছো"।
সেদিন মায়েরকাছে থাবড়া খাওয়ার কারন ক্লাশ ৯ এ উইঠা বুঝছি।
ছুডুবেলায় জ্বর হইলে মা মাথায় পানি ঢালতো।একদিন টেলিভিসন দেখতেছি হঠাৎ টিভির উপরে হাত দিয়া দেখি গরম হয়া গেছে।টিভির জ্বর হইছে মনে কইরা সাথে সাথে মগে কইরা পানি আইনা টিভির উপরের ফুটাগুলি দিয়া ঢাইলা দিলাম।একটু পর দেখি ফটাশ কইরা শব্দ কইরা টিভি বন্ধ হয়া গেছে।আমি মারে ডাইকা আইনা বললাম আম্মা টিভি মইরা গেছে।আম্মা টিভির অবস্থা দেইখা কইলো," টিভির উপর পানি ঢালছো কেন?"আমি কইলাম টিভির জ্বর হইছিলো তাই মাথায় পানি দিছি,কিন্তু জ্বর মনে হয় বেশী ছিলো তাই টিভি মইরা গেছে।
বড় খালুর মাথায় চুল আঁকার কারনে মাইর খাওয়ার ফলে কয়েকদিন ছবি আঁকা বন্ধ ছিলো।কিন্তু বড় বড় শিল্পীদের কেউ দমায় রাখতে পারেনা।আমি ছবি আকাঁর জন্য জায়গা খুজতে লাগলাম।একদিন দেখি বড়মামা তার ঘরে উবু হইয়া শুইয়া আছে।আর তার লুঙ্গী পা ঢাকা বাদ দিয়া মাথা ঢাকার তালে আছে।মামার ফর্সা পাছা দেইখা ভাবলাম শিল্প চর্চার জন্য এর চেয়ে সুন্দর ক্যানভাস হইতে পারে না।ব্রাশ আর রং নিয়া আইসা মামার দুই পাছায় সুন্দর কইরা দুইটা চোখ আইঁকা দিলাম আর কোমড়ে একগাছি চুল।পাছার মাঝখানে চেড়া ছিলো দেইখা নাক,ঠোট আঁকতে পারি নাই।
বাবারে শেভ করতে দেইখা আমারও খুব শেভ করতে ইচ্ছা করতো।একদিন বাবার রেজর নিয়া মাথার দুই পাশে দুইটা টান মারলাম একটু পর দেখি ধানক্ষেতের আঁইলের মতো আমার মাথার দুইপাশে দুইটা আঁইল তৈরী হইছে।শেভ কইরা বাইর হওয়ার পর আমার নতুন স্টাইল দেইখা সবাই পারলে ভিড়মী খায়।পরে সেলুনে গিয়া পুরা মাথা ন্যাড়া করতে হইছিলো।ঐদিন রাতে একটা বিয়ার দাওয়াত ছিলো ন্যাড়া মাথার কারনে যাইতে না চাইলে সবাই আমারে রাইখাই বিয়া খাইতে চইলা গেছিলো........................
চলবে...
 
আমার বান্দরবেলা(সংগ্রহীত)

দাদার বাসায় এক হুজুর লজিং থাকতো।বড় বড় লম্বা দাড়িওয়ালা ঐ হুজুরের প্রায়ই আমারে দেখলে কোলে নিয়া আদর করতো।হুজুরের কোলে নেওয়া সহ্য হইলেও তার শরীরের বোঁটকা ঘামের গন্ধে চোখমুখ উল্টায়া আসতো তাই হুজুরের কোলে উঠতে চাইতাম না।কিন্তু হুজুর আমাকে দেখলেই কোলে নিয়া অদ্ভুত ভঙ্গীতে শরীর দুলাইতো।একদিন দুপুরে খুঁচানের মতো কিছু না পায়া আমি আর চাচাতো ভাই উদাস বদনে ঘুরাঘুরি করতে ছিলাম এমন সময় চোখে পড়লো হুজুরের ঘরের দড়জা খোলা।আমরা দুইজন দড়জার সামনে গিয়ে উঁকি দিয়া দেখলাম হুজুর খাটের উপর শুয়া ঘুমাইতেছে আর তার পড়নের লুঙ্গী মাথার উপর উইঠা মুখ ঢাকার কাজ করতেছে।লুঙ্গি মাথায় উঠার কারনে হুজুরের বিশেষ অঙ্গ দেখা যাইতেছিলো।আমরা দুইজন ঘরে ঢুইকা খাটের সামনে দাড়ায়া আরও গভীরভাবে জিনিষটা পর্যবেক্ষন করতে লাগলাম।পর্যবেক্ষনের এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই বললো,”হুজুরের এইটা এতো বড় কেন? আমাদেরটা তো ছোট!!!”একটু পর চাচাতো ভাই হজুরের বিশেষ অঙ্গ আলতো কইরা টান দিয়া বলে, “দেখ হুজুরের এইটা টানলে লম্বা হয়” এই কথা শুইনা আমি ঐটা ধইরা দিলাম এক হেঁচকা টান।টান খায়া হুজুর নাক মুখ দিয়া ঘুরুৎ কইরা বিচিত্র এক শব্দ কইরা খাট থেইকা তিন হাত উপরে লাফায় উঠলো।হজুরের এলোপাতাড়ি হাতপা ছুড়ার কারনে আমরা দুইজন দুইদিকে ছিটকায়া পড়লাম আর হুজুর এক হাতে তার বিশেষ অঙ্গ ধইরা লাফাইতে লাফাইতে ঘরের বাইরে দৌড়।এরপর যে কয়দিন গ্রামে ছিলাম হুজুরের ঘরের দড়জা সবসময় বন্ধ দেখতাম………………

আমার আর আমার চাচাতো ভাই প্রায়ই মাথা দিয়া গুতাগুতি করতাম।একদিন দাদী বললো,এমন করলে মাথায় শিং গজায়।একথা শুইনা আমার মনে হইলো,মাথায় শিং থাকলে ভালো হইতো সবাইরে কি সুন্দর গুঁতানো যাইতো।একদিন সকালে গ্রামের মাঠে পোলাপানদের সাথে খেলার সময় মাঠের এককোনে একটা ভাঙ্গা শিং খুইজা পাইলাম।সম্ভবত মহিষের শিং হবে।শিং পাওয়ার পর আমার খেলা মাথায় উঠলো।বইসা বইসা ভাবতে লাগলাম শিংটা নিয়া কি করা যায়।দুপুরে বাসায় ফেরার পর খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই যে যার ঘরে বিশ্রাম নিতেছে আর আমি শিং নিয়া ঘুরাঘুরি করতেছি।ঘুরতে ঘুরতে ছোট দাদার ঘরে উঁকি দিয়া দেখি দাদা নাকডাকায় ঘুমাইতেছে।ছোট দাদা কাঠ দিয়ে খুব সুন্দর খেলনা বানাইতে পারতো এই কারনে তার ঘরে বিভিন্ন ধরনের আঠা,ছুরি,পেরেক মজুত থাকতো।ছোট দাদার ঘরের ভিতর ঢুইকা শিং এর গোড়ায় আঠা লাগায় ভাবলাম এই শিং কার মাথায় লাগানো যায়।শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম আঠা যেহেতু দাদার শিং টা দাদারই প্রাপ্য।তো শিংটার গোড়ায় আঠা লাগায়া দাদার মাথার মাঝখানে আস্তে কইরা বসায়া ধইরা রাখলাম।একটু পর আঠা শুকায় গেলে শিং ছাইড়া ঘর থেইকা চুপেচুপে বের হয়া গেলাম।বিকালে দাদা ঘুম থেইকা উইঠা উঠানে আসলে ছোটদাদী তার স্বামীর মাথায় নতুন গজানো শিং দেইখা খুশীতে বাকরুদ্ধ হয়া মাটিতে শুয়া হাত-পা কাঁপায়া নাচতে লাগলো।দাদীর ঐ নাচ দেইখা আমি ভাবতে ছিলাম এইটা কোন ধরনের নৃত্য আর দাদার শিং দেইখা দাদীই বা এতো খুশী হয়া নাচতে শুরু করলো কেন?এমন দাদার চীৎকার শুইনা সবাই ঘর থেইকা বাইর হয়া আসলো।আইসা দাদার মাথায় শিং দেইখা সবাই জিজ্ঞেস করলো আপনার মাথায় শিং গজাইলো কি কইরা? একথা শুইনা দাদা ঘরে গিয়া আয়নায় নিজের চেহারা দেইখা উঠানে ফেরত আইসা আমার দিকে তাকায়া চোখ লাল কইরা নাক দিয়া ভোঁস ভোঁস কইরা ধোয়া ছাড়তে লাগলো।আমি অবস্থা বেগতিক দেইখা এক পা,দুই পা পিছাইতে পিছাইতে উল্টা দিকে ঘুইরা সোজা ধানক্ষেতের আইল বরারবর দৌড় মারলাম।পিছনে পিছনে দাদাও তার নতুন গজানো শিং নিয়া ষাড়ের মতো ফোঁসফোঁস করতে করতে আমারে দৌড়ান দিলো।পিছন থেইকা শুনি মা বলতেছে,চাচা ধরতে পারলে আমার হয়া ওরে একটা গুঁতা বেশী দিয়েন………
 
Last edited:
আমার বান্দরবেলা(সংগ্রহীত)

বাবার এক চাচাতো ভাই নতুন বিয়া করার পর সারাক্ষন ঘরের দরজা বন্ধ কইরা রাখতো৷

আমি একদিন মা কে জিজ্ঞেস করলাম,"মা,চাচা চাচী সারাক্ষন দরজা বন্ধ কইরা রাখে কেন?'

মা বললো,"তোমার চাচা-চাচীর পরীক্ষা তো তাই কেউ যাতে ডির্ষ্টাব না করে এই জন্য
দরজা বন্ধ কইরা পড়শোনা করে।"

আমি জিজ্ঞেস করলাম,"দুইজনের একসাথে পরীক্ষা কি কইরা হয়? এইটা কেমন পরীক্ষা?"

মা বললো,"এই পরীক্ষা দুইজনের
একসাথে দেওয়া লাগে।বড় হইলে তুমি দিবা"।

চাচা- চাচী কি পড়াশোনা করে জানার জন্য প্রায়ই আমি আর আমার চাচাতো ভাই চাচার ঘরের আশেপাশে ঘুরঘুর করতাম।কিন্তু দরজা বন্ধ থাকার জন্য কিছু জানতে পারতাম না।

একদিন বিকালে দুই পরিবারের সবাই উঠানে বইসা গল্প করতেছে এমন সময় চাচাতো ভাই কানেকানে বললো,'চল এই ফাঁকে চাচার রুমে ঘুইরা আসি"।

দুইজনে মিইলা চাচার রুমে গেলাম,চাচা-চাচী কি পড়ে দেখার জন্য কিন্তু ঐ রুমে খবরের কাগজ আর কয়েকটা মাসিক পত্রিকা ছাড়া আর
কিছু খুইজা পাইলাম না।

খুজতে খুজতে একসময় চাচার আলমারীর ড্রয়ারে একটা প্যাকেট পাইলাম।চাচাতো ভাই বানান কইরা পড়লো,লেখা আছে,'রাজা কনডম"।

চাচাতো ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করলো,
'এইটা কি জিনিষ?"।

আমি ঐ প্যাকেট হাতে নিয়া সোজা দাদার কাছে গিয়া কোলে বইসা জিজ্ঞেস করলাম,"দাদু কনডম কি জিনিষ"

আমার এই প্রশ্ন শুইনা সবাই পুরা চুপ হয়া গেলো।

একটু পর বাবা বললো,এইটা কোথায় পাইছো?,আমি উত্তর দিলাম,চাচার ঘরে"।

এই কথা শুইনা সবাই কেন
জানি আকাশের দিকে তাকায়া দিন-দুপুরে তারা খোজায় ব্যস্ত হয়া গেলো।একটু পর দাদী আইসা প্যাকেট টা আমার আমার হা/ত থেইকা নিয়া বললো, 'এই বড়দের খেলার
জিনিষ।'।

এই ঘটনার পর থেইকা চাচা-চাচী কেমন যেন ফাঁকিবাজ হয়া গেছিলো।দড়জা বন্ধ কইরা আর পড়াশোনা ঠিকমতো করতো না সারাক্ষনই উদাস হয়া উঠানে ঘুরাফিরা করতো................
 
Last edited:
আমার বান্দরবেলা(সংগ্রহীত)

গ্রামেরবাড়ি থেইকা ঢাকায় আসার পর জানতে পারলাম আমার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পর থেইকা নানার কালো ছাগলটা নাকি সারা উঠান জুইড়া খুশির চোটে ধেঁই ধেঁই কইরা নাইচা বেড়াতেছিলো আর চোখের সামনে যা পড়তো(ছোট মামার লুঙ্গী থেইকা শুরু কইরা রান্না ঘরে ভাতের পাতিল) সবই গলধকরনের চেষ্টা করছিলো।একদিন নাকি মেঝো খালু সকালে উঠানে দাড়ায়া দাড়ায়া দাত মাজতে ছিলো এইসময় কালো ছাগলটা নাকি তার লুঙ্গী ধইরা টান মাইরা সবার সামনে বেইজ্জ্বত করছিলো।এইসব অভিযোগ শুইনা ছাগলটারে জব্দ করার উপায় খুজতে লাগলাম।একদিন দুপুরে বারান্দায় বইসা নানীর পান খাওয়া দেখতে ছিলাম।এমন সময় মাথায় প্রশ্ন জাগলো ছাগল যদি পান খায় তাইলে ওদেরও কি ঠোট লাল হবে?এইসব চিন্তা কইরা নানী ঘরে চইলা গেলে পানের বাটা থেইকা একটা পান নিয়া খিলি বানায়া তার মধ্যে হাকিমপুরী জর্দার ডিব্বা পুরাটা ঢাইলা দিলাম।আমার হাতে পান দেইখা ছাগলটা ড্যাবড্যাব কইরা তাকায়া আছিলো।আমি পানটা সামনে ধরতেই মুখের মধ্যে নিয়া দুই চাবান দিয়ে কোৎ কইরা গিলা ফালাইলো।একটু পর জর্দার প্রভাবে নাকমুখ দিয়া দোয়া বাইর করতে করতে সারা উঠানে ব্যা ব্যা কইরা দাপাদাপি করতে লাগলো।উঠানের এককোনে নানার সাদা ছাগলটা চুপচাপ দাড়ায় ঝিমাইতে ছিলো।কালো ছাগলটা দাতমুখ খিঁচায়া তেইড়া আইসা সাদা ছাগলটার পাছায় রাম কামড় বসায় দিলো।কামড় খায়া সাদা ছাগলটা সামনে ফিরা দুই পা উঁচা কইরা কালোছাগলের মাথার মাঝ বরাবর ক্ষুর দিয়া একটা গাট্টা বসায় দিলো।গাট্টা খায়া কালো ছাগলটা জিব আধহাত বাইর কইরা উঠানে মুখ থুবড়ায়া পড়লো।এর আগে মানুষরে জ্ঞ্যান হারাইতে দেখছি।কিন্তু ছাগলও যে জ্ঞ্যান হারাইতে পারে ঐবারই প্রথম দেখলাম।এই ঘটনার কয়েকদিন পর কালো ছাগলটা লজ্জ্বা লজ্জ্বা মুখ কইরা সাদাটার সাথে ভাব করতে আসলেও।সাদা ছাগলটা কালো ছাগলটারে দেখা মাত্রই দুই পা উঁচা কইরা গাট্টা মারার জন্য রেডী হয়া থাকতো…………………….

