What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

গ্রীষ্মের মরসুমে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এড়াতে চাইলে ছাতু খান (1 Viewer)

গ্রীষ্মের মরসুমে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এড়াতে চাইলে ছাতু খান
এটি শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রেখে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে
এটি গ্রীষ্মের মরসুমে তৃষ্ণা মেটাতেও সাহায্য করে।ছাতু গ্রীষ্মকালে খাওয়া একটি সুপার কুল এবং এনার্জি সমৃদ্ধ খাবার। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। এটি গ্রীষ্মের মরসুমে তৃষ্ণা মেটাতেও সাহায্য করে। জল গুলে ছাতু পান করলে গরমের দিনে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে না।

ছাতু কী এবং কীভাবে তৈরি হয়?
কালো ছোলা থেকে ছাতু তৈরি করা হয়, যাকে ছোলার ছাতু বলে। আরেকটি ছাতু ছোলা এবং বার্লি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। ভাজা ছোলা এবং বার্লি পিষে ছাতুর গুঁড়ো তৈরি করা হয়। ছাতু ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার শত্রু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গ্রীষ্মকালে মানুষ নানাভাবে ছাতু ব্যবহার করে। এটি খাওয়ারও অনেক উপায় রয়েছে। আপনি ছাতুর মিষ্টি বা নোনতা শরবত পান করতে পারেন। এক গ্লাস জলে দুই চা চামচ ছাতু, লবণ বা চিনি মিশিয়ে নিন। এটি পান করলে আপনি গরমে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। এটি পেটে শীতলতাও প্রদান করে। ছাতুর তৈরি লিট্টি খেতেও অনেকেই পছন্দ করেন। কেউ কেউ পেঁয়াজ ও আমের চাটনির সঙ্গে ছাতু মিশিয়ে খান। আবার কেউ ছাতুর শেক পান করতে পছন্দ করেন।


ছাতুর পুষ্টিগুণ
অনেক ধরনের পুষ্টি যেমন ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং কম সোডিয়াম ছাতুর মধ্যে রয়েছে। এটি গরমে শরীরে শীতলতা যোগায়। এর শরবত পান করলে শরীরে শক্তির সঞ্চার হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ছাতু খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। অন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য এটি অন্যতম সেরা খাবার।

কখন ছাতু খাবেন
দিন বা রাতের পরিবর্তে সকালের ব্রেকফাস্টে ছাতু খান। আপনি যদি শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ করতে চান তবে ছাতুকে একটি দুর্দান্ত খাদ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বার্লি ছাতুর শীতলতা প্রদানের গুণ রয়েছে এবং গ্রীষ্মকালে এটি খাওয়া খুবই উপকারী।

ছাতু খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারি
ছাতু ওজন কমায়
আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে ছাতুকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। যারা স্থূলতায় ভুগছেন, তাদের সকালের ব্রেকফাস্টে ছাতু খাওয়া উচিত। এই কারণে, আপনি দ্রুত ক্ষুধার্ত অনুভব করেন না এবং আপনি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে রক্ষা পান।

হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে
ছাতুর মধ্যে অদ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা পাকস্থলী ও অন্ত্রের জন্য উপকারী। এটি কোলন থেকে চর্বিযুক্ত এবং তৈলাক্ত খাবার সহজে অপসারণ করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।

ডায়াবেটিস রোগীরাও ছাতু খান
ছাতু একটি লো গ্লাইসেমিক ফুড, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ঠান্ডা ছাতু খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। কালো ছোলা থেকে তৈরি ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে।

বাচ্চাদের জন্যও স্বাস্থ্যকর
শিশুদের জন্য ছাতু খুবই উপকারী। ছাতুর স্বাদ বাড়াতে চাইলে গুড় দিয়ে খান। ছাতু থেকে শরীর প্রোটিন, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল ইত্যাদি পায়, তাই রুটি তৈরির জন্য গমের আটার সঙ্গে অল্প পরিমাণে ছাতু যোগ করুন। ছাতুর মধ্যে উপস্থিত পুষ্টিগুণ শিশুদের শরীরে গিয়ে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।

