What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other ওয়েব সিরিজ নিয়ে নাটকপাড়ায় ১১৮ বনাম ৭৯ (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
mZNrjZV.jpg


অ্যাপ নির্ভর স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সবে পা রেখেছে বাংলা ওয়েব সিরিজ ইন্ডাস্ট্রি। এর মাঝেই জমে উঠেছে বিতর্ক। দর্শকদের নানান ধরনের মন্তব্যের মাঝে দুই ভাগ হয়ে গেল ঢাকা নাটকপাড়া। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজের কনটেন্ট নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে বিবৃতি দেন ১১৮ জন নির্মাতা। যাদের বেশির ভাগই হালের। অন্যদিকে বর্ষীয়ান ও সাবেকী মনোভাব নিয়ে ৭৯ ব্যক্তিত্ব বিবৃতি দিয়েছেন। যেখান নির্মাতা ও কুশলীরা ছাড়াও সঙ্গে রয়েছেন সাংবাদিক, সাহিত্যিক, প্রকাশক, কার্টুনিস্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের নামজাদা মানুষ। নিচে দুটো বিবৃতিই তুলে ধরা হলো। দেখে নিন নিজেদের মতামতের পক্ষে তাদের যুক্তি।

১১৮ জন নির্মাতার বিবৃতি, ১৯ জুন

গত কিছু দিন যাবৎ চলমান ওয়েব সিরিজ বিতর্ক আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। শঙ্কার সাথে দেখছি যে, ক্রমেই হয়তোবা নিজেদের একটি বৈশ্বিক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ থেকে আমরা বিচ্যুত করে ফেলছি। যা বিনোদন খাতের ভবিষ্যৎকে একটি বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

আমরা জানি, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বিপ্লবের নাম। ওয়েব ও মোবাইলের সহজলভ্যতার কারণে পুরো পৃথিবীর মানুষই এখন সিনেমা ও ওয়েব কন্টেন্ট-এর ভোক্তা। টিভি, সিনেমা বা ওয়েব কন্টেন্ট সবই আসলে বিপণন ব্যবস্থার একটি মাধ্যম মাত্র। এই প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন। সেই সাথে কন্টেন্ট-এর বিষয়বস্তু, নির্মাণের ঢং ও পরিবেশনার ধরন সবই অনন্য। তাই একই দর্শক টিভিতে যা দেখতে পায়, ওয়েবেও সে একই কন্টেন্ট দেখতে চায় না। ওয়েবের প্রতিটি দর্শকই ইউনিক। তাদের পছন্দ অনুযায়ী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলো একজন দর্শকের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি ও বিপণন করে থাকে।

আমরা দাঁড়িয়ে এমন এক সময়ে, যখন পুরো পৃথিবীটা মানুষের হাতের মুঠোয়। মোবাইল ফোনের এক ক্লিকেই বিশ্বজুড়ে চলতি পথে, বাসে, ট্রেনে, কাজে যাওয়ার সময়, লোকেদের চোখ আটকে থাকে ইন্টারনেটের অবাধ দুনিয়ায়। দর্শকেরা যার যার নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী অনুষ্ঠান বেছে নেয়। বিশ্বব্যাপী এই অবাধ কন্টেন্টের দুনিয়া এক বিশাল অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। যার সঙ্গে যুক্ত আছে হাজার মানুষের জীবন এবং জীবিকা। শুধু আমাদের প্রতিবেশী ভারতেই এই খাত গত চার বছরে ৯,০০০ কোটি রুপি থেকে ২০,০০০ কোটি রুপিতে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এটার প্রধান চালিকাশক্তি এই ওয়েব প্লাটফর্ম। এই বিশাল বাজার ভারতে এনেছে আরও হাজার কোটি রুপির বৈদেশিক বিনিয়োগ। এবং এই একই বিনিয়োগ বাংলাদেশেও সম্ভব, শুধু যুগোপযোগী নীতিমালা প্রয়োজন নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, জি ফাইভ, হটস্টার, উলু, হইচইসহ এমন হাজারো রকমের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোই ভারতের এই বিনোদন অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। মূলত সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক এই হাজারো প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমার পরিচিত বিপণন ব্যবস্থাও খানিকটা বদলে গেছে। এখন সরাসরি ওয়েব প্ল্যাটফর্মে সিনেমা মুক্তি দেওয়া অন্যতম বিপণন কৌশল বলে বিবেচিত হচ্ছে। হাতের মুঠোয় থাকা ফোনকে সিনেমার পর্দায় রূপান্তর করাটাই এই বিপ্লবের মূল অস্ত্র। যখন আমরা মুঠোফোনকে খাদ্য (অনলাইন রেস্টুরেন্ট), গণযোগাযোগ (উবার, পাঠাও), লেনদেন (বিকাশ, নগদ), চিকিৎসা (টেলিমেডিসিন সেবা), তথ্য (গুগল)-সহ সব কাজে ব্যবহার করে থাকি তখন বিনোদনও যে এটার অন্তর্ভুক্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।

