What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে যা জানা জরুরি (1 Viewer)

koGHy7X.jpg


বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আনঅফিশিয়াল ফোন ব্যবহারের সুবিধা। পহেলা জুলাই ২০২১ থেকে কেনা আনঅফিসিয়াল বাটনফোন, ফিচার ফোনসহ সকল স্মার্টফোন যেগুলো বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বা আনঅফিসিয়ালি কেনা হয়েছে, সেসব ফোনে একটি নির্দিষ্ট সময় পর সিম এর নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবেনা।

তবে থাকছে বিটিআরসি এর তরফ থেকে মোবাইল ও সিম রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়ার সুযোগ। চলুন কথা বলা যাক, আনঅফিশিয়ালভাবে কেনা ফোনগুলোর কী হবে ও কীভাবেই বা এসব ফোন রেজিস্ট্রেশন করা যাবে সেই সম্পর্কে।

বর্তমানে চালু থাকা ফোনগুলোর কী হবে?

এখন থেকে নতুন কেনা কিংবা বিদেশ থেকে আনা সব ধরনের মোবাইল ফোনই নিবন্ধন করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে ৩০শে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সকল সেটই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত গ্রাহকদের হাতে থাকা সচল কোনো সেট বন্ধ হবে না।

বিটিআরসির মহাপরিচালক শামসুল আলম জানান যে আপাতত শুধুমাত্র সেট বৈধ না অবৈধ সেটা চিহ্নিত করা হবে। এরপর বৈধ সেটের তথ্য ডাটাবেজে তোলা হবে। তার তিন মাস পর অবৈধ সেটগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেনো অবৈধ মোবাইলের সিম ব্যবহার বন্ধ করা হচ্ছে?

অবৈধ ফোনগুলোতে সিম এর সেবাসমুহ বন্ধের প্রসঙ্গে বেশকিছু যুক্তিযুক্ত কারণ জানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসি। অবৈধ মোবাইলে সিম বন্ধের প্রধান কারণগুলো হলোঃ


  • অবৈধ ও নকল মোবাইল আমদানি প্রতিরোধ করতে
  • ফোন চুরি ও সংশ্লিষ্ট প্রতারণা বন্ধ করতে
  • অপরাধীদের সহজে চিহ্নিত করতে
  • গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
  • রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে
  • মোবাইলভিত্তিক সেবা, যেমন: ভাতা বা বৃত্তি গ্রাহকের কাছে পৌঁছেছে কিনা তা সহজেই নিশ্চিত করতে

অবৈধ মোবাইল সম্পর্কিত নীতিমালা

জুলাই ১ থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সক্রিয় হতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে অবৈধ সেটে সিমের সেবা বন্ধ করে দেওয়া যাবে। অবশ্য ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে থাকা সচল সব মোবাইল সেটের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিবন্ধন হয়ে যাবে।

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) এর ডাটাবেজ দ্বারা মোবাইল ফোনের IMEI নম্বর, যে সিম চালু করা হবে তার নম্বর (MSISDN), সিমের সাথে দেয়া গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক পরিচিতি সব তথ্য সিঙ্ক্রোনাইজ করা হবে।

ইতিমধ্যে বৈধ অবৈধ মিলে মোট ১৫ কোটি মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পহেলা জুলাইয়ের পর থেকে শুধুমাত্র বৈধ উপায়ে আমদানিকৃত সেট নিবন্ধন পাবে। বিটিআরসির মহাপরিচালক এর মতে, যেকোনো দোকান, বিক্রয় কেন্দ্র কিংবা অনলাইন ই-কমার্স সাইট থেকে মোবাইল ফোন কেনার আগে অবশ্যই ফোন বৈধ কিনা তা যাচাই করে নেয়া খুব জরুরি।
কীভাবে মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাই করব?

এখন থেকে কোনো ফোন কেনার আগে সেই ফোনের বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। যদি সেটটি অবৈধ হয় তাহলে সেটা না কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিটিআরসির মহাপরিচালক। ফোন কেনার পর যদি দেখেন ফোন অবৈধ, সেক্ষেত্রে ক্রেতা তার ফোন ক্রয় এর রশিদ দেখিয়ে ফোন পূর্ণ দামে সেটটি ফেরত দিতে পারবেন। বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান যদি অবৈধ ফোন ফেরত নিতে না চায় তাহলে বিষয়টি বিটিআরসিকে অবহিত করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে বিটিআরসি।

5bwniE1.jpg


মোবাইলের বৈধতা যাচাই করার নিয়মঃ


  • যে ফোনের বৈধতা যাচাই করতে চান সেই ফোন চালু করে *#06# ডায়াল করার মাধ্যমে আইএমইআই কোডটি সংগ্রহ করুন
  • মোবাইলের বক্সে কিংবা মোবাইলের পেছনে একটি স্টিকারেও আইএমইআই কোডটি অনেক সময় লেখা থাকে, যেখান থেকেও ফোনের আইএমইআই কোডটি সংগ্রহ করতে পারেন
  • ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<স্পেস>মোবাইল ফোন সেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখুন,
  • উল্লেখিত পদ্ধতিতে লিখিত এসএমএস 16002 নাম্বারে পাঠান
  • ফিরতি এসএমএসে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এছাড়া মোবাইল ফোনের কাস্টমার কেয়ার অথবা লিংক থেকেও এই সেবা পাওয়া যাবে।

অবৈধ মোবাইল ফোনগুলোর কী হবে?

অবৈধ সেটে সিমের সেবা, যেমনঃ কল করা বা রিসিভ করা, সিম কোম্পানির ডাটা, ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

উল্লিখিত পদ্ধতিতে চেক করার পর কোনো ফোন বৈধ দেখানো মানেই সেটা নিবন্ধিত। তবে কোন সেট অবৈধ হলে তা গ্রাহককে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে। মেসেজ পাওয়ার পর ফোন ও সিম নিবন্ধনের জন্য তিন মাসের সময় পাবেন অবৈধ মোবাইল ব্যবহারকারীগণ। উক্ত তিন মাসে স্বাভাবিকভাবেই মোবাইল ব্যবহার করা যাবে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে গ্রাহক তার ক্রয় রশিদ বা অন্যান্য কাগজপত্র দেখিয়ে মোবাইল ফোনটি বৈধ হিসেবে নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।

নিবন্ধন করে না নিলে এই তিন মাস পর ঐ সেটে কোনো সিমের সেবা ব্যবহার করা যাবেনা।

অবৈধ ফোন নিবন্ধন করার নিয়ম

উল্লেখিত নিয়মে মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাই করার পর অবৈধ ফোন রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত তথ্য ফিরতি এসএমএসে জানানো হবে। এসএমএস এ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অবৈধ ফোন নিবন্ধন করা যাবে।

অবৈধ মোবাইল ফোন সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নসমুহ

একই মোবাইলে একাধিক সিম ব্যবহার করা যাবে কি?

– হ্যা, একই মোবাইলে একাধিক সিম ব্যবহার করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে মোবাইল ও সিমসমূহ ব্যবহারকারীর নামে নিবন্ধিত হতে হবে।

একজনের মোবাইল বা সিম আরেকজন ব্যবহার করতে পারবে কি?

– না, একজনের মোবাইল বা সিম আরেকজন ব্যবহার করতে পারবে না। একজনের মোবাইল বা সিম আরেকজন ব্যবহার করতে চাইলে সেক্ষেত্রে পুনঃনিবন্ধন করতে হবে।

বিদেশ থেকে মোবাইল আনা যাবে কি?

– হ্যাঁ, বিদেশ থেকে মোবাইল আনা যাবে। একজন বিদেশ ফেরত যাত্রী দুটি মোবাইল সেট শুল্ক ছাড়া বৈধভাবে নিয়ে আসতে পারবেন।

বিদেশ থেকে বৈধভাবে কিনে আনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া ফোনগুলোর কি হবে?

– বিদেশ থেকে বৈধভাবে কিনে আনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া ফোনগুলো বাংলাদেশের সিম চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নেটওয়ার্কে সচল হয়ে যাবে। চালু হওয়ার পর মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ফোন নিবন্ধন করতে বলা হবে, সেখানে নিবন্ধনের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেয়া হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য, যেমনঃ গ্রাহকের নাম, এনআইডি নম্বর অথবা পাসপোর্ট নম্বর এবং বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ইমিগ্রেশন পাতার স্ক্যান কপি বা ছবি দিয়ে সেটটি নিবন্ধন করে নিতে হবে।

বিদেশ থেকে দুইটির বেশি ফোন আনা যাবে কি?

– হ্যাঁ, বিদেশ থেকে দুইটির বেশি ফোন আনা যাবে। সেক্ষেত্রে দুইটি ফোনের পরবর্তী ৬টি ফোন শুল্ক দিয়ে আনতে হবে। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ৫৫.৬০% এবং বাটনযুক্ত ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে ৩৪.০০% শুল্ক প্রযোজ্য হবে।

নিবন্ধনকৃত মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে কি হবে?

– নিবন্ধনকৃত মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে খুব সহজেই ফোনের মালিক চুরি যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া ফোন বিটিআরসির পোর্টালে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করে লক করে দিতে পারবেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top