বয়কট ফ্রান্স, বয়কট একাত্তর টিভি, বয়কট অমুক, বয়কট তমুক ইত্যাদি পোস্টে ফেসবুক রমরমা।
কেউ বয়কট লিখে যখন পোস্ট করছে তখন আরেকজন প্রশ্ন তুলছে বয়কট করে আদৌ কি কোন লাভ হয়?
যেমনঃ আপনি যদি ফ্রান্সকে বয়কট করেন তাহলে ফ্রান্সের কি বা এমন ক্ষতি হবে এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
সত্যিই আমরা যদি ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করি তাহলে ফ্রান্সের খুব একটা ক্ষতি হবেনা।
কারণ বাংলাদেশে ফ্রান্সের বাজার খুব একটা বড় নয়।
তাহলে কেন বয়কট!
এটা কি জাস্ট বলার জন্যই বলা!
না, এটা বলার জন্যই বলা নয়।
যদিও বয়কট অর্থ বর্জন, বিশেষ করে পণ্য বর্জন এবং পণ্য বর্জনের মূল উদ্দেশ্য আর্থিক ক্ষতি করা কিন্তু সবসময় বয়কট একই মিনিং দেয়না।
ভারতীয় উপমহাদেশে বয়কট আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে যা মূলত স্বদেশী আন্দোলন হিসেবে পরিচিত।
এই আন্দোলনে ব্রিটিশদের আর্থিক ক্ষতি খুব বেশি না হলেও বয়কটের ফলে তাঁদের প্রতি বাঙ্গালীদের ঘৃণা যে চরমে পৌঁছেছিল ইতিহাস তার প্রমাণ।
কয়দিন আগে যখন সীমান্তে জওয়ান হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারতীয়রা গণহারে চীনা পণ্য বয়কট করা শুরু করল তখন বিশ্ব মিডিয়াগুলো জোর দিয়েই বলতেছিল ভারতের বাজার চীনা পণ্য ছাড়া অচল তাই এই বয়কট খুব একটা কাজে আসবেনা।
কিন্তু ২ মাস পরেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র; ভারতে চীনা পণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
এতো গেল আর্থিক প্রভাব।
বয়কট বা বর্জনের আরেকটি উদ্দেশ্য হল যাকে বা যাদেরকে বয়কট করা হয় তাদেরকে চাপে ফেলা বা দায়বদ্দ করা।
যেমন- পার্লামেন্টে বিভিন্ন বিলের প্রতিবাদে বিরোধীদল সংসদ বর্জন করে।
এতে কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারদলের বিলটি পাস করতে বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয়না।
তারপরেও বিরোধীদল বয়কট করে সরকারকে চাপে রাখতে কিংবা আরও দায়িত্বশীল করে তুলতে।
জি-৮, জি-২০ সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে অ্যান্টি গ্লোবালিস্টরা বা পরিবেশবাদীরা আন্দোলন করে বা সম্মেলন বয়কট করে সম্মেলন থামানোর আশায় না বরং তাঁদের কাছে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরতে।
আমাদের মত নেটজেনরা কেন বয়কট করি?
আমরা কি তাঁদের থামাতে পারবো?
না, পারবোনা।
তারপরেও আমরা বয়কট করি ঘৃণা থেকে।
কারণ ঘৃণা প্রকাশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বয়কট।
কয়দিন আগে আমি যখন জানতে পারলাম যে চেলসির মালিক পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি নির্মাণ করতে ইসরাইলকে গোপনে টাকা দেয় তখন আমি লিখলাম বয়কট চেলসি যদিও আগে চেলসির প্রায় সব খেলাই দেখতাম।
এক ছোটভাই কমেন্ট করলো, ভাই, এতে চেলসির কোন ক্ষতি হবেনা।
আমি বললাম, আমি চেলসির ক্ষতি হওয়ার জন্য বয়কট করিনি বয়কট করেছি ঘৃণা থেকে।
তাছাড়া আমরা যে সবাই বয়কট করে ইংলিশে হ্যাশট্যাগ দিচ্ছি ফেসবুকের সার্চ ইনজিন এটা কাউন্ট করে যে কোন শব্দটা সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করছে এবং কেন করছে।
তাই ফেসবুকে বয়কটের মূল্য একেবারেই যে নেই তা বলা যাবেনা কারণ এটাও ওয়ান কাইন্ডস অফ মিডিয়া।
কেউ বয়কট লিখে যখন পোস্ট করছে তখন আরেকজন প্রশ্ন তুলছে বয়কট করে আদৌ কি কোন লাভ হয়?