এখন প্রশ্ন আসে কন্টেন্টের মাপকাঠির। কোনটা তাহলে কার জন্য প্রযোজ্য? আমরা ঠিক যেভাবে সিনেমা হলে ঢোকার আগে চাইলে বয়স নিশ্চিত করে তারপর তা দেখবার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি, তেমনি অধিকাংশ ওয়েব কনটেন্টই কিন্তু তৈরি হচ্ছে পেইড কনটেন্ট হিসাবে। একজন ভোক্তার সম্মতিতেই শুধু তা দেখা সম্ভব। আমাদের এখানে সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েব সিরিজ নিয়ে চলমান আলোচনার মূল কারণ আসলে পাইরেসি। এই ওয়েব সিরিজগুলো দর্শকের নিজেদের সম্মতিতে সাবস্ক্রিপশন করে দেখবার কথা। আমরা জানতে পারি, 'পাইরেসি' হয়ে কন্টেন্টগুলো ইউটিউবসহ অন্যান্য কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুরো সিরিজটি পাইরেসি না হয়ে এর বিশেষ দৃশ্য-সংবলিত অংশবিশেষ আসায় এগুলো ভুলভাবে ব্যাখ্যা ও এর ফলে এরসঙ্গে জড়িত শিল্পী, কলাকুশলী ও নির্মাতাদের ব্যাপারে এক ধরনের অপব্যাখ্যা হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

