রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতে শারীরিক পরিশ্রমের বিকল্প নেই। কিন্তু বর্ষায় ঝড়–বৃষ্টির কারণে শিশুরা বাইরে বা ছাদে, নিচে খেলতে পারছে না। বিধিনিষেধও একটা কারণ। কিন্তু শিশুদের শারীরিক–মানসিক সুস্থতা ও বেড়ে ওঠার জন্য খেলাধুলা খুবই দরকার। এমন কিছু খেলা রয়েছে, যা বাচ্চারা বাড়িতেই করতে পারে। এ ধরনের খেলায় ক্যালরি ক্ষয় হয় এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
টেবিল টেনিস: ঘরের বারান্দায় বা ডাইনিং টেবিলকে ব্যবহার করে সহজেই টেবিল টেনিসের কোট বানিয়ে খেলা যেতে পারে। এক ঘণ্টা খেললে প্রায় ২০৪ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
দড়ির লাফ: এটি খুব সহজ খেলা। যেকোনো ঘরে খেলা যেতে পারে। খুব বেশি জায়গার দরকার হয় না। মাত্র ১৫ মিনিট দড়ি লাফে প্রায় ১১৯ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
কুতকুতজাতীয় খেলা: ছোটবেলা অনেকেই মাটিতে দাগ কেটে কুতকুত খেলেছেন। বাসায় বা করিডরেও মেঝেতে দাগ দিয়ে বাচ্চাদের এ ধরনের খেলায় উৎসাহিত করা যেতে পারে। মাত্র ১৫ মিনিট খেলায় প্রায় ৬৮ ক্যালোরি ক্ষয় হয়।
বোলিং: বাড়িতে প্লাস্টিকের কাপ বা ওয়ানটাইম কাগজের গ্লাস দিয়ে খেলা যেতে পারে। একটির ওপর আরেকটি কাপ সাজিয়ে দূর থেকে বল দিয়ে সাজানো কাপগুলো ফেলে দেওয়ার এই খেলা। ঘরের লম্বা করিডরে বোলিং খেলা যেতে পারে। প্রায় ৩০ মিনিট বোলিং খেলায় ১০৫ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
ট্যাব দি সেপ/আকৃতি ধরা: ঘরের মেঝেতে টেপ দিয়ে বা চক দিয়ে নানা ধরনের ঘর করতে হবে। যেমন ত্রিকোণা, চক্রাকার, বৃত্তাকার ইত্যদি। এবার নির্দেশ অনুযায়ী দুই পায়ে কিংবা একপায়ে লাফিয়ে, কখনো বসে লাফ দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ঘরে যেতে হবে। এই খেলায় বাচ্চারা নানা ধরনের আকৃতির নাম শিখবে ও মজা পাবে।
বেলুন ফোলানো: বাচ্চাদের যেহেতু শ্বাসের ব্যায়াম করানো সহজ নয়, সে ক্ষেত্রে ফেলুন ফোলানো একটি ভালো শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম। এ ছাড়া ফোলানো বেলুন হাতের ওপরে রেখে ভারসাম্যের অনুশীলন করাও হতে পারে আনন্দের খেলা।
লুকোচুরি: ঘরে শিশুরা মা–বাবার সঙ্গে খেলতে পারে লুকোচুরি। শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গে এটি মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে।
লাফ: ঘরের মধ্যে লম্বা দাগ কেটে শিশুদের জাম্পিং বা লাফানোতে উৎসাহিত করা যেতে পারে। যেমন প্রতিবার কতটুকু দূরত্বে যেতে পারছে, সেভাবে মেপে নতুন লাইন টেনে শিশুকে অনুপ্রেরণা দিতে হবে।
* উম্মে শায়লা রুমকি : ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি