মফস্বলের একটি কো-এড স্কুলের শতবর্ষে পুনর্মিলন উপলক্ষে সব প্রাক্তন ছাত্র- ছাত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিপত্নীক সুবোধ বাবু সিদ্ধান্ত নিলেন ৫৫ বছর আগের স্কুলটা একবার দেখে আসবেন, কিছুটা স্মৃতি রোমন্থনও হবে। আর এই ৭০ ছুঁই ছুঁই বয়সে একটু পরিবর্তনও তো হবে।
ঐ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী রত্না বসু বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা। বৈধব্যের পর থেকেই একাকীত্বে ভুগছেন। ভাবলেন যাই একবার পুরনো স্কুলটা দেখে আসি আর বাড়তি পাওনা হিসেবে কৈশোরের বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতেও পারে।
স্কুলে এসে দুজনেই পরিচিত জনকে খোঁজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেই ৫৫ বছর আগের চেহারার সঙ্গে বর্তমানের চেহারার অনেক তফাত। সুবোধ বাবু শেষে ঘোষককে অনুরোধ করলেন একবার ঘোষণা করতে ৬৮ সালের ব্যাচের যদি কেউ এসে থাকেন মঞ্চের কাছে এসে দাঁড়াতে। একে একে প্রায় ১০/১১ জন বৃদ্ধ বৃদ্ধা এসে দাঁড়ালেন। পরস্পরের নাম বলাতে সবাই সবাইকে চিনতে পারলেন। গল্পে গল্পে ভেসে এলো কত মধুর স্মৃতি। সবাই নিজেদের মধ্যে ফোন নং বিনিময় করলেন । সুবোধ বাবুর মনে তখন ঝড় চলছে রত্নাকে দেখে। সেই কৈশোরের হার্ট থ্রব রত্না যেন এই বয়সে আরও আকর্ষণীয়া। রত্নাও তার দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে মৃদু হাসি বিনিময় করছেন।
অবশেষে সাহস সঞ্চয় করে সুবোধ বাবু বলেই ফেললেন তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে রাজী।
প্রায় ছয় সেকেন্ড সতর্কতার সাথে বিবেচনা করার পর, তিনি উত্তর দিলেন, "হ্যাঁ,..... হ্যাঁ আমি করব!"
সুখের সাগরে ভাসতে ভাসতে বাড়িতে এলেন। কিন্তু সমস্যা হলো পরে দিন সকালে। কিছুতেই গত সন্ধ্যের কথা ঠিকমত মনে করতে পারছেন না, রত্না হ্যাঁ বলেছিল নাকি না বলেছিল। খুব অস্থির মনে রত্নার নম্বর ডায়াল করলেন। এ কথা সে কথার পর নিজের ভুলো মনের কথা স্বীকার করে জিজ্ঞেস করলেন গতকাল রাত্রে আমি প্রস্তাব করার পর তুমি হ্যাঁ বলেছিলে নাকি না বলেছিলে?
"কেমন বোকা মানুষ তুমি, আমি বললাম 'হ্যাঁ। হ্যাঁ আমি করব।' এবং আমি আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।"
সুবোধ বাবু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। আর তখনই তার কানে এলো রত্না বলছেন আমি খুব খুশি যে তুমি কল করেছে কারণ আমি কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না কে আমাকে প্রপোজ করেছিল
ঐ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী রত্না বসু বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা। বৈধব্যের পর থেকেই একাকীত্বে ভুগছেন। ভাবলেন যাই একবার পুরনো স্কুলটা দেখে আসি আর বাড়তি পাওনা হিসেবে কৈশোরের বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতেও পারে।
স্কুলে এসে দুজনেই পরিচিত জনকে খোঁজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেই ৫৫ বছর আগের চেহারার সঙ্গে বর্তমানের চেহারার অনেক তফাত। সুবোধ বাবু শেষে ঘোষককে অনুরোধ করলেন একবার ঘোষণা করতে ৬৮ সালের ব্যাচের যদি কেউ এসে থাকেন মঞ্চের কাছে এসে দাঁড়াতে। একে একে প্রায় ১০/১১ জন বৃদ্ধ বৃদ্ধা এসে দাঁড়ালেন। পরস্পরের নাম বলাতে সবাই সবাইকে চিনতে পারলেন। গল্পে গল্পে ভেসে এলো কত মধুর স্মৃতি। সবাই নিজেদের মধ্যে ফোন নং বিনিময় করলেন । সুবোধ বাবুর মনে তখন ঝড় চলছে রত্নাকে দেখে। সেই কৈশোরের হার্ট থ্রব রত্না যেন এই বয়সে আরও আকর্ষণীয়া। রত্নাও তার দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে মৃদু হাসি বিনিময় করছেন।
অবশেষে সাহস সঞ্চয় করে সুবোধ বাবু বলেই ফেললেন তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে রাজী।
প্রায় ছয় সেকেন্ড সতর্কতার সাথে বিবেচনা করার পর, তিনি উত্তর দিলেন, "হ্যাঁ,..... হ্যাঁ আমি করব!"
সুখের সাগরে ভাসতে ভাসতে বাড়িতে এলেন। কিন্তু সমস্যা হলো পরে দিন সকালে। কিছুতেই গত সন্ধ্যের কথা ঠিকমত মনে করতে পারছেন না, রত্না হ্যাঁ বলেছিল নাকি না বলেছিল। খুব অস্থির মনে রত্নার নম্বর ডায়াল করলেন। এ কথা সে কথার পর নিজের ভুলো মনের কথা স্বীকার করে জিজ্ঞেস করলেন গতকাল রাত্রে আমি প্রস্তাব করার পর তুমি হ্যাঁ বলেছিলে নাকি না বলেছিলে?
"কেমন বোকা মানুষ তুমি, আমি বললাম 'হ্যাঁ। হ্যাঁ আমি করব।' এবং আমি আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।"
সুবোধ বাবু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। আর তখনই তার কানে এলো রত্না বলছেন আমি খুব খুশি যে তুমি কল করেছে কারণ আমি কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না কে আমাকে প্রপোজ করেছিল