What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

টসটসে টমেটো (1 Viewer)

Wy6vPfE.jpg


কোমল ও রসাল ফল টমেটো। নাইটশেড পরিবারের এই সদস্য দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় একটি ফল। এটি আবার সোলানেসি পরিবারের লাইকোপার্সিকনের অন্তর্ভুক্ত। যদিও এটি উদ্ভিদগতভাবে ফল, তবে এটি সাধারণত সবজির মতো খাওয়া এবং রান্না করা হয়। যেহেতু রান্না করতে হয়, এমনকি খাবার তৈরিতে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়, তাই সবজি হিসেবেই বিবেচ্য।

9vqkSag.jpg


ধারনা করা হয়, টমেটো ভারতের হেঁশেলে এসেছিল পর্তুগিজদের হাত ধরে

  • টমেটো ধূমপান ছাড়তে সহায়তা করে এবং ধূমপানের কারণে শরীরে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে আরও উন্নত করে।
  • টমেটোতে বিদ্যমান ভিটামিন কে মজবুত হাড় গঠনে সহায়তা করে।
  • চুল ও দাঁতের জন্যও উপকারী এ সবজি।
ধারনা করা হয়, টমেটো ভারতের হেঁশেলে এসেছিল পর্তুগিজদের হাত ধরে। এরপর ভারতসহ বাংলার আধিবাসীদের পাতে নানাভাবে, নানা আঙ্গিকে পরিবেশিত হয়েছে। বিশেষ করে শীতের রঙিন সব সবজির সঙ্গে লাল টমেটো যুগলবন্দী হয়ে স্বাদে ও দৃষ্টিন্দন ডিশ তৈরিতে অনবদ্য একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেকোনো খাবারের ডিশ নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের জন্য টমেটোর অসাধারণ ব্যবহার হরহামেশাই দেখা যায়।

আঠারো শতকের পর থেকে এটি শুধু ব্রিটিশদের জন্য চাষ করা হতো। তাই আজও বাংলায় একে 'বিলেতি বেগুন' নামে ডাকা হয়। এই সবজি বা ফলটি বেশ ভালোভাবেই গৃহীত হয়েছিল, কেননা এ দেশের আলো-হাওয়া এটি চাষের জন্য যথার্থ।

পথ্যবিচারে টমেটো হলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও লাইকোপিনের প্রধান উৎস, যার হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাসসহ অনেক হেলথ বেনিফিট রয়েছে। আর এই লাইকোপিনের জন্যই টমেটো টুকটুকে লাল হয়। এটি আবার ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন কে–এর চমৎকার উৎস। সাধারণত পাকলে এটি টকটকে লাল রং ধারণ করে। তবে হলুদ, কমলা, সবুজ এমনকি বেগুনি রঙের টমেটোও রয়েছে। নানান আকৃতি ও ফ্লেভারের বেশ কয়েক প্রজাতির টমেটো জন্মায়। সুন্দর এই ফলটির ৯৫ ভাগই জল, বাকিটা কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারে পূর্ণ।

পথ্যবিচারে টমেটো হলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও লাইকোপিনের প্রধান উৎস, যার হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাসসহ অনেক হেলথ বেনিফিট রয়েছে। আর এই লাইকোপিনের জন্যই টমেটো টুকটুকে লাল হয়। এটি আবার ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন কে–এর চমৎকার উৎস।

এতে রয়েছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটির জন্যই টমেটো হলুদ বা কমলা রঙের হয়। বিটা ক্যারোটিন আমাদের শরীরে ভিটামিন এ–তে রূপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন স্বাস্থ্যকর দৃষ্টি এবং টিস্যু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয়। এই ক্যারোটিনয়েডগুলো কেবল ভিটামিন এ–তে রূপান্তরিত হয় না বরং এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে, যা আমাদের কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল নামের অস্থির অণু দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।

নারিনজেনিন। এটি টমেটোর ত্বকে পাওয়া যায়, এই ফ্ল্যাভোনয়েড প্রদাহ কমাতে বেশ কার্যকর। টমেটোর রস ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম দিয়ে পূর্ণ, যা হৃদস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি খনিজ।

ZYhMgx5.jpg


টমেটোর রস ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম দিয়ে পূর্ণ

টমেটোর রস একটি জনপ্রিয় পানীয়, যা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। টমেটোর রস গাজর কিংবা বিটের রসের সঙ্গে মিলিয়ে নিলেও বেশ সুস্বাদু পানীয় তৈরি হতে পারে। মাত্র এক কাপ টমেটো জুস প্রতিদিনের ভিটামিন সি–এর চাহিদা পূরণ করতে পারে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ কমাতে সহায়ক বলে নিয়মিত টমেটো খেলে, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাই ডায়াবেটিসের জন্য টমেটো বেশ উপকারী।

টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে আরও উন্নত করে। টমেটোতে বিদ্যমান ভিটামিন কে মজবুত হাড় গঠনে সহায়তা করে।

6U2GcbC.jpg


ধূমপান ছাড়তে সহায়তা করে টমেটো

ধূমপান ছাড়তে সহায়তা তো করেই এবং ধূমপানের কারণে শরীরে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতেও কার্যকর এ সবজি। চুল ও দাঁতের জন্যও উপকারী এ সবজি। ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। ন্যাচারাল অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ইনফেকশন রোধে ব্যবহার করা হয়।

শারীরিক পরিশ্রমের পর ক্লান্তি দূর করতে টমেটোর রস যেকোনো কোমল পানীয়ের চেয়ে বেশি উপকারী। গবেষকেরা বলেন, ব্যায়াম বা অন্য যেকোনো শারীরিক পরিশ্রমের পর টমেটোর রস পেশি পুনরুদ্ধারে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top