ক্লাশ নাইনে উঠার পর এক স্যারের কাছে ব্যাচে পড়তাম।ঐ ব্যাচে আমাদের সাথে কয়েকটা মেয়েও পড়তো।এদের মধ্যে একজনের সাথে খুব ভাব হয়া গেছিলো।একদিন স্যারের বাসার সামনে গিয়ে দেখি ঐ মেয়ে একা একা দাড়ায় আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,” দাড়ায় আছো কেন?” মেয়ে কইলো, “আজকে ক্লাশ করবো না”।আমি বললাম,”তাইলে কি করবা”,মেয়ে কইলো,”চলো ঘুরতে যাই”। পকেটের অবস্থা চিন্তা কইরা প্রথমে একটু গাঁইগুই করলেও মেয়ের সমগ্র বাংলাদেশে পাঁচটন ট্রাকের হেডলাইটের মতো বড়বড় ভাসাভাসা অক্ষিযুগলের দিকে তাকায়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হইলাম।একটা রিক্সা নিয়া ধানমন্ডির ভিতর ঘন্টাখানেক ঘুরাঘুরির পর ৮নং পার্কে গিয়া বইসা গল্প করতে লাগলাম।একটু পর দেখি মেয়ে কেমন জানি উদাস হয়া আকাশের দিকে তাকায় আছে।আমি জিজ্ঞেস করলাম,”কি হইছে?” প্রশ্ন শুইনা মেয়ে দেখি আরও উদাস হয়া আকাশ দেখা শুরু করলো।আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হইছে বলবা তো!!!’ মেয়ে উত্তর দিলো,’কিছু হয় নাই’।আমি কইলাম, ‘তাইলে চুপ কইরা আছো কেন?মন খারাপ?”মেয়ে কইলো,’না’……”তাইলে কি পেট ব্যাথা করতেছে?”।মেয়ে চোখ পাকায়া উত্তর দিলো,পেট ব্যাথা করবে কেন? আমার কি পেট খারাপ নাকি?।একটু পর উশখুশ করতে করতে মেয়ে কইলো,”ক্ষুদা লাগছে”।আমি কইলাম কি খাবা?।মেয়ে কয়,”জানি না?।আমি বললাম,ফুচকা খাবা?…..না……..ঝালমুড়ি খাবা?……ঝালমুড়ি খাবো কেন?জানো না আমার গ্যাস্ট্রিক আছে?…..আইসক্রীম?…….ঠান্ডা লাগবে……..তাইলে একটা কোক খাও……….কোক খায়া কি পেট ভরবে নাকি?…….আমি এবার কইলাম,”তাইলে আমারে খাও……..।মেয়ে উত্তর দিলো তোমার শরীরে তো হাড্ডি ছাড়া কিছুই নাই।তোমারে খায়া কোন লাভ নাই……এতো হাদুমপাদুম শুইনা আমার গেলো মেজাজ খারাপ হয়া……আমি এবার কইলাম,”তাইলে একটা পাদ দেই,পাদ খাও…….একথা শুইনা মেয়ে বড়বড় চোখ কইরা আমার দিকে তাকায়া থাকতে থাকতে কান্ধে ঝুলানো ব্যাগ দিয়া আমার নাক বরাবর সোজা একটা বাড়ি মারলো……….এরপর একটা রিক্সা ডাইকা চইলা গেলো……এরপর যতদিন স্যারের কাছে পড়ছি ঐ মেয়ে আমার সাথে কথা কয় নাই……..

মেয়েটা খুব সুন্দর আছিলো
 
আমার বান্দরবেলা – ৫সংগ্রহীত)

ছুডুবেলায় দেখতাম মা খালারা কোথাও বেড়াইতে যাওয়ার আগে মেকআপ করতো,এইটা দেইখা আমারও শখ হইল মেকআপ করবো।মা মেকআপ বক্স আলমারীতে তালা মাইরা রাইখা দিতো বইলা শখ পূরন করতে পারতাম না।একবার বাসায় রং লাগানের কাজ চলতেছে।সন্ধ্যায় কাজ শেষে লেবাররা রং এর ব্রাশ,ডিব্বা স্টোর রুমে গুছায়গাছায় রাইখা চইলা গেছে, আমি স্টোররুমে ঢুইকা পা থেইকা মাথা পর্যন্ত ব্রাশ দিয়া নিজেরে সাদা রং করলাম।মা মেকআপের সময় গাল লাল দেখানের জন্য কি যেন দিতো।আমিও গালের মধ্যে লাল রং দিয়া গাল লাল কইরা ফেল্লাম।মেকাপ কইরা স্টোর রুমে রাখা আয়নায় নিজেরে দেইখা পুরা মুগ্ধ হয়া গেছিলাম,নিজেরে নবাব সিরাজউদৌলা সিনেমার ফিরিঙ্গির মতো লাগতেছিলো।মেকআপ শেষে স্টোর রুম থেইকা বের হইছি এমন সময় ছোট মামা মাত্র গেট দিয়ে বাসায় ঢুকতেছে,আমার নতুন রুপ দেইখা মুগ্ধ হয়া মামা মুখ দিয়া গোঁ গোঁ আওয়াজ করতে করতে ভিড়মী খায়া মাটিতে পড়ে গেছে।মামার গোঁ গোঁ আওয়াজ শুইনা আমি ভাবলাম সন্ধ্যা হইছে তাই মনে হয় আমারে বাসার ভিতরে যাইতে বলতেছে (ছোট মামার ইংরেজী বলার শখ ছিলো।কথায় কথায় ইংরেজী বলতো।তাই মামা গোঁ গোঁ শব্দ শুইনা ভাবছিলাম ইংরেজীতে মামা আমারে কোথাও যাওয়ার কথা বলতেছে) ঘরে ঢুইকা নানীর ঘরে উকিঁ দিলাম দেখি নানী নামাজে দাড়াইছে,ঐ অবস্থ্যায় আমারে দেইখা নানীও স্লো মোশনে জায়নামাজের উপর ঢইলা পইড়া গেলো।অবস্থা বেগতিক দেইখা আমি রান্নাঘরে চাল রাখার একটা ড্রামের ভিতর ঢুইকা গা ঢাকা দিলাম।ড্রামের ভিতর বইসা চাল খাইতে খাইতে বাইরের শোরগোল শুইনা বুঝলাম ব্যাপক একটা কিছু ঘটায় ফেলছি।একদিকে সবাই ছোট মামা আর নানীরে নিয়া টানাটানি শুরু করছে অন্যদিকে মা আর মেঝো খালা আমারে খুঁজতেছে।একটু পর বাসার কাজের বুয়া আমারে খুজতে খুজতে রান্নাঘরে আইসা ড্রামের ভিতর উকি দিয়ে দেখে সাদা রঙের একটা বস্তু বইসা বইসা চাল খাইতেছে।বুয়া আল্লাহরে বইলা চিৎকার দিয়ে একলাফে রান্নাঘর থেইকা বাইর হইতে গিয়ে পিছলায়া পইড়ে মাথা ফাটায় রক্তারক্তি কান্ড।এরপর মা আইসা কান ধইরা আমারে বাইর করছিলো।ঐ ঘটনার জন্য মা ২টা কাঠের স্কেল ভাঙ্গছিলো আমার পিঠে।