সিনেমায় বয়সভিত্তিক দর্শক নির্বাচন করে, ওয়েবে কিছু কন্টেন্ট মুক্ত প্ল্যাটফর্মে, আর কিছু কন্টেন্ট পেইড প্ল্যাটফর্মে রাখার মধ্য দিয়ে মূলত কোনটা কোন দর্শকের জন্য তা যাচাই-বাছাই করা খুব কঠিন কোনও কাজ না। দর্শক ও তাদের বয়স ভিন্নতার চাহিদা বিবেচনা না করে যদি ওয়েব কন্টেন্টের কাহিনি বিন্যাসও একই রকম হয়, নিশ্চিতভাবেই আমরা দর্শক হারাতে বাধ্য। বৈচিত্র্যহীনতার সংকটে ইতোমধ্যে টেলিভিশন ও সিনেমার বাজার সংকোচনের উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে বিদ্যমান।
মধ্যম আয়ের বাংলাদেশি দর্শক এখন তাই ওয়েব কন্টেন্ট বলতে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম বা অন্যান্য দেশের কন্টেন্টকেই বোঝে। টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করা লোকের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। বিটিআরসি এবং পি আই স্ট্র্যাটিজির গত বছরের এক সমীক্ষা মতে বাংলাদেশে শুধু নেটফ্লিক্সের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ)-র উপরে। যার ফলে বাংলাদেশে একটি কন্টেন্টেও বিনিয়োগ না করে বার্ষিক প্রায় ২০০ কোটি টাকার বাজার তৈরি করেছে নেটফ্লিক্স। যার একটি পয়সাও এখনও বাংলাদেশের বিনোদন খাতে বিনিয়োগ হয়নি। ইউরোপে যেখানে নিয়ম করে নেটফ্লিক্সকে লোকাল কন্টেন্ট-এ বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে সেখানে আমাদের দেশে এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ ও যুগোপযোগী নীতিমালা না থাকায় আমরা ক্রমাগত আমাদের নিজেদের কন্টেন্টের বাজার হারাচ্ছি। আর নেটফ্লিক্স ছাড়া অন্য সব প্ল্যাটফর্মে মোট বাংলাদেশি সাবস্ক্রাইবার ও তার দ্বারা ব্যয়িত অর্থের হিসেব যদি আমরা করি টাকার অঙ্কটা প্রায় হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকবে বলে আমাদের ধারণা। একটি আধুনিক নীতিমালা করে এই বাইরে চলে যাওয়া টাকার কিছু অংশ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কন্টেন্ট নির্মাণে পুনঃবিনিয়োগ না হলে বাংলাদেশের নিজস্ব কন্টেন্ট যেমন বৈশ্বিক হবে না, তেমনি এই শিল্পখাতটি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। আর এই বাজারটার পুরোটা যদি বিদেশি কন্টেন্ট ও বিদেশিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্মে পরিচালিত হয় তাতে করে ভবিষ্যতে দেশীয় সংস্কৃতি আরও গভীর সংকটে পড়বে বলে আমাদের বিশ্বাস।

গত ১ যুগ ধরে পৃথিবীব্যাপী ইন্টারনেট একটি স্বাধীন ও মুক্ত মত প্রকাশের আধুনিক মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কন্টেন্ট বাছাই করে নেবার সুযোগ একজন দর্শক হিসেবে তার অধিকার। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বড় পর্দার সিনেমাগুলো তাই সকল সেন্সরের গ্যাঁড়াকলমুক্ত। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের অসংখ্য মেধাবী নির্মাতার স্বাধীনভাবে গল্প বলার মতো পরিবেশ ও নির্মাণে বৈচিত্র্যের পথ বন্ধ না করলে দেশীয় সিনেমা ও ওয়েব কন্টেন্টের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারি দিন দিন বাড়বে। সরকার চাইলে কোনটা কোন বয়সী দর্শকের জন্য উপযোগী তা নিয়ে একটি যুগোপযোগী গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে। চলমান ওয়েব সিরিজ বিতর্কের আলোকে এখন প্রশ্ন আসতে পারে– খোলামেলা দৃশ্য বা গালাগালি বা ভায়োলেন্স, এমন দৃশ্য না দেখালেই কি বাজার হাতছাড়া হয়ে যাবে, বা দেখালেই কি থাকবে? আমরা মোটেও তা বিশ্বাস করি না। বিশ্বের অনেক দেশেই ওয়েব কন্টেন্টের শুরুর সময় এরকম বিতর্ক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তার আলোকে আমরা বলতে পারি, দর্শক ও বিনোদনের সব মাধ্যমের অংশীজনেরা আস্তে আস্তে তাদের দেশের উপযোগী একটি আধুনিক নীতিমালা করবার কারণে পৃথিবীব্যাপী ওয়েব সিরিজ নামক এই নতুন বিনোদনমাধ্যম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই সাথে তাদের দেশীয় কন্টেন্টের বাজারও প্রসারিত হয়েছে।

