What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ওট খান, সুস্থ থাকুন (2 Viewers)

mHeGEkZ.jpg


বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসচেতন অনেক মানুষ সকালের নাশতা হিসেবে ওট খায়। আগে এখানে এটি বেশ ব্যয়বহুল হলেও এখন অনেক সুলভ মূল্যেই পাওয়া যাচ্ছে। গ্লুটেন ফ্রি ওট নানা রকমের পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর, যা আমাদের জন্য অনেক উপকারী।

  • বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় ব্রেকফাস্ট ওট
  • পুষ্টিবিদেরা একে দুনিয়ার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর শস্য বলে আখ্যায়িত করেছেন
  • মানুষ প্রায় চার হাজার বছর ধরে এটি চাষ করে আসছে
  • আগে গবাদিপশু ও ঘোড়ার খাবার হিসেবে ইউরোপ–আমেরিকায় ব্যাপক ব্যবহৃত হতো।
  • ওট চাষে এখন রাশিয়া, কানাডা ও পোল্যান্ড এগিয়ে আছে
  • বেশ কয়েক রকমের ওট পাওয়া যায়; ওটস গ্রোটস একদম প্রথম পর্যায়ের ওট, যা রান্না হতে অনেক সময় লাগে। এ জন্য মানুষ স্টিল কাট, রোলড, কুইক বা ইনস্ট্যান্ট ওট বেশি খায়।
9u0Orvg.jpg


সুষম পুষ্টি উপাদান রয়েছে ওটে

পুষ্টি উপাদান

ওটের পুষ্টির গঠন বেশ সুষম। এটি কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারের খুব ভালো একটি উৎস। অন্যান্য খাদ্যশস্যের চেয়ে ওটে আছে অনেক বেশি প্রোটিন ও ফ্যাট।
আধা কাপ (৭৮ গ্রাম) ওটে আছে দৈনন্দিন চাহিদার ১৯১ শতাংশ ম্যাংগানিজ, ৪১ শতাংশ ফসফরাস, ৩৪ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, ২৪ শতাংশ কপার, ২০ শতাংশ আয়রন, ২০ শতাংশ জিঙ্ক, ১১ শতাংশ ফোলেট, ৩৯ শতাংশ ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), ১০ শতাংশ ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড)। এ ছাড়া আছে ৫১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১৩ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৮ গ্রাম ফাইবার এবং সামান্য কিছু ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ (পিরিডক্সিন), ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন)। এত কিছুর পরও ক্যালরি মাত্র ৩০৩!

অ্যান্টি–অক্সিডেন্টেসমৃদ্ধ

gkFaHUY.jpg


ওটে উচ্চমানের অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর

হোল ওট পলিফেনল, ফেরুলিক, অ্যাভেন্যানথ্রামাইড নামের উচ্চমানের অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর। অ্যাভেন্যানথ্রামাইড শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে থাকে। একই সঙ্গে এটি একটি ভালো অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ইচিং উপাদান।

আছে বিটা গ্লুক্যান

বিটা গ্লুক্যান খুবই শক্তিশালী ফাইবার। এর রয়েছে অনেক গুণ। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টরেল এবং চিনি মাত্রা হ্রাস করে। এর জন্যই ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের নাশতা হিসেবে ওট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সঠিক পরিপাক ক্রিয়ার জন্য পরিপাকতন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। তাই ওট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্যান্য পেটের সমস্যায় বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। মূলত, বিটা গ্লুক্যানের জন্য ওট খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা মনে হয়। বিটা গ্লুক্যান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

HaHIdhX.jpg


ওট সঠিকভাবে খেলে খুব ভালোভাবেই ওজন কমানো সম্ভব

সঠিকভাবে ওট খেলে খুব ভালোভাবেই ওজন কমানো সম্ভব। ২০১৩ সালে জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রেশনের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'অন্য যেকোনো খাদ্যশস্যের তুলনায় ওট বেশিক্ষণ পেট ভরা রাখে।' এ জন্য যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের প্রতিদিন সকালে এক বাটি ওটমিল খাওয়া উচিত বলে মনে করেন পুষ্টিবিদেরা।

ব্রেস্ট ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে

ওটের বিদ্যমান অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ব্রেস্ট ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব নারী প্রতিদিন এক বাটি ওট খান, তাঁদের ভেতর ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি ৪১ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পায়। আর এটি পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। এসব অঙ্গ সুস্থ থাকলে কোলন ক্যানসার হওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না।

মানসিক সুস্থতায়

ওট খেলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। সেরোটোনিন ঘুম ও রাগ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি দুশ্চিন্তা দূর করে মন ভালো রাখতেও বেশ সহায়ক।

ওট যেভাবে খেতে হবে

Ntulam4.jpg


সাধারণত দুধের সঙ্গে তাজা ও শুকনো ফল আর মধু মিশিয়ে খাওয়া হয় ওট

ওট খাওয়ার সবচেয়ে বেশি প্রচলিত পন্থা হচ্ছে দুধের সঙ্গে নানা রকমের তাজা ও শুকনো ফল আর মধু মিশিয়ে খাওয়া। এ ছাড়া আরও হাজার রকম উপায়ে এটি খাওয়া যায়। ওট দিয়ে বানানো যায় স্বাস্থ্যসম্মত কেক, বিস্কুট, রুটি, স্মুদি, স্যুপ, ফ্রাইড রাইস, খিচুড়িসহ আরও অনেক কিছু। ওজন কমাতে চাইলে সকালবেলা এক বাটি ওট লো ফ্যাট বা টক দইয়ের সঙ্গে মধু এবং কয়েক ধরনের ফল মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। উপকার পাবেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top