বাঁশপাতা, কাঁঠালপাতা, জায়ফল আর আমপাতারা যেন জায়গায় জায়গায় জড়ো হয়ে শীতের বিকেলের মিষ্টি রোদ পোহাচ্ছে। আর সেগুলোর ওপরে ঝুলছে নানা ধরনের শীতের পোশাক। ব্লেজার, জ্যাকেট, পকেটওয়ালা পঞ্চ, কোট, কোটি আরও কত কী! এগুলো নতুন কাপড়ে, নতুন ডিজাইনে কাঁথার ফোঁড়ে বানানো। যশোরের পাঁচটা গ্রামের মানুষদের হাতে তৈরি। আছে বাতিল কাপড়, কাঠ, ফুল, ফলের বীজ আর ফেলনা ধাতু দিয়ে বানানো নান্দনিক সব গয়না। দেয়ালে দেয়ালে ছবি, শব্দ আর বাক্যে তুলে ধরা হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণ আর প্রভাব। এসব রাজধানীর বনানীতে কিউরিয়াসের নিজস্ব ভবনে আয়োজিত 'শীতের প্রদর্শনী'তে দেখা গেল।
আয়োজনটি উদ্বোধন হয় গত ৩০ নভেম্বর। প্রধান অতিথি ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির। পরে সবাই মিলে ঘুরে ঘুরে প্রদর্শনী দেখেছেন মিডিয়াকর্মী, অতিথি, সাধারণ দর্শক আর ক্রেতারা।
আয়োজনটি দেখতে এসেছিলেন শখের আলোকচিত্রী আহাদুল ইসলাম। এই তরুণের কাছে জানতে চাইলাম, কেমন লাগল প্রদর্শনী? তিনি বললেন, 'ভালোই লাগল। ছিমছাম গোছানো আয়োজন। প্রতিটি উপাদান পরিবেশবান্ধব, একটা মহৎ উদ্দেশ্য মাথায় রেখে করা। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, গ্রামের যে মানুষগুলোর হাতের পরশে কাপড়গুলো সুন্দর পোশাক হয়ে উঠল, তাঁদের একটা অংশগ্রহণ থাকলে আয়োজনটা কানায় কানায় পূর্ণ হতো। তাঁদের যদি শারীরিকভাবে উপস্থিত করা সম্ভব না–ও হতো, অন্তত তাঁদের ছবি, নাম আর পরিচিতিও থাকতে পারত। এটা একটা স্বীকৃতি, আর এর প্রয়োজন আছে।' অবশ্য এই দর্শক যাঁদের কথা বললেন, কেবল তাঁরা ছাড়া এ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি স্তরের মানুষকে নাম ধরে ডেকে সামনে এনে জোর করতালির মাধ্যমে শেষ হয়েছে আয়োজন। প্রদর্শনীটি চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রদর্শনী ঘুরে ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
দেড় শ বছরের পুরোনো কাঁথার ফোঁড়। কিউরিয়াসের প্রধান ডিজাইনার চন্দ্র শেখর সাহা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পরম নিপুণতার সঙ্গে তৈরি এ কাঁথার ফোঁড় দেখিয়ে জানালেন, কাঁথার কাপড়ের যে কুঞ্চন, সেটিই এর অনন্য বৈশিষ্ট্য। এই কুঞ্চন ছাড়া কাঁথা হবে না। আর এ জন্যই ত্বকে এমন আরামদায়ক অনুভূতি দেয় কাঁথা
আয়োজনটি উদ্বোধন হয় গত ৩০ নভেম্বর। প্রধান অতিথি ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির। পরে সবাই মিলে ঘুরে ঘুরে প্রদর্শনী দেখেছেন মিডিয়াকর্মী, অতিথি, সাধারণ দর্শক আর ক্রেতারা।
আয়োজনটি দেখতে এসেছিলেন শখের আলোকচিত্রী আহাদুল ইসলাম। এই তরুণের কাছে জানতে চাইলাম, কেমন লাগল প্রদর্শনী? তিনি বললেন, 'ভালোই লাগল। ছিমছাম গোছানো আয়োজন। প্রতিটি উপাদান পরিবেশবান্ধব, একটা মহৎ উদ্দেশ্য মাথায় রেখে করা। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, গ্রামের যে মানুষগুলোর হাতের পরশে কাপড়গুলো সুন্দর পোশাক হয়ে উঠল, তাঁদের একটা অংশগ্রহণ থাকলে আয়োজনটা কানায় কানায় পূর্ণ হতো। তাঁদের যদি শারীরিকভাবে উপস্থিত করা সম্ভব না–ও হতো, অন্তত তাঁদের ছবি, নাম আর পরিচিতিও থাকতে পারত। এটা একটা স্বীকৃতি, আর এর প্রয়োজন আছে।' অবশ্য এই দর্শক যাঁদের কথা বললেন, কেবল তাঁরা ছাড়া এ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি স্তরের মানুষকে নাম ধরে ডেকে সামনে এনে জোর করতালির মাধ্যমে শেষ হয়েছে আয়োজন। প্রদর্শনীটি চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রদর্শনী ঘুরে ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
দেড় শ বছরের পুরোনো কাঁথার ফোঁড়। কিউরিয়াসের প্রধান ডিজাইনার চন্দ্র শেখর সাহা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পরম নিপুণতার সঙ্গে তৈরি এ কাঁথার ফোঁড় দেখিয়ে জানালেন, কাঁথার কাপড়ের যে কুঞ্চন, সেটিই এর অনন্য বৈশিষ্ট্য। এই কুঞ্চন ছাড়া কাঁথা হবে না। আর এ জন্যই ত্বকে এমন আরামদায়ক অনুভূতি দেয় কাঁথা