আমরাও মনে করি দেশীয় ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ নিয়েই আমাদের কন্টেন্ট নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু যেই কন্টেন্টটি যেই প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মিত সেটি সেই দর্শক শ্রেণির কাছে পরিবেশিত না হয়ে পাইরেসির কারণে কেবল 'বিশেষ কোন অংশ' দেখিয়ে কোন গোষ্ঠী প্রকৃত কন্টেন্টের মূল আলোচনা থেকে ফোকাস সরিয়ে বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করলে এই মাধ্যমটি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়বে। বাংলাদেশের দর্শকেরা যেহেতু পৃথিবীর প্রায় সব দেশের বিখ্যাত সব সিরিজ দেখছে, কাজেই দেশীয় কন্টেন্ট বলে এর বৈচিত্র্য ও বিষয়বস্তুতে আগেই এটা কি রকম হওয়া উচিত এ নিয়ে এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া উচিত হবে না। আমাদের আরও মনে রাখা দরকার, পাইরেসি বা টরেন্ট পথে কন্টেন্ট দেখাও কিন্তু মূলত একটি অপরাধ। এই অপরাধ দমনে বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই কন্টেন্ট নির্মাতা ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমাদের দর্শকেরও এই প্রবণতা বন্ধ না হলে, বাংলাদেশের বাজারে লগ্নিকারকেরা ঝুঁকি বিবেচনায় বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না।

সারা বিশ্বে যত মানুষ বাংলায় কথা বলে তাদের সংখ্যা প্রায় ২৬০ মিলিয়ন। কাজেই বাংলা ভাষাভাষী দর্শকের এই বিশাল বাজার ধরবার জন্য আমাদের একটি উদার ও স্বাধীন নির্মাণের নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে জানি, ভারতের পশ্চিম বাংলার বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশে শুধু ভাষাগত সুবিধার কারণে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সিনেমা বা ওয়েব সিরিজে স্বাধীনভাবে নিজের নির্মাণের পথ তৈরি করে এই বিশাল বাজারে আমাদের নিজেদের অংশীদারি বাড়ানো না হলে এই বাংলা ভাষাভাষীদের বাজার আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আমাদের মেধাবী নির্মাতাদের সমন্বিত কাজের মাধ্যমে সিনেমা ও ওয়েব কন্টেন্ট বিশ্বের সব শ্রেণির দর্শকদের বিনোদিত করবে এই স্বপ্ন আমরা দেখি।

আমাদের দেশে ওয়েব প্লাটফর্মে পথচলাটা যেহেতু খুব নতুন সেখানে প্রথমেই কোনও বিচ্যুতি বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা হবার কারণে যদি শুরুতেই এর চলার পথটা থমকে যায়, অথবা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা সাইবার বুলিং-এর শিকার হয় বা বৈচিত্র্যময় কন্টেন্ট নির্মাণের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তা বাংলাদেশের বিনোদন শিল্পের জন্য একটি বিরাট অন্তরায় হিসেবে দেখা দেবে। শিল্প মাধ্যমের, গণমাধ্যমের বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বৈশ্বিক সময়ে অন্য সকলের মত, সিনেমা, টিভি বা ওয়েব সিরিজ যাই হোক না কেন তার জন্য একটি স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুযোগ বাস্তবায়ন ও সেই সাথে পাইরেসি প্রতিরোধ করে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পরিবেশনার ব্যাপারে একটি আধুনিক নীতিমালা করতে সরকার আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে এবং এই বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনৈতিক বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি করবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

