What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রযুক্তি যেন প্রতিযোগী না হয় (1 Viewer)

আগামী দিনগুলোতে শিল্পকারখানা আরও বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হবে। এই নতুনত্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এখনকার শিক্ষার্থীরা কীভাবে প্রস্তুত হবেন, সে প্রসঙ্গে লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্ট্রিক সফটওয়্যার লিমিটেডের বিক্রয় বিভাগের পরিচালক রিফাত নাওঈদ। প্রতিষ্ঠানটির ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ অঞ্চলের দায়িত্বে আছেন তিনি।

IstpPF0.jpg


ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন কী

শিল্পকারখানায় অটোমেশন বা ডিজিটাইজেশন বলতে বোঝায় যন্ত্র ও প্রযুক্তিবিদ্যা প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো হাতের কাজ (ম্যানুয়াল) আরও ভালোভাবে করতে সক্ষম হওয়া। এর মূল উদ্দেশ্যই হলো ভুলত্রুটির আশঙ্কা কমানো, কম পরিশ্রমে বেশি লাভ পাওয়া, সেই সঙ্গে মানুষের কাজে যন্ত্রকে সহযোগী বানানো।

করোনাকাল আমাদের বুঝিয়েছে, শিল্পকারখানায় স্বয়ংক্রিয়তা কত বেশি জরুরি। আমাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় পুরোপুরি শ্রমিকদের কায়িক শ্রম ও তাঁদের বুদ্ধিমত্তার ওপর নির্ভরশীল। ফলে এই কঠিন পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মজুরি দিতে না পেরে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, এমন ঘটনাও আছে। যোগাযোগসংক্রান্ত সমস্যা সমাধান থেকে শুরু করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা—সব ক্ষেত্রেই শিল্পকারখানায় স্বয়ংক্রিয়তা একটি টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।

DONZifs.jpg


রিফাত নাওঈদ

কেন যন্ত্রনির্ভরতা বাড়ছে

অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলেও ধীরে ধীরে আমাদের অটোমেশননির্ভর হতে হবে। তা ছাড়া এই পদ্ধতি পরিবেশদূষণ কমাতেও সাহায্য করে।

এ কথা সত্যি যে কারখানায় ডিজিটালাইজেশনের কারণে অনেক মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবে এখন থেকেই সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে যন্ত্র আপনার কাজ কেড়ে নিতে পারবে না, বরং সহযোগী হবে। কাজের সুযোগও বাড়বে।

প্রতিষ্ঠান ও কারখানাগুলোর ধীরে ধীরে আরও বেশি যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ার মূল কারণগুলো হলো:

  • উৎপাদন বৃদ্ধি
  • শ্রমিকসংক্রান্ত ব্যয় কমানো
  • পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি করা
  • কাঁচামালের সঠিক ব্যবহার
  • ব্যবসার লাভ বাড়ানো

বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন

বাংলাদেশে শিল্পকারখানাগুলো অধিকাংশই কায়িক শ্রমনির্ভর হওয়ায় ডিজিটালাইজেশনের প্রয়োগ এখানে খুবই সীমিত। তা সত্ত্বেও স্মার্ট সেলাই মেশিন, জ্যাকওয়ার্ড মেশিন, স্মার্ট সেন্সর, বিগ ডেটা, থ্রিডি প্রিন্টিং, জিএসডি, ইআরপি, এসএপি ইত্যাদির ব্যবহার এরই মধ্যে চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে কিছু প্রশাসনিক কাজ, যা আগে খাতা–কলমে করা হতো, যেমন: শ্রমিকদের উপস্থিতি এবং আসা–যাওয়ার সময় নথিভুক্ত করা, এগুলো এখন কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়।

উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের গুরুত্ব উপলব্ধি বাড়ছে। প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাকশিল্প—দুটোই এগোচ্ছে খুব দ্রুত। এই গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলানো এখন সবচেয়ে জরুরি। এর সঙ্গে অবশ্যই বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

তরুণেরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবে

আমার মতে, পদ্ধতিগত ও ব্যবহারিক দুই ধরনের অভিজ্ঞতা থাকলে খুবই ভালো। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে পড়া শিক্ষার্থীদের এই খাতে বেশ বিস্তৃত ও ভালো সুযোগ আছে। এ ছাড়া ভিন্ন বিভাগ থেকে স্নাতক করে এই খাতে কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়।

নতুন উদ্ভাবনের ব্যাপারে চোখ–কান খোলা রাখতে হবে, তা গ্রহণ করার মনোভাব থাকতে হবে অর্থাৎ প্রযুক্তিবান্ধব হতে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুনকে গ্রহণ করতে জানতে হবে এবং সেই সঙ্গে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য। প্রযুক্তিকে নিজের প্রতিযোগী না ভেবে বরং বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করলে তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

* রিফাত নাওঈদ
 

Users who are viewing this thread

Back
Top