প্লে গ্রুপে থাকতে বার্ষিক অনুষ্ঠানে একবার রাজপুত্রের অভিনয় করছিলাম।নাটকের শেষ সিনে রাজপুত্র ডাইনিবুড়ী কে মেরে রাজকন্যারে নিয়া রাজ্যে ফিরা যায়।তো শেষ সীনের আগে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাথরুমে গেছিলাম।বাথরুম থেইকা বাইর হইতে না হইতে শুনি শেষ দৃশ্যের ঘোষনা হয়া গেছে।আমি প্যান্ট না পইড়াই রাজকন্যারে বাচাঁইতে আমার কাঠের তালোয়ার নিয়া স্টেজে দৌড় মারলাম।অবস্থা বেগতিক দেইখা ডাইনীবুড়ীর পোষা বাঘ আমারে পাঁজাকোলা কইরা স্টেজের বাইরে নিয়া যাইতে চাইলো( বাঘ সাজছিলো স্কুলের এক স্যার)।কিন্তু তখন আমি রাজকন্যারে পাষাণ ডাইনীবুড়ীর হাত থেইকা উদ্ধার করার জন্য মরিয়া।বাঘের চোখে কাঠের তালোয়ার দিয়া দিলাম এক রামগুতা,গুতা খায়া বাঘ 'বাপরে' বইলা মাটিতে গড়াগড়ি খাইতে লাগলো এদিকে আমি ডাইনীর সামনে গিয়া তালোয়ার দিয়া মাথায় এক চাটি মাইরা বললাম "এবার তোর শয়তানী শেষ রাক্ষসী"।ডাইনী নেংটা রাজপু্ত্ররে দেইখা ডায়লগ ভুইলা হা কইরা আমার দিকে তাকায় রইলো।আমি ভাবলাম এখন যদি ডাইনী ডায়লগ না দিতে পারে তাহলে তো নাটক ভন্ডুল হয়া যাবে।তাই আমিই বানায় বানায় কয়েকটা ডায়লগ মাইরা লাথিগুতা দিয়া ডাইনিরে মাটিতে শুয়াইয়া রাজকন্যার দিকে বললাম 'চলো এবার রাজ্যে ফিরে যাই"।বইলাই একখানা নুরানী হাসি উপহার দিলাম। রাজকন্যা আমার দিকে এতোক্ষন হা করে তাকায় ছিলো।আমি রাজ্যে ফিরা যাবার কথা বলতে ফিক কইরা হাইসা দিয়া বলে "ছিহ! তুমি তো নেংটু।তোমার সাথে যাব না" বইলা মুখ ঢাইকা উল্টা দিকে দৌড় দিছে।এদিকে রাজকন্যারে ছাড়া ফিরা গেলে রাজ্যে আমার মান-সুলেমান কিছুই থাকবে না তাই রাজকন্যারে ধরার জন্য আমিও পিছে পিছে তালোয়ার উঁচায়া দৌড়াইতে লাগলাম।এদিকে দর্শকরা আমার কান্ড দেইখা হাসাহাসি শুরু কইরা দিছে।আমি ভাবলাম রাজকন্যারে ধরতে পারতেছি না দেইখা সবাই হাসতেছে।অপমান থেইকা বাঁচার জন্য আরও জোরে রাজকন্যার পিছনে দৌড়াইতে লাগলাম।বহুৎ দৌড়ানির পর রাজকন্যার চুলের নাগাল পাইলাম।চুল ধইরা হিড়হিড় কইরা টানতে টানতে আমার রাজকন্যারে স্টেজের ভিতর নিয়া গেলাম।নাটক শেষে অনেক হাততালি পাইছিলাম।ফার্স্ট প্রাইজও পাইছিলাম।তবে রাজকন্যারে বাঁচানের জন্য নাকি প্যান্ট না পইড়া স্টেজে ঢুকার সাহস দেখানের জন্য পুরস্কারটা পাইছিলাম সেটা আজও বুঝি নাই।নাটক শেষে সবাই বাসায় চইলা যাবে এমন সময় আমি শুরু করলাম কান্নাকাটি।রাজকন্যারে ছাড়া বাসায় কিছুতেই ফিরবো না।হাউমাউ কইরা কানতে শুরু করলাম।আমার কান্দা দেইখা রাজকন্যাও কাঁনতে শুরু কইরা দিলো।সে ও আমার সাথে আমার বাসায় যাবে।আমাদের সম্মেলিত আহাজারিতে আমাদের বাপ মার মন গললো।শেষ পর্যন্ত রাজকন্যারে বগলদাবা কইরা আমার রাজ্যে মানে বাসায় নিয়া আসছিলাম।সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলাধুলা কইরা,পরে আবার আসবার কথা দিয়া রাজকন্যা তার রাজ্যে ফিরা গেছিলো।বাসায় যাওয়ার আগে আমার একটা হাতি নিয়া গেছিলো আর ফেরত দেয় নাই।

