What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

হঠাৎ মুখ বেঁকে গেলে যা করবেন (1 Viewer)

ভাইরাল সংক্রমণ, মধ্যকর্ণে ইনফেকশন, স্ট্রোক, টিউমার, ঠান্ডা, আঘাত, কানের অস্ত্রোপচারে ফেসিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফেসিয়াল পালসি হতে পারে।

rcc0nqm.jpg


হঠাৎ মুখ একদিকে বাঁকা হয়ে যাওয়া, ডান চোখ বন্ধ না হওয়া, কুলি করতে গিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লে বুঝবেন আপনার ফেসিয়াল নার্ভে সমস্যা হয়েছে।

মানুষের সপ্তম ক্রেনিয়াল নার্ভটিকে ফেসিয়াল নার্ভ বলে। যখন এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায়, তখন তাকে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা পালসি বলা হয়। জন বেল নামের এক ব্যক্তি রোগটি প্রথম শনাক্ত করায় এটিকে বেলস পালসিও বলা হয়। পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।

ভাইরাল সংক্রমণ, মধ্যকর্ণে ইনফেকশন, স্ট্রোক, টিউমার, ঠান্ডা, আঘাত, কানের অস্ত্রোপচারে ফেসিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফেসিয়াল পালসি হতে পারে। এটা হলে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ একদিকে বাঁকা হয়ে যায়; আক্রান্ত পাশের চোখ বন্ধ হয় না এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে। কুলি করতে গেলে পানি অন্যপাশে চলে যায় বা মুখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে। খাবার গিলতে কষ্ট হয়। কপাল ভাঁজ করা যায় না। অনেক সময় কথা জড়িয়ে যায়।

চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস জেনে ও স্নায়ু পরীক্ষা করেই ফেসিয়াল পালসির বিষয়ে ধারণা করতে পারেন। তেমন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার পড়ে না। দরকার হলে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট উইথ ইএসআর, চোয়ালের টেম্পরো-মেন্ডিবুলার জয়েন্টের এক্স-রে, নার্ভ কন্ডাকশন ভেলসিটি (এনসিভি) অব ফেসিয়াল নার্ভ প্রভৃতি পরীক্ষা করা যায়। রক্তে সুগার বা অন্য কোনো সমস্যা আছে কি না, তা জানা উচিত। কারণ, এই রোগীদের উচ্চমাত্রার স্টেরয়েড দিতে হতে পারে, আর তাতে ডায়াবেটিসের রোগীর সুগার অনেক বেড়ে যেতে পারে।

রোগের কারণ অনুসন্ধান করে রোগীর চিকিৎসা শুরুর পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ভাইরাসের সংক্রমণ হলে অ্যান্টি ভাইরাল, প্রদাহ কমাতে স্টেরয়েড, স্ট্রোক হলে তার চিকিৎসা করা।

বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পরিকল্পনা করে থাকেন। এর মধ্যে প্রোপ্রাইওসেপ্টিভ নিউরো মাস্কুলার ফ্যাসিলিটেশন, ইনফ্রারেড রেডিয়েশন থেরাপি, ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন থেরাপি, অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ ফেসিয়াল মাসল এক্সারসাইজ, স্পিচ রি-এডুকেশন থেরাপি, ব্যালুনিং এক্সারসাইজ, রিঙ্কলিং এক্সারসাইজ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসা চলাকালে রোগীর কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। যেমন ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে, আইসক্রিম ও ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না, বাইরে বা রোদে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে, যেন চোখে ধুলাবালু ঢুকতে না পারে। রাতে ঘুমানোর সময় আক্রান্ত চোখের ওপর রুমাল বা নরম কাপড় দিয়ে রাখতে হবে, যাতে কোনো কিছু চোখের মধ্যে না পড়ে। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘদিন ব্যায়াম করতে হবে।

* ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওথেরাপি বিভাগ, সিটিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা
 

Users who are viewing this thread

Back
Top