What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ইসলামে পারিবারিক জীবনের গুরুত্ব (1 Viewer)

mujab

Member
Joined
Sep 4, 2020
Threads
15
Messages
125
Credits
1,904
সমাজ জীবনের প্রথম ভিত্তিই হলো পরিবার। পরিবার বলতে স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি, পিতা-মাতা, ভাই-বোনদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একান্নভুক্ত পরিমণ্ডলকে বুঝায়। এদের সমন্বয়ে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে পারিবারিক জীবনের গুরুত্ব অত্যাধিক। মহান আল্লাহ তাআলার হিকমাত যে, তিনি আদি পিতা হজরত আদম আলাইহিস সালাম ও আদি মাতা হজরত হাওয়া আলাইহিস সালামের মাধ্যমে পৃথিবীতে পারিবারিক জীবনের সূচনা করেছিলেন। যা আজও বিদ্যমান।

আজ ১৫ মে, রোববার, আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- `পরিবার, পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য এবং তাদের টেকসই ভবিষ্যৎ`। ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়। তাই ১৯৯৪ সালকে আন্তর্জাতিক পরিবার বর্ষ ঘোষণা করেছিল জাতিসংঘ।

পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখতে সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নে পরিবারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টিই হলো 'পরিবার দিবস' পালনের মূল উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা পারিবারিক বন্ধকে মজবুত করার লক্ষ্যেই পরিবারের প্রথম বিন্যাস বৈবাহিক চুক্তির পদ্ধতি চালু করেছেন। যা হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালামের মাধ্যমে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে বিস্তৃতি লাভ করেছে।

পারিবারিক পদ্ধতির ব্যাপারে নৃবিজ্ঞানী ম্যালিনোস্কি যথার্থই বলেছেন 'পরিবার হল একটি গোষ্ঠী বা সংগঠন আর বিবাহ হল সন্তান উৎপাদন ও পালনের একটি চুক্তি মাত্র।' কারণ এ বিয়ের মধ্যেই নিহিত আছে মানব জীবনের পবিত্রতা ও সুস্থতা। ব্যক্তি ও পারিবারিক পবিত্রতা ও সুস্থতার উপরই নির্ভর করে সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বময় মানব জাতির পবিত্রতা ও সুস্থতা।

মহান আল্লাহর অনুগ্রহ যে, তিনি পৃথিবীতে মানব বংশ সম্প্রসারণেও এ পারিবারিক পদ্ধতির বিধান চালু করেছেন। পারিবারিক জীবনের গুরুত্ব বুঝাতে আল্লাহ তাআলা বলেন, 'হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতেই সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তা হতে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তাদের দু'জন হতে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন।' (সুরা নিসা : আয়াত ১)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ এবং এক নারী থেকে। তারপর তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি লাভ করতে পার।' (সুরা হুজরাত : আয়াত ১৩)

পারিবারিক জীবনের সুফল
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় থেকে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, পারিবারিক বন্ধন থেকেই মানব বংশ সম্প্রসারণ হয়েছে। যদি সকল জাতি ও গোত্রের লোকেরা বিভিন্ন পরিবারে বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তবে সে পরিবার সমাজে সর্বোত্তম আদর্শ পরিবার হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। যেখানে বইতে থাকে শান্তির ফল্গুধারা। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের বিচরণ হবে সুখকর ও আনন্দময়।

পরিবারের সদস্যরা যখন আল্লাহর দেয়া দায়িত্বানুভূতি সম্পর্কে সজাগ থাকবে। স্ত্রী তার অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে লাভ করবে। স্বামী যখন স্ত্রীর নিকট তার অধিকার পাবে, সন্তান বাবা-মায়ের ঘনিষ্ঠ সাহচর্য ও তাদের অধিকার লাভ করবে, আত্মীয়-স্বজন যখন পরস্পরের যথাযথ সম্মান মর্যাদা পাবে, তখন কোনো স্ত্রী আর তার অধিকারের দাবিতে প্রকাশ্য জনপথে আন্দোলনে বের হবে না, কোনো স্বামী ভালোবাসা ও সুন্দর জীবন-যাপনে অন্য নারীর প্রতি আশক্ত হবে না, কোনো সন্তানই বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করবে না এবং আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্কের দৃঢ়তায় আল্লাহর রহমত, বরকত ও অনুগ্রহ বর্ষিত হতে থাকবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top