মেশিন নস্ট
বেশ ক'দিন যাবতই গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। মনে হয় যেনো প্রতিদিনই তাপমাত্রা কেবল লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। টিভিতে ইতিমধ্যেই ঘোষনা দিয়ে বলে দিয়েছে এরকম পরিস্থিতি আরো কিছুদিন বিরাজ করবে। সামনের সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরো কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপ আমিরাকাতেও ব্যাপক তাপমাত্রা বেড়ে যাবার কারনে প্রচন্ড দাবদাহে বেশ কিছু লোক মারাও গেছে। এই সময়ে অপুর নতুন রোগ দেখা দিয়েছে। দুদিন যাবত তার প্রস্রাব হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে দুয়েক ফোঁটা হলেও প্রচন্ড জ্বলুনীতে প্রাণ উষ্ঠাগত। উপরন্তু রাতের বেলা আবার বউ কিছুতেই তাকে ছাড়তে চাচ্ছে না। যেনোতেনোভাবে দুরাত পার করলেও সামনের রাতে বউকে খুশী করতে না পারলে বউ এটা সেটা অনেক কিছুই করে ফেলতে পারে বলে ঘোষনাও দিয়ে রাখছে। অবস্থা আরো বেগতিক হবার আগেই এর একটা বিহিত করা জরুরী বিধায় একটা ভালো ডাক্তার দেখাবে বলে সিদ্ধান্ত নিলো। আর সে কারনেই সেদিন অপু হন্তদন্ত হয়ে ডাঃ জিসানের চেম্বারে ঢুকেই বললো,
অপুঃ ডাক্তার সাব, আমার প্রস্রাব হয় না, জ্বালাপোড়া করে, এমনকি ঠিক মতো দাঁড়ায়ও না... এখন কি করুম ?
জিসান অপুর দিকে মলিন বদনে তাকিয়ে বেশ ব্যাথাতুর কণ্ঠে বললো,
ডাঃ জিসানঃ মেশিন নস্ট হয়ে গেছে, পাল্টাতে হবে !
ডাক্তারের কথা শুনেই অপু আৎকে উঠলো। হায় হায় ডাক্তার ব্যাটা বলে কি !
অপুঃ ডাক্তার সাব, এইটা কি কইরা সম্ভব ? !! এই মেশিন কি পাল্টানো যায় ? !!
অপুর ভয় পাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে জিসান কাষ্ঠ হাসি হেসে বললো,
ডাঃ জিসানঃ আরে আমি কি আপনার মেশিনের কথা বলছি নাকি ? আমি তো যে মেশিন দিয়ে আপনার মেশিন টেস্ট করুম সেই মেশিনের কথা বলছি। ঐটা আপাতত নস্ট হইয়া গেছে। মেশিন পাল্টানো ছাড়া আপনার মেশিন টেস্ট করন যাইবো না...