বিবৃতিদাতা নির্মাতারা : মোরশেদুল ইসলাম, শামীম আখতার, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, নূরুল আলম আতিক, পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আকরাম খান, দীপংকর দীপন, অনিমেষ আইচ, গোলাম সোহরাব দোদুল, বদরুল আনাম সৌদ, কৌশিক শঙ্কর দাশ, নাজনীন হাসান চুমকি, সামির আহমেদ, মেজবাউর রহমান সুমন, মাতিয়া বানু শুকু, রেদওয়ান রনি, নাফিজ রেজা, হাসান তৌফিক অঙ্কুর, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, আশুতোষ সুজন, আশফাক নিপুণ, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল, শাহনেওয়াজ কাকলী, শাফায়েত মনসুর রানা, আবু শাহেদ ইমন, খিজির হায়াৎ খান, ধ্রুব হাসান, কিসলু গোলাম হায়দার, আদনান আল রাজিব, আরিফুর রহমান, বিজন ইমতিয়াজ, অনম বিশ্বাস, তানিম রহমান অংশু, শঙ্খ দাশগুপ্ত, আফজাল হোসেন মুন্না, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, ওয়াহিদ আনাম, রাসেল সিকদার, পিকলু চৌধুরী, মাবরুর রশীদ বান্নাহ, গোলাম মুক্তাদির শান, মাহমুদ দিদার, ইমরাউল রাফাত, হাসান মোরশেদ, আর বি প্রীতম, ইমেল হক, জয়ন্ত রোজারিও, পল্লব বিশ্বাস, সেতু আরিফ, তানিম পারভেজ, মাসুম শাহরিয়ার, সেঁজুতি টুসি, আবু হায়াৎ মাহমুদ, সহিদ উন নবী, সাজ্জাদ সনি, তুহিন হোসেন, আবু রায়হান জুয়েল, আতিক জামান, রাইসুল তমাল, মো. আশিকুর রহমান, নিয়ামুল মুক্তা, শেখ নাজমুল হুদা ইমন, মিজানুর রহমান আরিয়ান, আসাদ জামান, কাজল আরেফিন অমি, ওয়াসিম সিতার, খায়রুল পাপন, সিমিত রায় অন্তর, হাবীব শাকিল, তপু খান, ফয়সাল রাজীব, সাজিন আহমেদ বাবু, শাহরিয়ার পলক, ভিকি জায়েদ, বিশ্বজিৎ দত্ত, প্রীতি দত্ত, রুবেল হাসান, রাফাত মজুমদার রিঙ্কু, মাহমুদুর রহমান হিমি, রুবায়েত মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান আদনান, তৌহিদ আশরাফ, সৌরভ কুণ্ডু, সাকী ফারজানা, আবরার আতহার, সেরনিয়াবাত শাওন, আলিফ আহমেদ, ইফতেখার আহমেদ ওশিন, ফয়েজ জুবায়ের, রিয়াদ তালুকদার, অভ্র মাহমুদ, নাজমুল নবীন, আনিসুর রহমান রাজিব, মনিরুজ্জামান জুলহাস, ইমরান আহমেদ ইমন, রাইসুল ইসলাম অনীক, মেহেদী শাওন, মহিদুল মুহিম, মুহাম্মদ মিফতাহ্ আনান, হাসিব খান, তানভীর খায়ের সানি, জয়নুল আবেদীন শিশির, বিপ্লব ইউসুফ, তানভীর চৌধুরী, হাসান রেজাউল, নাজিম উদ্দিন মণ্ডল রাজু, আবু বক্কর রোকন, কে এম সোহাগ রানা, আলোক হাসান, মাহাদী শাওন, এন্ডি আদনান, নিয়াজ নাদভী, মাহমুদুল ইসলাম, মুহাম্মদ তাসনীমুল হাসান, নুহাশ হুমায়ুন ও আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির।

…………………………………………..

7pUJGIf.jpg


৭৯ ব্যক্তিত্বের বিবৃতি, ২০ জুন

অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে অনেকদিন ধরে কিছু ইউটিউব এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্মে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার সাথে কিছু নির্মাতা প্রযোজক, নাট্যকার ও অভিনয়শিল্পী কুরুচিপূর্ণ নাটক পরিবেশন করে আসছে। এই নাটকগুলির মধ্যে কাহিনির প্রয়োজনে নয় একেবারেই বিকৃত রুচিসম্পন্ন নাটক নির্মাণ করে বিবেকবান ও সচেতন দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। আমরা এহেন কাজকে তীব্রভাবে ভর্ৎসনা করি, নিন্দা জানাই।

