What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার খাবেন যে কারণে (1 Viewer)

McK3nsa.png


প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিন। কিন্তু এসব পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি শরীরের দরকার সঠিক পরিমাণে কিছু মিনারেল বা খনিজ পদার্থ। শরীর গঠন, বৃদ্ধি ও সার্বিক সুস্থতার জন্য এসব খাদ্য উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খনিজ উপাদান দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে, মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংকেত সঞ্চালনা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

যে খনিজ উপাদান অধিক পরিমাণে প্রয়োজন, সেগুলোকেই ম্যাক্রোমিনারেল বলে। যেমন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম।

ক্যালসিয়াম: আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম। হাড় ও দাঁত মজবুত রাখা ছাড়াও নিয়ন্ত্রিত রক্তপ্রবাহ, মাংসপেশির কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরিতে ক্যালসিয়াম কাজ করে। দুধ, দই, পনির ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উৎস। এ ছাড়া পালংশাক, কালো ও সবুজ কচুশাক, শজনেপাতা, পুদিনাপাতা, শর্ষেশাক, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, ঢ্যাঁড়স, বাঁধাকপি, ব্রুকলির মতো বিভিন্ন সবজি এবং কমলা, ডুমুর, আঙুর, কিশমিশ, ড্রাইফ্রুট, তরমুজ, বিটরুট, সয়াবিন, তিল, কাঁচা বাদাম, আখরোট, সামুদ্রিক ও কাঁটাসহ ছোট মাছ ও চিংড়ি শুঁটকিতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম রয়েছে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে দাঁত-হাড়ের ক্ষয়রোগসহ মস্তিষ্কের কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

পটাশিয়াম: কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন বিপাকের জন্য পটাশিয়াম খুবই জরুরি। এটি বিভিন্ন এনজাইমের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজন। শুধু তা–ই নয়, এটি রক্তের পিএইচ লেভেল ও দেহের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ৩৫০০-৪৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামের প্রয়োজন। কলা, কমলা, আঙুর, ড্রাইফ্রুট, কিশমিশ, খেজুর, পালংশাক ও ব্রুকলি, গোল সাদা আলু, মিষ্টি আলু, বিট, মাশরুম, মটরশুঁটি, শসা, রসুন, দুধ, সাদা মুলা ও লাল মাংসে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়ামের অভাবে মাংসপেশি দুর্বল হতে পারে। কমে যেতে পারে প্রজননক্ষমতা।

ফসফরাস: রক্তে পিএইচের মাত্রা ঠিক রাখতে নিউক্লিক অ্যাসিড, ফসফোলিপিড ও বিভিন্ন এনজাইমের কো-ফ্যাক্টর হিসেবে দরকার ফসফরাস। শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার বিপাক, দেহকোষ ও টিস্যুর ক্ষত সারানো ও রক্ষণাবেক্ষণে এটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৮০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস। সাধারণত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার হাঁস–মুরগির মাংস, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, বীজজাতীয় খাবার, ডাল, বাদাম, দুধ, পনির, খেজুর ইত্যাদি থেকে প্রচুর ফসফরাস পাওয়া যায়।

ম্যাগনেশিয়াম: ম্যাগনেশিয়াম অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে নতুন ধরনের প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে। ডিএনএ ও আরএনএর পুনর্গঠন, মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ নিয়ন্ত্রণসহ রক্তের গ্লুকোজ কোষে পৌঁছাতে সাহায্য করে। বয়সভেদে ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা ৩০০-৪০০ মিলিগ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে। পূর্ণশস্যজাতীয় খাবার, বাদাম, বীজজাতীয় খাবার, তফু, চর্বিযুক্ত মাছ, কলা, পালংশাক, খোসাসহ আলু ও ঢ্যাঁড়স ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস।

* ফাহমিদা হাশেম | জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা
 

Users who are viewing this thread

Back
Top