What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

রোগীর প্রয়োজন প্রিয়জনের সহযোগিতা (1 Viewer)

OTcK3In.jpg


ভালোবাসার মানুষ যখন মনের রোগে আক্রান্ত, তখন তার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া তার জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্যবান উপহার। ভালোবাসার মানে শুধু ভালো সময়ের সঙ্গী হওয়া নয় কিংবা ফুল-উপহার দিয়ে মন জয় করা বা বিশেষ কোনো দিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া নয়, বরং ভালো ও খারাপ সময়ে প্রিয়জনের পাশে থেকে তাঁকে ভালো রাখা, সঠিক যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় আপনজনকে ভালোর ভেতর বসবাস করতে সহযোগিতা করা।

বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার ও লক্ষণ

এই রোগে মনের মধ্যে দুই ধরনের মুডের বিন্যাস দেখা দেয়। যেমন ম্যানিক মুড আর ডিপ্রেসিভ মুড। বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনযাপন অনেকটা দুই মেরুতে বসবাসের মতো। ম্যানিক মুড আর ডিপ্রেসিভ মুড হলো ব্যক্তির মনের দুইটা বিপরীত অবস্থা। এই দুই ধরনের মুডের বাইরে ব্যক্তির স্বাভাবিক মুড স্থির থাকলেও কখনো কখনো তা তরঙ্গের মতো দুলতে থাকে।

নানা ধরনের মানসিক রোগের মধ্যে বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার হলো অন্যতম গুরুতর একধরনের সাইকোটিক ডিজঅর্ডার। এই রোগে মনের মধ্যে দুই ধরনের মুডের বিন্যাস দেখা দেয়। যেমন ম্যানিক মুড আর ডিপ্রেসিভ মুড। বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনযাপন অনেকটা দুই মেরুতে বসবাসের মতো। উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু যেমন পৃথিবীর দুইটা বিপরীত ভৌগোলিক অবস্থান, তেমনি ম্যানিক মুড আর ডিপ্রেসিভ মুড হলো ব্যক্তির মনের দুইটা বিপরীত অবস্থা। এই দুই ধরনের মুডের বাইরে ব্যক্তির স্বাভাবিক মুড স্থির থাকলেও কখনো কখনো তা তরঙ্গের মতো দুলতে থাকে।

এই দুই ধরনের মুডের লক্ষণগুলো প্রধানত দুইটি এপিসোডের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পায়, যেমন—ম্যানিক এপিসোড এবং মেজর ডিপ্রেসিভ এপিসোড। সাধারণত ম্যানিক এপিসোড অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহ এবং মেজর ডিপ্রেসিভ এপিসোড দুই সপ্তাহ সময়ব্যাপী একইভাবে চলতে থাকে। এসব লক্ষণ ব্যক্তির সামাজিক, পেশাগত ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যাঘাত ঘটায়।

ম্যানিক এপিসোডের লক্ষণ

ND3YHEE.jpg


প্রতীকী ছবি। অতিমাত্রায় খুশি ও উত্তেজিত হওয়া এ রোগের অন্যতম লক্ষণ

অতিমাত্রায় খুশি ও উত্তেজিত হওয়া, হঠাৎ আনন্দ–অনুভূতি থেকে রেগে যাওয়া বা বিরক্ত হওয়া, অস্থিরতা বোধ করা, অতি আবেগীয় আচরণ করা, অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হওয়া, আত্মমর্যাদাবোধ বেড়ে যাওয়া বা নিজেকে বড় মনে করা, ঘুমের চাহিদা কমে যাওয়া, স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত কথা বলা, একের পর এক ধারণার পরিবর্তন হওয়া, দ্রুত মনোযোগ সরে যাওয়া, নানা রকম কাজের পরিকল্পনা করা বা উদ্দেশ্যহীনভাবে হুটহাট কাজ করা, অতিমাত্রায় শক্তি বেড়ে যাওয়া ও নানা কাজে জড়িত হওয়া, অতিরিক্ত কেনাকাটা ও বেহিসেবি টাকাপয়সা খরচ করা, অস্বাভাবিক যৌনতাড়না হওয়া, বিচারবোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি।

মেজর ডিপ্রেসিভ এপিসোডের লক্ষণ

L84t95n.jpg


প্রতীকী ছবি। বেশির ভাগ সময়ই মন খারাপ থাকা মেজর ডিপ্রেসিভ এপিসোডের লক্ষণ

বেশির ভাগ সময়ই মন খারাপ থাকা, কোনো কিছুতে আগ্রহ না থাকা বা কোনো কিছুতে আনন্দ না পাওয়া, শূন্য অনুভূতি হওয়া, সহজেই কান্না পাওয়া, স্বাভাবিকের তুলনায় ক্ষুধা কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, স্বাভাবিকের তুলনায় ঘুম কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, অস্থিরতা বোধ করা অথবা কাজের গতি কমে যাওয়া, অতিমাত্রায় দুর্বল বোধ করা, নিরাশ হওয়া, অপরাধবোধ হওয়া, মনোযোগের ঘাটতি হওয়া, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, আত্মহত্যার চিন্তা ও চেষ্টা করা।

মনে রাখা প্রয়োজন, শুধু রোগের লক্ষণ দেখে নিজে নিজে রোগ নির্ণয় না করে অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিতে হবে। এই রোগের ক্ষেত্রে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই চিকিৎসাকে অবহেলা করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সাইকিয়াট্রিস্ট মেডিসিনের মাধ্যমে এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সাইকোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা করে থাকেন।

বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি প্রিয়জনের ভূমিকা

বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ওষুধ সেবনের পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা শিখতে হয়। এই রোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির কাছের মানুষজনও (অর্থাৎ পরিবার ও বন্ধু) তাঁর সঙ্গে নানাভাবে প্রভাবিত হন। তাই তাঁদেরও বিশেষ কিছু করণীয় আছে যেন রোগীকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি তাঁরা নিজেরাও ভালো থাকতে পারেন, যেমন—

সঠিক তথ্য জানা: রোগের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং দ্রুত মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রিয়জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

RHMnZit.jpg


প্রতীকী ছবি। বাইপোলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীর জন্য আপনজনের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

চিকিৎসার জন্য উৎসাহিত করা

ব্যক্তিকে সঠিক চিকিৎসার জন্য উৎসাহিত করা। মেডিসিনের জন্য সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোথেরাপির জন্য ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের সহযোগিতা নেওয়া। এ রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো মেডিকেল ট্রিটমেন্ট। আর সাইকোথেরাপির মাধ্যমে ব্যক্তির চিন্তা ও আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখানো হয় এবং পরিবারের সমর্থনের জন্য ফ্যামিলি থেরাপি প্রয়োজন।

চিকিৎসার ফলোআপ রাখা

এই রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন চিকিৎসার অধীন থাকতে হয়। তাই অনেক সময়ই রোগী আশাহীন হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা করেন। তাই আপনজনের দায়িত্ব, ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা করানো। সব সময় সঙ্গে যাওয়া সম্ভব না হলেও ডাক্তার ও থেরাপিস্টের অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে দিয়ে তা মনিটর করা। নিয়মিত ওষুধ খাওয়াসহ থেরাপিউটিক কাজগুলো করার জন্য উৎসাহিত করা এবং ফলোআপ রাখা।

জরুরি ব্যবস্থাপনা করা

এই রোগে কখন কোন ধরনের মুড এপিসোড হবে, তা আগে থেকে জানা যায় না কিন্তু নিয়মিত মনিটর করলে কিছু লক্ষণের মাধ্যমে তার একটা ধারণা পাওয়া যায়। সুতরাং জরুরি ক্ষেত্রে ব্যক্তির সঙ্গে করণীয় বিষয়গুলোর একটা পূর্ব পরিকল্পনা করা এবং প্রস্তুতি রাখা। যেমন ম্যানিক এপিসোডে অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ডিপ্রেসিভ এপিসোডে আত্মহত্যার প্রবণতা হলে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে পূর্ব থেকে প্রস্তুত থাকা এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা করা

জরুরি অবস্থা ছাড়াও বাইপোলার ডিজঅর্ডারের রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা করে রাখা প্রয়োজন।

জরুরি অবস্থা ছাড়াও বাইপোলার ডিজঅর্ডারের রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা করে রাখা প্রয়োজন। ব্যক্তির মুড সুইংয়ের জন্য কিছু কোপিং মেকানিজম প্ল্যান করে রাখা। যখন খুব দুর্বল লাগে, তখন ঘরোয়া কাজ অথবা দৈনিক কার্যাবলি কীভাবে সম্পন্ন করবে, তার একটা পরিকল্পনা করা। মন স্বাভাবিক ও স্থির অবস্থায় কাজ গুছিয়ে রাখা ও জরুরি কাজের তালিকা লিখে রাখা যেন অন্যরাও সহজে তা জানতে পারে এবং প্রয়োজনে কাজগুলোয় সহযোগিতা করতে পারে।

সম্পদ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া

ম্যানিক এপিসোডের সময় অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি অতিমাত্রায় ইম্পালসিভ আচরণ করে থাকে যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যক্তির টাকা, ক্রেডিট কার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আপনজনের কাছে জমা রাখা, যেন সেগুলোর সুরক্ষা হয় এবং বেহিসাবি টাকাপয়সা খরচ করতে না পারে। সুতরাং সম্পদ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়ে রোগীকে চাপমুক্ত রাখতে তাঁর আপনজনকে বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।

মুডের পরিবর্তন বোঝা

বাইপোলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীর জন্য আপনজনের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রোগীর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তাঁদের ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। রোগীর মুডের পরিবর্তন বুঝতে হবে, গুরুতর অবস্থার লক্ষণ বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। কখন সে সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম আর কখন তাঁর চিন্তা ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তা বুঝতে হবে। অনেক সময় রোগী অন্যের সহযোগিতাকে বিরক্তিকর মনে করে এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া করে থাকে, যা রোগের অংশ হিসেবে মেনে নেওয়া।

Cv6rvUG.jpg


প্রতীকী ছবি। রোগীর মুডের পরিবর্তন বুঝতে হবে, গুরুতর অবস্থার লক্ষণ বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে

শক্তির সদ্ব্যবহার করানো

ম্যানিক এপিসোডে শক্তি ও কাজের প্রতি আগ্রহের মাত্রা বেড়ে যায়, কঠিন কাজকেও সহজ মনে হয় এবং একই সঙ্গে অনেক কাজ করতে পারে। তখন ব্যক্তিকে গাইড করে তাঁর এই শক্তি এবং ইচ্ছাগুলোর সদ্ব্যবহার করানো যেতে পারে।

অতি আবেগপ্রবণ আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা

ব্যক্তির অতি আবেগপ্রবণ বা ইম্পালসিভ আচরণগুলোকে সমর্থন না করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করা। জোরপূর্বক কিছু না করে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা।

চাপ সৃষ্টি না করা

চাপ সৃষ্টি না করে বরং চাপ মোকাবিলা করতে শেখানো এবং স্বাভাবিক কাজে ব্যস্ত রাখা। ভালো কাজের প্রশংসা করা ও বিরূপ কিছুর জন্য তিরস্কার না করা।

মনোযোগী শ্রোতা হওয়া

মনোযোগী শ্রোতা হয়ে ব্যক্তির কথা শোনা। তাঁর খারাপ লাগার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া। অবাস্তব ও অপ্রাসঙ্গিক কথা বললে তাঁর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক না করে এড়িয়ে যাওয়া।

NH3bqV6.jpg


প্রতীকী ছবি। আক্রান্ত ব্যক্তির একাকীত্বের অনুভূতি কমাতে হবে

একাকীত্বের অনুভূতি কমানো

ব্যক্তির অনেক ক্ষেত্রে খুব একাকীত্বের অনুভূতি হয়, তখন তাঁকে মানসিকভাবে সমর্থন করা এবং সে একা নয়, তাঁর পাশে কেউ আছে এমনট ভরসা দেওয়া।

আশাবাদী করে তোলা

ব্যক্তির ইতিবাচক গুণগুলো শনাক্ত করে সেগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য সহযোগিতা করা, যেন সে নিজের সম্পর্কে আশাবাদী ও ইতিবাচক হতে পারে।

ধৈর্য্য ধারণ করা

এটা দীর্ঘমেয়াদি রোগ, সুতরাং এর চিকিৎসাপদ্ধতিও দীর্ঘ সময়ের। তাই ধৈর্য্যসহকারে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা চালিয়ে যেতে হবে এবং আশাবাদী হয়ে পাশে থাকতে হবে।

সম্মান প্রদর্শন করা

মন্দ উপাধিতে ভূষিত না করে সম্মানের সঙ্গে কথা বলা। স্বাভাবিক বা সুস্থ অবস্থায় পারিবারিক ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাঁর মতামত নেওয়া।

নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া

প্রিয়জনের পাশে থাকতে গিয়ে নিজের প্রতি অবহেলা করা যাবে না। চাপ মোকাবিলা করা ও আবেগের প্রতি সঠিক প্রতিক্রিয়া করাসহ শুশ্রূষাকারীকে নিজের মন ও শরীরের যত্ন নিতে হবে।

বাইপোলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কারণ, ব্যক্তির মুড আগে থেকে অনুমান করা যায় না এবং এই মুডের সঙ্গে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে, তা বুঝতে পারাটাও কঠিন বিষয়। কিন্তু কেউ যদি এভাবে ভাবতে পারেন যে আমার সচেতনতা ও সহযোগিতা পেয়ে আমারই প্রিয় একজন সুন্দর একটা জীবন যাপন করতে পারছেন, তখন তা নিজের ভেতরও দারুণ একটা আত্মতৃপ্তির অনুভূতি তৈরি করবে।

সঠিক চিকিৎসা আর পরিবার ও বন্ধুদের সহযোগিতা পেলে বেশ ভালোভাবেই ব্যক্তি তাঁর এই দুই ধরনের মুডের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারে, তাঁর শক্তি ও গুণগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারেন। পৃথিবীতে বিখ্যাত অনেক লেখক, গায়ক, অভিনয়শিল্পী, চিত্রশিল্পীসহ খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারে ভুগেছেন এবং তাঁরা তাঁদের সর্বোচ্চ শক্তিগুলোকে কাজে লাগাতে পেরেছিলেন। সুতরাং আপনার আপনজন, যিনি বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারে ভুগছেন, তিনিও সুযোগ ও সহযোগিতা পেলে সুন্দর জীবনের পাশাপাশি হয়তো কখনো সুখ্যাতি অর্জন করতে পারবেন।

লেখক: কানিজ ফাতেমা, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top