ভূতুড়ে কোয়ার্টার
লেখক-মোঃ আব্দুল্লা হিল মারুফ(তামিম)
সত্য ঘটনা অবলম্বনে
উৎসর্গ- মোঃ রাকিব খান
.................
আমি রাকিব বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান এইবার এইচ.এস.সি পরীক্ষা দিবো।আমার বাবা একজন ফরেষ্ট অফিসার। বাবা ফরেষ্ট অফিসার হবার সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় বদলি হতে হয় আর আমাদেরও তার সাথে বিভিন্ন কোয়ার্টার এ থাকতে হয়। আমাদের সাথে যে ঘটনাটি
ঘটে সেটা হল এক বছর আগে আমরা যখন খুলনাতে নতুন
কোয়ার্টারে উঠি তখন থেকে। আমাদের কোয়ার্টারটি ছিল দুইতলা বাড়ি আর আমরা সম্পুর্ণ বাড়ি নিয়েই থাকতাম।বাড়িটা পুরানো ছিল কিন্তু থাকার জন্য খুব ভালো আশেপাশের পরিবেশটাও খুব সুন্দর। কিছুদিন যাবার পর থেকে আমাদের সাথে কেমন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটতো। রাতেরবেলা মনে হত কেউ একজন আমার ঘরের ভিতরে
আছে, আমার পেছনেই আছে কিন্তু ঘুরলে দেখতাম কেউ নাই।মাঝে মাঝে দেখতাম বিড়ালের ছায়ার মত কিছু আমার ঘরের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে বাইরে যেয়ে দেখতাম কিছুই নাই। তখন মনে করতাম যে আমার মনের ভুল। কিন্তু এমনটা আমার আম্মুর কাছেও মনে হয় আর সেই সাথে আম্মু দিন দিন অসুস্থ হতে থাকে।এভাবে
আমাদের বেশকিছুদিন যাবার পর একদিন আমি রাতের বেলা ঘরে একা পড়ছিলাম
তখন মনে হল আমার ঘরের দরজার কাছে
কেউ দাঁড়িয়ে আছে আমি দরজার দিকে
তাকিয়ে যা দেখলাম তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। দেখি অনেক লম্বা সাদা কাপড় পরা কেউ একজন আমার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এটা দেখে আমি ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠলে পাশের ঘর থেকে আব্বু আম্মু চলে আসেন ততখনে ওটা চলে যায়।
এরপর আমাকে তারা সান্তনা দেন এবং পরেরদিন একজন হুজুরের কাছে থেকে তাবিজ নিয়ে আমাকে দেন। এরপর আমরা আমাদের আগে যারা এখানে থাকতেন তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি তারাও নাকি এমন ঘটনার
সম্মোখিন হয়েছে।আমরা আশেপাশের স্থানীয়দের কাছে জানতে পারলাম যে এই বাড়িটা একটি কবরের উপর তৈরি করা হয়
এরপর থেকে নাকি এখানে এমন সমস্যা হয়।
এসব শোনার পরে আমরা কোয়ার্টার ছেড়ে
দিয়ে অন্য একটি কোয়ার্টার এ যেয়ে থাকি।
আর এখন আমরা খুব ভালো আছি কিন্তু
আমি সেই রাতের কথা এখনো ভুলতে পারি
নাই।
সমাপ্ত....................
(কাহিনীটি আমার এক বড় ভাইয়ের জীবন থেকে নেওয়া তাই আমি তার মত করেই লেখার চেষ্টা করেছি।গল্পটি পড়ার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ)
লেখক-মোঃ আব্দুল্লা হিল মারুফ(তামিম)
সত্য ঘটনা অবলম্বনে
উৎসর্গ- মোঃ রাকিব খান
.................
আমি রাকিব বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান এইবার এইচ.এস.সি পরীক্ষা দিবো।আমার বাবা একজন ফরেষ্ট অফিসার। বাবা ফরেষ্ট অফিসার হবার সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় বদলি হতে হয় আর আমাদেরও তার সাথে বিভিন্ন কোয়ার্টার এ থাকতে হয়। আমাদের সাথে যে ঘটনাটি
ঘটে সেটা হল এক বছর আগে আমরা যখন খুলনাতে নতুন
কোয়ার্টারে উঠি তখন থেকে। আমাদের কোয়ার্টারটি ছিল দুইতলা বাড়ি আর আমরা সম্পুর্ণ বাড়ি নিয়েই থাকতাম।বাড়িটা পুরানো ছিল কিন্তু থাকার জন্য খুব ভালো আশেপাশের পরিবেশটাও খুব সুন্দর। কিছুদিন যাবার পর থেকে আমাদের সাথে কেমন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটতো। রাতেরবেলা মনে হত কেউ একজন আমার ঘরের ভিতরে
আছে, আমার পেছনেই আছে কিন্তু ঘুরলে দেখতাম কেউ নাই।মাঝে মাঝে দেখতাম বিড়ালের ছায়ার মত কিছু আমার ঘরের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে বাইরে যেয়ে দেখতাম কিছুই নাই। তখন মনে করতাম যে আমার মনের ভুল। কিন্তু এমনটা আমার আম্মুর কাছেও মনে হয় আর সেই সাথে আম্মু দিন দিন অসুস্থ হতে থাকে।এভাবে
আমাদের বেশকিছুদিন যাবার পর একদিন আমি রাতের বেলা ঘরে একা পড়ছিলাম
তখন মনে হল আমার ঘরের দরজার কাছে
কেউ দাঁড়িয়ে আছে আমি দরজার দিকে
তাকিয়ে যা দেখলাম তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। দেখি অনেক লম্বা সাদা কাপড় পরা কেউ একজন আমার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এটা দেখে আমি ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠলে পাশের ঘর থেকে আব্বু আম্মু চলে আসেন ততখনে ওটা চলে যায়।
এরপর আমাকে তারা সান্তনা দেন এবং পরেরদিন একজন হুজুরের কাছে থেকে তাবিজ নিয়ে আমাকে দেন। এরপর আমরা আমাদের আগে যারা এখানে থাকতেন তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি তারাও নাকি এমন ঘটনার
সম্মোখিন হয়েছে।আমরা আশেপাশের স্থানীয়দের কাছে জানতে পারলাম যে এই বাড়িটা একটি কবরের উপর তৈরি করা হয়
এরপর থেকে নাকি এখানে এমন সমস্যা হয়।
এসব শোনার পরে আমরা কোয়ার্টার ছেড়ে
দিয়ে অন্য একটি কোয়ার্টার এ যেয়ে থাকি।
আর এখন আমরা খুব ভালো আছি কিন্তু
আমি সেই রাতের কথা এখনো ভুলতে পারি
নাই।
সমাপ্ত....................
(কাহিনীটি আমার এক বড় ভাইয়ের জীবন থেকে নেওয়া তাই আমি তার মত করেই লেখার চেষ্টা করেছি।গল্পটি পড়ার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ)