একনজরে আলিয়ার ব্রেকফাস্ট
* লেবু, গরম পানিতে শুরু হয় দিন।
* একটা রুটির সঙ্গে কয়েক পদের টাটকা সবুজ, হলুদ, লাল সবজি সেদ্ধ।
* সবজি না খেলে মধ্যে এক বাটি পোহা খান। অথবা সবজি দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ খান।
* মাঝেমধ্যে সকালের নাশতায় খান ইডলি।
* যা-ই খান না কেন, সঙ্গে একটা ডিম থাকেই।
* নাশতার সঙ্গে চিনি ছাড়া এক মগ লাল চা বা কফি।
* নাশতার কিছুক্ষণ পর এক বাটি ফল খান। বেশির ভাগ সময়েই সেটি হয় পাকা পেঁপে।
আলিয়া ভাট
বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের খাতায় একেবারে ওপরের দিকে নিজের নাম তুলে ফেলেছেন আলিয়া ভাট। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তরুণেরা ফলো করছেন আলিয়াকে। অথচ ২০১০ সালে ১৭ বছর বয়সী আলিয়া যখন ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমার জন্য অডিশন দিতে এসেছিলেন, তখন তাঁর ওজন ছিল ৬৯ কেজি। তবু প্রযোজক ও পরিচালক করণ জোহর আলিয়াকে পছন্দ করেছিলেন।
করণ প্রথম দেখাতেই অভিজ্ঞ জহুরির মতো চিনে নিয়েছিলেন খাঁটি সোনা।
আলিয়াকে এখন বলিউডের ফিটনেস আইকন বললে বাড়াবাড়ি হবে না
বলেছিলেন, ‘এই মেয়ে একদিন বলিউড মাতাবে। বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সফল অভিনেত্রী হবে।’ এক দশকেরও কম সময়ে সেই ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্যি করে দেখিয়েছেন আলিয়া। প্রথম ছবির জন্য একটা শর্ত দিয়েছিলেন করণ জোহর। ৪ মাসে ২০ কেজি কমিয়ে ফিট হয়ে তবেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারবেন আলিয়া।
আলিয়া সেই শর্ত পুরোপুরি মানতে পারেননি। ৬ মাসে তিনি ১৬ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। আর এখন তিনি বলিউডের অন্যতম ফিট নায়িকা। জেনে নেওয়া যাক সকালটা যেভাবে কাটে আলিয়ার। আর এসব তথ্য আলিয়া নিজেই দিয়েছেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে।
তখন আলিয়ার ওজন ছিল ৬৮ কেজি
প্রতিদিন সকালে আলিয়া একটা মজার কাজ করেন। তাঁর একটা নোটবুক আছে, সেখানে দিনের প্রতিদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, শিক্ষা বা অনুভব এক, দুই বা তিন লাইনে ছোট্ট করে লেখেন। সেই নোটবুকের নাম ‘ওয়ান লাইন আ ডে’। আগের দিন রাতে না লিখে পরদিন সকালে লেখেন। আবার যখন ইচ্ছা হয়, তখন কফি নিয়ে বসে পুরোনো দিনে ফিরে যান। নিজের লেখা পড়েন, চলে যাওয়া দিনগুলোর কথা ভাবেন আর আপন মনে নিজেই হাসেন।
লকডাউনে আরিয়া নিজেই বানিয়েছেন চকলেট কেক, ওপরে পাকা কলা কেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন
আলিয়া ভিডিওটা শুরু করলেন সকালে ঘুম থেকে ওঠা দিয়ে। ভিডিওতে হোটেলের বিছানায় বসে আলিয়া জানালেন, ঘুম থেকে উঠে এখন আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুঁ দেন না তিনি। আগে নাকি চোখ খুলেই ফোনটা হাতে নিয়ে ‘একটু চেক’ করতে যেতেন। ব্যস, কোত্থেকে ঘণ্টা পার হয়ে যেত, টেরই পেতেন না! সবার যে অভিজ্ঞতা হয় আরকি। তাই এখন আর মোটেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে বেড়াতে যান না।
ঘুম থেকে উঠে আলিয়া গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খান। এটা শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে। এভাবেই নিজের দিনটা শুরু করেন তিনি। আগে নাকি ঘুম থেকে উঠে কফি খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যেতেন। কিন্তু সেটা স্বাস্থ্যকর না বলে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে মাঝেমধ্যে যে নিয়ম ভেঙে খান না, তা নয়।
সকালের নাস্তার মূল খাবার শেষে এক প্লেট পাকা পেঁপে খান আলিয়া
ঘুমাতে খুবই ভালোবাসেন আলিয়া। একসময় টানা ১০–১২ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে চোখ ফুলিয়ে উঠতেন। তবে এখন ঘুমকে নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছেন। ১২টা থেকে ৬টা—এই ৬ ঘণ্টা ঘুমান তিনি। তবে শুটিংয়ের জন্য হেরফের হলে অন্য কথা। লেবুপানি খাওয়া শেষে ফ্রেশ হয়ে আলিয়া খান একটা রুটি, সঙ্গে কয়েক পদের টাটকা সবুজ, হলুদ, লাল সবজি সেদ্ধ। মাঝেমধ্যে এক বাটি পোহা খান। অথবা সবজি দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ খান।
আলিয়ার ব্রেকফাস্ট অনেকটা এরকম
মাঝেমধ্যে সকালের নাশতায় খান ইডলি। সকালের নাশতায় পরিমাণমতো কিছু শর্করা আর আমিষের সঙ্গে চিনি ছাড়া এক মগ লাল চা বা ফি খান আলিয়া। তবে যা-ই খান না কেন, সঙ্গে একটা ডিম থাকেই। সকালের নাশতার কিছুক্ষণ পর এক বাটি ফল খান। সাধারণত সেটা পাকা পেঁপে। মাঝেমধ্যে বেশ কয়েক পদের রঙিন ফল নিয়ে বসেন। যেদিন সকালের নাশতার পরেও খিদে পায়, সেদিন মিড মর্নিং স্ন্যাকস খান।
চা বা কফিতে দুধ, চিনি খান না আলিয়া
আলিয়ার মতে, মানুষের জীবন স্মৃতির সম্মিলন ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে আগের দিনের সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতি টুকে রাখেন।