![D4aJIWG.jpg](https://i.imgur.com/D4aJIWG.jpg)
চুল পড়া, এ যেন এক সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। নিয়মিত যাঁরা বাইরে বের হন, কমবেশি তাঁদের এই সমস্যায় ভুগতে হয় বৈকি। বাইরের দূষণ, অতিরিক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার—এসব মূলত চুল পড়ার প্রধান কারণ। যদি নিয়মিত খাবারদাবার ও চুলের চর্চায় একটু নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কিন্তু নতুন চুল উঠতে খুব বেশি সময় নেবে না।
প্রতিদিন ১০০ চুল পড়াটা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করলেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের রূপ বিশেষজ্ঞ শাহিনা আফরিন। তবে এর চেয়ে যদি বেশি চুল পড়ে, সেটা আর স্বাভাবিকের পর্যায়ে থাকে না। এ জন্য প্রথমেই কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কি না, তা জেনে নিতে হবে। সাধারণত ভিটামিন কম হলে, ক্যালসিয়ামের অভাব হলে চুল বেশি পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বয়স যদি ৪০ বছরের কম হয় এবং মাথার তালুতে ফলিকলের অবস্থা ভালো থাকে, তবে কিছু নিয়ম মেনে চললেই গজাবে নতুন চুল।
সাধারণত ক্যাস্টর অয়েল চুল গজাতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই খোসাসহ গোটা পেঁয়াজ রস করে নিতে হবে। এই রসের সঙ্গে পানি বা অন্য কোনো উপকরণ মেশানো যাবে না। এবার পরিষ্কার মাথার ত্বকে তুলো দিয়ে পেঁয়াজের রস লাগাতে হবে। যতক্ষণ না শুকায়, ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মাথার তালু শুকিয়ে এলে ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। একই পদ্ধতিতে আদার রসও ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতি নতুন চুল গজাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এদিকে অনেক সময় মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। বেশির ভাগ সময় ত্বক অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে এমনটা হয়। এ কারণে চুল তো পড়েই এবং নতুন চুল উঠতে বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় খোসা ছাড়িয়ে রসুনের কোয়া সরাসরি ফুসকুড়ির ওপর ঘষে লাগাতে পারেন। চাইলে রসুন একটু থেঁতো করে নিন। এতে ফুসকুড়ি ভালো হওয়ার পাশাপাশি চুল পড়া রোধ হবে এবং চুল গজাতেও তা সাহায্য করবে। নতুন চুল গজাতে তিসির তেল বেশ কাজে দেয়। দুই কাপ পানিতে চার টেবিল চামচ তিসি জাল দিয়ে ঘন ক্বাথ করে নিন। এবার তিসি ছেঁকে নিয়ে সেই ক্বাথটুকু মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। নিয়মিত তিসির ব্যবহার নতুন চুল উঠতে সাহায্য করবে।
তবে শুধু বাহ্যিক রূপচর্চায় নয়, নতুন চুল গজানোর জন্য খাবারদাবারের দিকে দিতে হবে বিশেষ মনোযোগ। কাঠবাদাম ও দুধ নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কচুশাক খেলে মাথার তালুতে গজাবে নতুন চুল।