What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

গেম খেলা বিনোদন, না আসক্তি (1 Viewer)

me4vRqp.jpg


ইন্টারনেট গেমস, ভিডিও গেমস—নাম শুনলেই অভিভাবকেরা যেন আঁতকে ওঠেন। গেল গেল রব শুরু হয়ে যায়। শঙ্কায় থাকেন তাঁদের সন্তানেরা কখন এই গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। গেম মানেই কি আসক্তি বা গেম খেলা কি খুব খারাপ?

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বেশির ভাগ ইন্টারনেট গেমস তৈরি করা হয়েছে বিনোদনের জন্য, পাশাপাশি এসব গেমের মাধ্যমে শিশু–কিশোরদের সমস্যা সমাধান করার সক্ষমতা বাড়ে, নিজের মতো করে চিন্তা করতে পারে এবং অনলাইনে বন্ধুত্ব আর সামাজিক দক্ষতা বাড়ে। গেমিফিকেশন বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ গেমের মাধ্যমে আমাদের ধারণা ও আচরণের পরিবর্তন। একটি গেমের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়, যাতে যিনি গেমটি খেলছেন, তাঁর আচরণ আর মানসিকতায় পরিবত৴ন ঘটতে পারে। গেমের ডিজাইন ইতিবাচক হলে পরিবর্তনটি ইতিবাচক হবে; আর গেমের ডিজাইন ক্ষতিকর হলে পরিবর্তন নেতিবাচক দিকে যাবে।

একটি ভালো ডিজাইনের গেম যে ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসতে পারে, তা হচ্ছে—

• সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা বাড়ে;

• সমস্যা সমাধানের কৌশল শেখা যায়;

• বিশ্লেষণমূলক চিন্তা করার অভ্যাস তৈরি হয়;

• সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বা রিফ্লেক্স বেড়ে যায়;

• প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করার চর্চা করতে শেখায়;

• গাণিতিক দক্ষতা বাড়ে;

• মাল্টি টাস্কিংয়ে সক্ষমতা বাড়ে;

• পরিবারের সদস্যরা মিলে গেম খেললে পারিবারিক সম্প্রীতি বাড়ে।

qkGdFMa.jpg


গেমে আসক্ত হলে সামাজিক দক্ষতা কমে আসে

কখন বুঝবেন গেমে আসক্তি হয়েছে

গেম খেললেই সেটিকে নেতিবাচকভাবে নেওয়া যাবে না। দেখতে হবে সেটি আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে কি না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন গবেষক দলের মতে, গেমিং আসক্তির লক্ষণগুলো ১২ মাস ধরে থাকতে হবে।

• ইন্টারনেট ব্যবহার বা গেম খেলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। অনেক বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে;

• দিন দিন ইন্টারনেটে গেম খেলার সময় বাড়তে থাকবে;

• জীবনের সব আনন্দের উৎস হবে ইন্টারনেট বা গেম। এগুলো ছাড়া আর কোনো কিছুতেই আনন্দ পাবে না;

• যে কাজগুলো করার কথা, যেমন: পড়ালেখা, অফিস, বাসার কাজ, তা ব্যাহত হবে। পরীক্ষার ফল খারাপ হতে থাকবে। কাজের মান কমে যাবে। অফিসে দেরিতে যাবে।

• নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারলে উৎকণ্ঠা আর অস্বস্তিতে ভুগবে। খিটখিটে মেজাজ হবে। আচরণ আগ্রাসী হয়ে উঠবে;

• ঘুমের সমস্যা দেখা দেবে। দিনে ঘুমাবে আর রাতে জাগবে।

• খাবার গ্রহণে অনিয়মিত হয়ে উঠবে। দ্রুত খাওয়া যায় এমন খাবার গ্রহণ করবে, যেমন ফাস্টফুড।

• সামাজিকতার দক্ষতা কমে যাবে। কারও সঙ্গে মিশবে না। নিজেকে গুটিয়ে রাখবে।

গেমে আসক্তি হতে পারে—এই ভেবে গেম থেকে দূরে থাকা যাবে না; বরং নিরাপদ গেম খেলতে হবে, পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে গেম খেললে আসক্তির আশঙ্কা কমে যাবে আর গেম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। যেসব গেমে সহিংসতা, আগ্রাসী আচরণ আর অশালীন ভাষা থাকে, সেসব গেম পরিহার করতে হবে। ইন্টারনেট গেম, যেমন বিনোদন, তেমনি এতে আসক্তির ঝুঁকি রয়েছে। যৌক্তিকভাবে নিয়ম মেনে গেম খেললে আসক্তির ঝুঁকি কমানো যায়।

লেখক: ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ | সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
 
আমি ফ্রী ফায়ার খেলা শুরু করি ২০১৭ সালে।তখন গেমটি নতুন বের হ‌ইছে।এরপর এখন পর্যন্ত এই গেমটি কম করে হলেও ১২ থেকে ১৩ বার আন‌ইনস্টল করছি।যখনই দেখতাম গেমটির কারণে আশেপাশের লোকজনের উপর বিরক্ত হচ্ছি তখনই আমি এটি আন‌ইস্টল করে দেই।আর ৩-৪ মাস গেম না খেলেই দিব্যি চালিয়ে নেই।৩-৪ মাস পর আবার গেম নামিয়ে মাস খানেক খেলে আবার আন‌ইস্টল করে দেই।মূলত গেম ইনস্টল ও আনস্টল করাও আমার কাছে একটা গেম খেলার মতোই😃
সর্বশেষ গত ৩ মাস আগে গেমটি আন‌ইস্টল করেছি।এখনও গেম না খেলে দিব‍্যি সময় কাটিয়ে দিচ্ছি।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top