তাপ থেকে সুরক্ষা
গরমের দিনে হিট স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি থাকে। ছাতু খাওয়া হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে। ছাতু শরীরে শীতলতা আনে, তাই এটি আমাদের তাপের কবল থেকে বাঁচায় এবং সুস্থ রাখে। ছাতু আপনাকে শুধু হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে না, শরীরকে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকেও রক্ষা করে। তাই গ্রীষ্মকালে ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কালো চুলের জন্য উপকারী
লম্বা, ঘন, সুন্দর ও কালো চুলের জন্য ছাতু উপকারী। অনেক সময় পুষ্টির অভাবে চুল পাতলা হয়ে যায়, পড়া শুরু হয়, অকালে সাদা হয়ে যায়। কিন্তু ছাতুর মধ্যে উপস্থিত প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই ঘাটতি পূরণ করে।

দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধার্ত অনুভব করবেন না
আপনি যদি বারবার ক্ষুধার্ত অনুভব করেন বা আপনি দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধার্ত থাকতে না পারেন, তাহলে ছাতু আপনার জন্য উপকারী। এটি খাওয়ার পর বা এর শরবত পান করলে অনেকক্ষণ ক্ষুধা লাগবে না।

ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য উপকারী
ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য ছাতুর সেবন খুবই উপকারী। এর জন্য ছাতুর মধ্যে লেবু, লবণ, জিরা এবং জল মিশিয়ে খেতে হবে।

রক্তস্বল্পতায় আক্রান্তদের জন্য উপকারী
শরীরে রক্তের অভাব হলে একজন ব্যক্তি রক্তশূন্যতায় ভোগেন। এমনটা হলে রোজ জলে ছাতু মিশিয়ে পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী
গর্ভাবস্থায় এবং মাসিকের সময় মহিলাদের মধ্যে পুষ্টির অভাব হয়। এসব পুষ্টি উপাদান পূরণের জন্য ছাতু একটি বড় ওষুধ। ছাতুতে উপস্থিত ভিটামিন এবং প্রোটিন শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।

সুন্দর ত্বকের জন্য উপকারী
সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়, কিন্তু আপনার ত্বকের বিশেষ যত্ন না নেওয়া এবং সঠিকভাবে পুষ্টি না পাওয়ার কারণে আপনার ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক এবং অস্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন ছাতুর পানীয় পান করলে আপনার ত্বক হাইড্রেট থাকে এবং নতুন কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে।

শরীরে শক্তি যোগায়
গ্রীষ্মের মরসুমে শরীরের শক্তি কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, ছাতুর সেবন আপনার শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়া খনিজ ও প্রোটিন শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই গ্রীষ্মকালে ছাতু খাওয়া উচিত।

শীতল প্রভাব
ছাতুপ প্রভাবে শরীরের তাপমাত্রায় বেশ ঠান্ডা থাকে। তাই গ্রীষ্মকালে এটি খেলে আমাদের শরীর শীতল হয়। ছাতু পান করলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর সঙ্গে পাকস্থলীতে হওয়া রোগও এড়ানো যায়। অতএব, গ্রীষ্মে ছাতু খাওয়া সবার জন্য উপকারী, তাই অবশ্যই ছাতু খান।

ছাতুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ছাতু খাওয়ার উপকারিতা যদি বেশি হয়, তবে কিছু অসুবিধাও আছে, যা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে ছাতু খেলে গ্যাস হতে পারে। গ্যাসের রোগীদের এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
যাদের ছোলা থেকে অ্যালার্জি আছে বা ছোলা হজম করতে অসুবিধা হয়, তাদেরও ছাতু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
বার্লি এবং ছোলা দিয়ে তৈরি ছাতু বর্ষাকালে অল্প অল্প করে খেতে হবে। হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদির মতো গ্রীষ্মকালীন সমস্যাগুলি এড়াতে ছাতু হল রামবাণ

Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতিএবং দাবিগুলিকে শুধুমাত্র পরামর্শ হিসাবে নিন। এই ধরনের কোনো চিকিৎসা/ঔষধ/খাদ্য অনুসরণ করার আগে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top