কাল তো ছুটির দিন, কিন্তু এদিকে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এ সময়ে খুব কাজ না থাকলে বাড়ির বাইরে না যাওয়াই ভালো। তবে যাঁরা সব সময় বাইরে যেতে অভ্যস্ত, তাঁদের ছুটির দিনে কি আর ঘরে থাকতে ভালো লাগবে? পরিবারের সদস্যদের নিয়েই ছুটির শুক্রবার কাটাতে পারেন বাড়ির ছাদে। সকালে পিঠাপুলির উৎসব, দুপুরের ছাদে বনভোজনের আয়োজন বা রাতে ভাইবোনদের বারবিকিউ পার্টি—কোনোটিই কিন্তু জমে উঠতে সময় নেবে না
হাসি, আড্ডা, গানে মুখরিত বাড়ির ছাদ
বাড়ির ছাদেই হতে পারে বনভোজনের আয়োজন। তবে সেখানেও মানতে হবে বিধিনিষেধ। শুধু পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিই থাকবে এখানে। ঘরে থাকা চাল, ডাল আর সবজিতে জমে উঠুক এ ছাদভোজনের আয়োজন।
জমে উঠেছে ছাদ ভোজনের আয়োজন
সকালের নাশতার আয়োজনটা হতে পারে বাড়ির ছাদে। খুব বেশি কিছু কিন্তু লাগবে না। শুধু সকালের বাড়িতে তৈরি প্রাতরাশ, সুন্দর তৈজস আর একটা চাদর নিয়ে উঠে যান ছাদে। এবার চাদর বিছিয়ে তার ওপরই খাবারের আয়োজন করে ফেলুন। আর হাসি–আড্ডা–গানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাতিয়ে তুলুন সকালটা।
শীতের অলস বিকেলটা জমে উঠতে পারে পিঠাপুলির আয়োজনে। ছাদে চলতে পারে এসব পিঠাপুলি বানানোর আয়োজন। নিজেদের হাতে বানানো পিঠাপুলি খেতে খেতে ভাইবোনেরা মেতে উঠতে পারে আনন্দ–আড্ডায়।
পিঠাপুলির আড্ডায় জমজমাট বিকেল
হয়তো অন্য সময় ব্যস্ততার কারণে এসব হয়ে ওঠে না। তাই এ ছুটির রাতকে আনন্দময় করে তুলতে বাড়ির ছাদে বারবিকিউর আয়োজন তো করা যেতেই পারে। বাজারে বারবিকিউর জন্য আলাদা চুলা পাওয়া যায়। তবে তা যদি না থাকে, চিন্তার কিছু নেই। দুটি ইট জোগাড় করে তারপর মাঝখানে কয়লা রাখুন। এবার শিকে মাংস গেঁথে কয়লায় আগুন জালিয়ে ঝলসে নিন। খেয়াল রাখবেন, শীতের দিনে বাতাস বেশি থাকে। এ কারণে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
বাড়ির ছাদে বারবিকিউর আয়োজন
লেখক: বিপাশা রায়