শবেবরাত : কতিপয় ভ্রান্ত ধারণার জবাব
শা'বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত 'শবেবরাত' বা 'লায়লাতুল বারাআত' বলে প্রচলিত আছে। শবেবরাত শব্দটি ফারসী। যার অর্থ হ'ল অংশ বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। শবেবরাতকে উপলক্ষ করে আমাদের সমাজে যা কিছু করা হয় তার প্রমাণ হিসাবে সূরা দুখানের ৩নং আয়াত পেশ করা হয়। এই আয়াত দ্বারা কতিপয় লোক মনে করেন যে, এই রজনীতে আলাহ রববুল আলামীন কুরআনের মত বরকতময় কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। এই রজনীতে বান্দার গোনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়, আয়ু বৃদ্ধি করা হয়, রূযী বণ্টন করা হয়, হায়াত-মউতের রেজিষ্ট্রি করা হয়, মৃত ব্যক্তিদের রূহগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে এরাতে সাক্ষাৎ লাভের সুযোগ পায়। তাই আত্মীয়-স্বজনরা এরাতে কবরস্থন যিয়ারত করতে যায়। ঘর-বাড়ী, রাস্তা-ঘাট, মসজিদগুলোকে আগরবাতি, মোমবাতি ও বিশেষ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। হালুয়া রুটি খাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়।
মানুষ ভাল কাজের দিকে ধাবিত হোক এটা সকলেরই কামনা। কিন্তু সেই ভাল কাজটা যদি রাসূলুলাহ (ছাঃ) থেকে ভাল কাজ হিসাবে প্রমাণিত না হয়, তাহ'লে উক্ত ভাল কাজকে ভাল বলা যায় না। কেননা তাঁর যুগে যে ইবাদতের উৎপত্তি হয়নি পরবর্তীতে তা চালু করার নামই হ'ল বিদ'আত। আর বিদ'আত হ'ল ভ্রষ্টতা। আসুন! শবেবরাতের প্রচলিত কর্মসূচীর সাথে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের কর্মসূচীর কতটুকু মিল রয়েছে, তা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে যাচাই-বাছাই করে নিই।