ছুডুবেলায় হাগু করাটা আমার সবচেয়ে অপছন্দের কাজ আছিলো।সবসময় ভাবতাম হাগু করার ব্যাপারটা না থাকলে মানুষের কত সময় বাঁচতো।আমার এমন দার্শনিক চিন্তাভাবনা থেইকা বাইর করলাম যে বাথরুম করার রাস্তা বন্ধ কইরা দিলে আর কোন চিন্তা থাকবে না।যতই খাও হাগু বের হবে না।বাসায় ফেভিকল জাতীয় একধরনের আঠা ছিলো।ঐটা হাগু করার রাস্তায় পুরাটা ঢাইলা দিয়া চুপচাপ বিছানায় শুয়ে থাকলাম।ঘন্টাখানেক পর দেখি আঠা শুখায় গেছে।কিন্তু সমস্যা হইলো হাটার সময় পাছা উঁচায়া হাটতে হয়।যাই হোক ঐ ভাবেই হাটাহাটি করতে লাগলাম।সারাদিন ভালোই কাটছিলো।কিন্তু বিকালের দিকে অবস্থা খারাপ হইতে লাগলো।কড়া হাগু চাপছিলো আবার হাবিজাবি খাওয়ার ফল হিসেবে বিষাক্ত বায়ু বাইর হবার জন্য আকুলিবিকুলি করতেছিলো।সন্ধ্যার দিকে অবস্থা আরও খারাপ হইলো।ব্যাথার চোটে আমি বিছানায় শুইয়া গড়াগড়ি করতে লাগলাম।মা জিজ্ঞেস করে,' কি হইছে?' আমি বললাম,হাগু চাপছে কিন্তু করতে পারতেছি না।আঠা দিয়া হাগুর রাস্তা বন্ধ করে দিছি।মা শুইনা প্রায় ভীড়মি খায়া পড়ে।বাবা তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিয়া গেলো।ডাক্তার অনেক কিছু করার পর রাস্তা পরিস্কার হইলো আর আমি হাগু করতে পারলাম।এই ঘটনার পর একটা চরম সত্য ছুডুবেলাতেই বুইঝা গেছিলাম তা হইলো, "ভোগে নয়,ত্যাগেই শান্তি"

নানার ২ টা ছাগলই আমারে অনেক যন্ত্রনা করছে,তবে চার বার ডলা খাওয়ার পর আমারে দেখলেই উল্টাদিকে দৌড় দিতো।ফলে আমিও কিছু করার সুযোগ পাইতাম না।এসব কারনে মনটা প্রায়ই উদাস থাকতো।অবশেষে একদিন সুযোগ আসলো।দুপুরবেলায় দেখি ছগল দুইটা রোদে বইসা ঝিমাইতেছে।আমি রান্নাঘর থেইকা মরিচের গুড়া আইনা ছাগল দুইটার পশ্চাৎদেশে পুরা বয়াম ঢাইলা দিলাম।একটু পর পাছা জ্বলা শুরু করলে ছাগল দুইটাই কিয়ামত আইসা গেছে এমন ভাব কইরা চিৎকার শুরু করলো সেইসাথে একেকটা লাফে দশ হাত উপরে উইঠা যাইতে লাগলো।মা ছাগলের চিৎকার শুইনা লাঠি হাতে বাইর হইলো আমারে মারার জন্য,ততোক্ষনে আমি এক লাফে বাসার বাইরে।পরে বাসায় আইসা শুনি কালো ছাগল টা নাকি লাফালাফি করতে করতে বাসার দেয়ালে উইঠা গেছিলো।এই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন ছাগল দুইটা পাছা চিপায় চিপায় হাটতো আর করুন সুরে ম্যাৎকার করতো।

চলবে...
 
অসাধারন একটি পোস্ট। অনেক দিন পর হাসতে হাসতে শেষ। অনেক ধন্যবাদ।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top