ঐতিহ্যের খাদির রূপ খুলছে আধুনিকতায়। আভিজাত্য কমেনি; বরং তৈরি হচ্ছে নানা রকম পোশাক। শীত শুধু নয়, গরমকালের উপযোগী পাতলা খাদিও তৈরি হচ্ছে এখন। ডিজাইনারদের হাত ধরে ঘটছে খাদির রূপান্তর।
সুতা তৈরি থেকে তাঁতে কাপড় বোনা—পুরো প্রক্রিয়া হাতে হাতে। খাদি কাপড়ের মূল বৈশিষ্ট্য এটিই। এর আধুনিক উপস্থাপনায় অভিজাত ভাব কমেনি; বরং যোগ হয়েছে বৈচিত্র্য। ঐতিহ্যের ধারাও রয়েছে। পাঞ্জাবি আর চাদরের বাইরেও খাদি কাপড় দিয়ে বৈচিত্র্যময় পোশাক বানানো সম্ভব, সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন এ দেশের ডিজাইনাররা। ফ্যাশন ডিজাইনারস কাউন্সিল অব বাংলাদেশের আয়োজনে চার বছর খাদি নিয়ে যে জমকালো ফ্যাশন শো ও প্রদর্শনী হয়েছে, সেগুলোতে দেখা গেছে ফিউশনধর্মী কাজ। তা পোশাক ও উপকরণ—দুটোতেই।
সংখ্যায় কম হলেও কুমিল্লার চান্দিনা ও নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে চরকায় কাটা সুতা দিয়ে এখনো তাঁতে বোনা হচ্ছে খাদি। এই খাদি কাপড় ৪০-৬০ কাউন্টের সুতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি আমাদের নিজস্ব। বাইরের দেশ থেকে ১০০ কাউন্টের সুতা এনেও খাদি কাপড় তৈরি করা হচ্ছে। ফলে তৈরি হচ্ছে পাতলা খাদি, যা অনেক মসৃণও। এই খাদিতে তৈরি পোশাক গরমেও পরা যাবে। টাই-ডাই করে রাঙানো হচ্ছে খাদি। এই রঙিন কাপড়ের ওপর আবার নানা ধরনের কাজ নিয়ে আসছে ভিন্নতা।
পোশাক: এমদাদ
স্কার্ট, টপ আর আউটারওয়্যার—তিনটিই খাদি কাপড়ে তৈরি। ট্রাইবাল লুক চলে এসেছে পুরো পোশাকে। কুচি দেওয়া লম্বা স্কার্ট। আউটারওয়্যারটির কাটে অনেক ভাঁজ। পুরো পোশাকেই রয়েছে কাপড়ের রঙে ছাপা (সেলফ প্রিন্ট)।
পোশাক: মাকু
বছরজুড়েই পরা যাবে এই কটি।
পোশাক: বিবিয়ানা
সাদা রঙের কামিজের হাতায় চেকের ব্যবহার ভিন্নতা এনেছে।
পোশাক: এমদাদ
১০০ কাউন্টের সুতার হলুদ শাড়িটির পুরো অংশেই মেরুন রঙের ছাপা নকশা। সাদা খাদির খাটো জ্যাকেটে শীতও পালাবে।
পোশাক: বিশ্বরঙ
ব্লাউজটি চান্দিনার খাদি কাপড়ে তৈরি। ফ্রিল দেওয়া। এটি চাইলে স্কার্টের সঙ্গে পরা যায়। শাড়িটি ৮০ কাউন্টের সুতায় তৈরি। পুরো শাড়ির ওপর খাদি সুতা দিয়ে ডোরাকাটা নকশা, স্ক্রিন প্রিন্টের প্যাচওয়ার্ক। ক্রুশকাটার কাজ শাড়ির চারপাশে। আঁচলে একই প্রিন্টের কাপড় দিয়ে ফ্রিল দেওয়া। ডোরাকাটা নকশার মধ্যে সাদা ছাপা কোমল একটা ছোঁয়া দিয়ে গেছে।