বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। বিয়ের কাজটা সেরেছেন খুবই গোপনে। আমি বা আমার মা কেউই ব্যাপারটা জানতাম না। মায়ের আগেই আমি জানতে পারলাম। কলেজ থেকে ফেরার পথে আব্বার এক কলিগের সাথে দেখা হয়ে গেল। সগীর হোসেন নামের সেই মানুষটা আমাকে দেখে চোখে মুখে উচ্ছ্বাস দেখালেন। তাঁর সাথে আগেও আমার দেখা হয়েছে, এমস উচ্ছ্বাস কখনো দেখাননি। সালাম দিতাম, সালামের জবাব দিতেন, এই শেষ। এবার দেখা হওয়ামাত্র আমার হাত ধরে টেনে রাস্তার পাশে একটা বড় গাছের তলায় নিয়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে বললেন, খোকা কেমন আছো?
আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে বললাম, আমি ভালো আছি আংকেল। আপনি কেমন আছেন? কোনো সমস্যা হয়েছে?
তিনি ইতস্তত করে বললেন, না আমার কোনো সমস্যা হয়নি। তুমি কেমন আছো?
একই প্রশ্নের উত্তর দুইবার দেয়ার কোনো মানে নেই। আমি পাল্টা প্রশ্ন করে বললাম, আংকেল আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে কোনো সমস্যা। আপনি কি কিছু বলবেন?
সগীর হোসেন আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বললেন, তোমার বয়স কত এখন খোকা?
- ১৯ বছর।
- তোমার মায়ের কী অবস্থা এখন?
- মায়ের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। ডায়ালাইসিস করার পরও ক্রিয়েটিনিন বেড়েই চলেছে।
- আই সি।
আমি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি। যেসব মানুষ কোনো দিন কোনো খবর রাখেনি সেসব মানুষজন হুট করে খবর নিতে গেলে আনন্দের চেয়ে আতংক লাগে বেশি। আমার তেমনই মনে হচ্ছে। আমি একটু মুচকি হেসে বললাম, আংকেল আমার চলে যেতে হবে। আপনি কিছু বললে বলতে পারেন।
সগীর হোসেন তার দাঁড়িতে একবার হাক বুলালেন। তারপর মুখ একটু করুণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে বললেন, তোমাকে কিছু কথা বলা উচিত মনে হচ্ছে। আবার একই সাথে বলা অনুচিত। তোমার ডাকনাম এখনো খোকা, ছোট মানুষ তুমি। অবশ্য একই সাথে তোমার বয়স ১৯ হয়ে গেছে। বয়সটা একেবারে কম না।
আমি বললাম, দেয়ালের দুইপাশে ধাক্কাধাক্কি না করে একপাশে ধাক্কা দিন। আর না হলে দেয়াল জীবনেও নড়বে না।
সগীর আংকেল নির্মল হাসি দিয়ে বললেন, খোকা তুমি আসলেই বড় হয়ে গেছ। কত সুন্দর কথাটা বললে! যাই হোক তোমার বাবার কোনো খোঁজ জানো?
- বাবা আজকে অফিসে গেছে। গতকাল বাসায় ছিল।
- তা না। গত মাসের শেষদিকে কি বাসায় ছিল?
- না। অফিসের একটা কাজে কুমিল্লা যেতে হয়েছে। এক সপ্তাহের ছুটি ছিল।
সগীর আংকেল মুখ দিয়ে চুকচুক করে বললেন, তোমার বাবাকে এত ভালো জানতাম, জানো? এরকম প্রতারণা করবে আশা করিনি। এত জঘন্য কাজ, এত নোংরা কাজ! আফসোস।
আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে বললাম, আমি ভালো আছি আংকেল। আপনি কেমন আছেন? কোনো সমস্যা হয়েছে?
তিনি ইতস্তত করে বললেন, না আমার কোনো সমস্যা হয়নি। তুমি কেমন আছো?
একই প্রশ্নের উত্তর দুইবার দেয়ার কোনো মানে নেই। আমি পাল্টা প্রশ্ন করে বললাম, আংকেল আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে কোনো সমস্যা। আপনি কি কিছু বলবেন?
সগীর হোসেন আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বললেন, তোমার বয়স কত এখন খোকা?
- ১৯ বছর।
- তোমার মায়ের কী অবস্থা এখন?
- মায়ের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। ডায়ালাইসিস করার পরও ক্রিয়েটিনিন বেড়েই চলেছে।
- আই সি।
আমি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি। যেসব মানুষ কোনো দিন কোনো খবর রাখেনি সেসব মানুষজন হুট করে খবর নিতে গেলে আনন্দের চেয়ে আতংক লাগে বেশি। আমার তেমনই মনে হচ্ছে। আমি একটু মুচকি হেসে বললাম, আংকেল আমার চলে যেতে হবে। আপনি কিছু বললে বলতে পারেন।
সগীর হোসেন তার দাঁড়িতে একবার হাক বুলালেন। তারপর মুখ একটু করুণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে বললেন, তোমাকে কিছু কথা বলা উচিত মনে হচ্ছে। আবার একই সাথে বলা অনুচিত। তোমার ডাকনাম এখনো খোকা, ছোট মানুষ তুমি। অবশ্য একই সাথে তোমার বয়স ১৯ হয়ে গেছে। বয়সটা একেবারে কম না।
আমি বললাম, দেয়ালের দুইপাশে ধাক্কাধাক্কি না করে একপাশে ধাক্কা দিন। আর না হলে দেয়াল জীবনেও নড়বে না।
সগীর আংকেল নির্মল হাসি দিয়ে বললেন, খোকা তুমি আসলেই বড় হয়ে গেছ। কত সুন্দর কথাটা বললে! যাই হোক তোমার বাবার কোনো খোঁজ জানো?
- বাবা আজকে অফিসে গেছে। গতকাল বাসায় ছিল।
- তা না। গত মাসের শেষদিকে কি বাসায় ছিল?
- না। অফিসের একটা কাজে কুমিল্লা যেতে হয়েছে। এক সপ্তাহের ছুটি ছিল।
সগীর আংকেল মুখ দিয়ে চুকচুক করে বললেন, তোমার বাবাকে এত ভালো জানতাম, জানো? এরকম প্রতারণা করবে আশা করিনি। এত জঘন্য কাজ, এত নোংরা কাজ! আফসোস।