What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ছোটদের মানসিকভাবে ক্ষতি করছে করোনা (1 Viewer)

b7HFH66.jpg


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের থাবায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশে হু হু করে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। সম্প্রতি এই তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তার কারণ ভারতে প্রতিদিন ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। বাড়ছে সংকটজনক রোগীর সংখ্যার পরিমাণও। সংক্রমণের কারণে ইতিমধ্যে দেশটির একাধিক রাজ্যে লকডাউন এবং কার্ফু চালু করা হয়েছে। আবার অনেক মানুষ নিজে থেকেই ঘরবন্দী হয়ে রয়েছেন ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে। কারণ করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের থেকে দ্বিতীয় ঢেউ আগের থেকে ছড়িয়ে পড়ছে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে। খবর কলকাতা টুয়েন্টিফোরের।

আগের থেকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সেই কারণে শিশুদের কথা ভেবে অনেক অভিভাবক বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ করেছে। তবে বাচ্চাদের সুরক্ষার উপায়গুলি সন্ধান করার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাদের মানসিক দিকটি।

শিশু বিশেষজ্ঞদের মত, মহামারীর সময় বাচ্চারা বাড়িতে থাকার ফলে শারীরিক এবং মানষিকভাবে বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনলাইন পড়াশোনা, আইসোলেশন, বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন, সামাজিক যোগাযোগ থেকে বিছিন্ন থাকা এবং খেলার অভাবের মতো বিষয়ের কারণে শিশুরা হতাশ এবং ভীতু হয়ে পরছে। বেশিরভাগ অভিভাবক পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও শিশুদের মানসিক চাহিদার বিষয়টা উপেক্ষা করে থাকি।

অন্যরা মনে করেন, মহামারীর সময় শিশুদের টিপিক্যাল গ্রোথ, শিক্ষা, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং অনুভূতির ক্ষেত্রে এক অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা মিলছে। এর কারণ হতে পারে স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভাবের মতো বিষয়গুলি।

বাচ্চাদের মধ্যে মানসিক সমস্যা ভবিষ্যতে একটি খারাপ রূপ নিতে পারে, সে কারণে অভিভাবকদের উচিত বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করা। আগামী দিনে যাতে শারীরিক সুরক্ষার সঙ্গে বাচ্চাদের মানষিক সুরক্ষাও ঠিক থাকে সেই দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ এই মানসিক বিষাদ বাচ্চাদের নিয়ে যেতে পারে অন্ধকারের দিকে। কী ভাবে বাচ্চাদের এই মানসিক ক্ষতি থেকে বের করা যাবে, তা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হল।

বাচ্চাদের মানসিক বিষাদ এবং হতাশা কাটাতে পারে তাদের অভিভাবক। সেই ক্ষেত্রে বন্ধুর মতো বাচ্চাদের সঙ্গে মিশে তাদের সমস্যাগুলি বুঝতে হবে, জানতে হবে। পাশাপাশি এই সমস্যার একটি সমাধানের পথ তৈরি করে তা আলোচনা করতে হবে বাচ্চাদের সঙ্গে।

বাড়িতে দাদা-দাদি থাকলে তাদের সঙ্গে একটা সুন্দর মুহুর্ত কাটানোর জন্য বাচ্চাদের ছেড়ে দিতে হবে। কারণ একা একা থাকার ফলে মানসিক বিষাদের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয় বাচ্চাদের মধ্যে।

বাড়িতে থাকলেও একটা নির্দিষ্ট রুটিন বানাতে হবে। এই রুটিন অনুযায়ী বাচ্চাদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোর সঙ্গে বাড়ির মধ্যে নানা কাজ, শিক্ষা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ এবং সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলি অবগত করাতে হবে বাচ্চাদের।

ইনডোর প্লে এবং সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত করাতে হবে বাচ্চাদের। এই ক্রিয়াকলাপগুলি ছাড়াও, বাচ্চাদের বাড়ির কাজে জড়িত থাকার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে তাদের মানসিক দিককে সুস্থ্য রাখার জন্য।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top