আমলকী খুব পরিচিত একটি ফল। গৃষ্মকালে রাস্তায় এবং হাটে বাজারে বিক্রেতাদের ভ্যানে এই ফল দেখা যায়।
আমলকীর ইংরেজি নাম Amla. ইহার বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblica. এটাকে অনেকে Indian gooseberry বলে থাকে।
আমলকী গাছ ৮ থেকে ১৮ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হতে পারে। ফল হালকা সবুজ। এই ফল বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গার পাওয়া যায়।
আমলকী গাছ বাংলাদেশ, ভারত, চীন কম্বোডিয়া হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ আমেরিকায় দেখা যায়।
ব্যবহার ও গুণ বিশেষ
আমলকী ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটোই ঔষধরূপে ব্যবহার করা যায়। আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি
এটি ভিটামিন সির প্রধান বা প্রথম উৎস। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকীতে পেয়ারার চেয়ে ৩ গুণ কাগজি লেবুর চেয়ে ১০ গুন বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। কমলার চেয়ে ২০ গুণ, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ ভিটামিন সি রয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দুটি আমলকী খেলে তার সারা দিনের ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হয়।
আমলকী খেলে মুখের রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দাতের রোগ সাড়াতে টাটকা আমলকীর কোন জুরি নেই। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি কাশি, রক্তহীনতা, লিভার আর জন্ডিস রোগের জন্যও উপকারী। বিভিন্ন ধরনের তেলে আমলকী ব্যবহার করা হয়। আমলকীর রস চুলের গোড়া শক্ত করে। চুল উঠা এবং চুল পাকা বন্ধ করে।
আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কাজ করে।
আমলকী বমি বন্ধ করে।
দীর্ঘ মেয়াদি সর্দি কাশীতে আমলকীর রস উপকারী।
এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল, রক্তশুন্যতা ও
বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগে এটি উপকারী।
চোখ উঠলে কাচা আমলকীর দুই ফোটা রস চোখে
দিলে উপকার পাওয়া যায়।
চুল উঠা বন্ধ ও খুসকি দূর করে।
আমলকীর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ। গবেষণা করে দেখা গেছে আমলকী ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়।
আমলকীর জুস পেপটিক আলসার প্রতিরোধ করে।
আমলকী আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমলকী দ্রুত কাজ করে।
সহজলভ্য এই ফলটি খেলে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া