যেমনঃ আপনি যদি ফ্রান্সকে বয়কট করেন তাহলে ফ্রান্সের কি বা এমন ক্ষতি হবে এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
সত্যিই আমরা যদি ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করি তাহলে ফ্রান্সের খুব একটা ক্ষতি হবেনা।
কারণ বাংলাদেশে ফ্রান্সের বাজার খুব একটা বড় নয়।
তাহলে কেন বয়কট!
এটা কি জাস্ট বলার জন্যই বলা!
না, এটা বলার জন্যই বলা নয়।
যদিও বয়কট অর্থ বর্জন, বিশেষ করে পণ্য বর্জন এবং পণ্য বর্জনের মূল উদ্দেশ্য আর্থিক ক্ষতি করা কিন্তু সবসময় বয়কট একই মিনিং দেয়না।
ভারতীয় উপমহাদেশে বয়কট আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে যা মূলত স্বদেশী আন্দোলন হিসেবে পরিচিত।
এই আন্দোলনে ব্রিটিশদের আর্থিক ক্ষতি খুব বেশি না হলেও বয়কটের ফলে তাঁদের প্রতি বাঙ্গালীদের ঘৃণা যে চরমে পৌঁছেছিল ইতিহাস তার প্রমাণ।
কয়দিন আগে যখন সীমান্তে জওয়ান হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারতীয়রা গণহারে চীনা পণ্য বয়কট করা শুরু করল তখন বিশ্ব মিডিয়াগুলো জোর দিয়েই বলতেছিল ভারতের বাজার চীনা পণ্য ছাড়া অচল তাই এই বয়কট খুব একটা কাজে আসবেনা।
কিন্তু ২ মাস পরেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র; ভারতে চীনা পণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
এতো গেল আর্থিক প্রভাব।
বয়কট বা বর্জনের আরেকটি উদ্দেশ্য হল যাকে বা যাদেরকে বয়কট করা হয় তাদেরকে চাপে ফেলা বা দায়বদ্দ করা।
যেমন- পার্লামেন্টে বিভিন্ন বিলের প্রতিবাদে বিরোধীদল সংসদ বর্জন করে।
এতে কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারদলের বিলটি পাস করতে বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয়না।
তারপরেও বিরোধীদল বয়কট করে সরকারকে চাপে রাখতে কিংবা আরও দায়িত্বশীল করে তুলতে।
জি-৮, জি-২০ সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে অ্যান্টি গ্লোবালিস্টরা বা পরিবেশবাদীরা আন্দোলন করে বা সম্মেলন বয়কট করে সম্মেলন থামানোর আশায় না বরং তাঁদের কাছে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরতে।
আমাদের মত নেটজেনরা কেন বয়কট করি?
আমরা কি তাঁদের থামাতে পারবো?
না, পারবোনা।
তারপরেও আমরা বয়কট করি ঘৃণা থেকে।
কারণ ঘৃণা প্রকাশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বয়কট।
কয়দিন আগে আমি যখন জানতে পারলাম যে চেলসির মালিক পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি নির্মাণ করতে ইসরাইলকে গোপনে টাকা দেয় তখন আমি লিখলাম বয়কট চেলসি যদিও আগে চেলসির প্রায় সব খেলাই দেখতাম।
এক ছোটভাই কমেন্ট করলো, ভাই, এতে চেলসির কোন ক্ষতি হবেনা।
আমি বললাম, আমি চেলসির ক্ষতি হওয়ার জন্য বয়কট করিনি বয়কট করেছি ঘৃণা থেকে।
তাছাড়া আমরা যে সবাই বয়কট করে ইংলিশে হ্যাশট্যাগ দিচ্ছি ফেসবুকের সার্চ ইনজিন এটা কাউন্ট করে যে কোন শব্দটা সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করছে এবং কেন করছে।
তাই ফেসবুকে বয়কটের মূল্য একেবারেই যে নেই তা বলা যাবেনা কারণ এটাও ওয়ান কাইন্ডস অফ মিডিয়া।