বাংলাদেশের টেলিভিশনের নাটক জন্মলগ্ন থেকেই পারিবারিক বিনোদনমাধ্যম হওয়ায় দর্শকের রুচি ও মূল্যবোধ নির্মাণে ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন আসার পর কিছু প্রতিভাবান নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা অভিনেত্রী ও কলাকুশলী বাংলাদেশের এই মাধ্যমকে এক নতুন মহিমায় স্থাপন করেছিলো। কিন্তু কিছু কিছু চ্যানেল নাটকের মান এমনভাবে নেমে এসেছে যে বাংলাদেশের নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অনেক দর্শক।

এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রমী চ্যানেলে পরিচালকগণ কিছু ভালো কাজ করার তাগিদও অনুভব করেছে। যার প্রতিফলন আমরা প্রায়শই চ্যানেলগুলোতে দেখতে পাই। কিন্তু এর মধ্যে আবার অনলাইন প্রচার মাধ্যমগুলিতে অবাধ প্রচারের সুযোগে যৌনতা এবং ভায়োলেন্সকে উপজীব্য করে অশ্লীলতাকে আশ্রয় করেছে। সম্প্রতি সেই সব নাটক ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে প্রদর্শিত হয়ে বাঙালির চিরন্তন সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে আঘাত হানতে শুরু করেছে। এর আগে ভাষাকে বিকৃত করার মাধ্যমে কিছু পরিচালক নাটক নির্মাণ করায় জনরোষে পতিত হয় এবং মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় কিছুটা প্রশমিত হয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার একটি সম্প্রচার নীতিমালা প্রকাশ করে যেখানে বিষয়গুলো সম্পর্কে নির্দেশনা রয়েছে।

আশির দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার প্রবণতার ফলে দর্শক সিনেমা বর্জন করেছিলো। একইভাবে দর্শক যদি আমাদের নাটক বর্জন করতে থাকে তাহলে তা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

প্রযুক্তির উত্তরোত্তর আধুনিকতার ফলে আমরা টেলিভিশন চ্যানেল ছাড়াই অন্যান্য মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারছি (যেমন ইউটিউব, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম)। আমরা এসবকে নিয়ন্ত্রণ বা বর্জন করার পক্ষপাতী নই। আমরা শিল্পীর স্বাধীনতা ও ভিন্নমতে বিশ্বাসী। কাহিনীর প্রয়োজনে কোনও শিল্পিত উপস্থাপনার খবরদারিত্বে আমরা বিশ্বাস করি না। কিন্তু অপ্রয়োজনে শুধুমাত্র দর্শক টানার মিথ্যা প্রলোভন আমাদের নাটক শুধুই বিনোদনের পণ্য হয়ে দাঁড়াক তাও চাই না।

এটিও উদ্বেগের বিষয় যে, ওয়েব বা এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে নাটক পাইরেসি হয়ে অন্যত্র চলে যায় এবং খণ্ডিতভাবে প্রকাশ হলে বিভ্রান্তি ছড়ায় যা অত্যন্ত বিপদজনক। করোনা পরবর্তী সময়ে শৈল্পিক উপস্থাপনায় নতুন অভিজ্ঞতায় উজ্জীবিত থেকে আমাদের শিল্প এক নতুন অভিধা সৃষ্টি করবে। রাষ্ট্র, আইন, সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নয়, শিল্পীর নিজস্ব অভিব্যক্তি হবে প্রধান বিষয়। শিল্পী কলাকুশলীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আমাদের সংগঠন। শিল্প এবং শিল্পীর ওপর যদি কোনও অন্যায় আঘাত আসে তার পাশে অবশ্যই দাঁড়াবে। এমতাবস্থায় নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, কলাকুশলী- সবাইকে সুস্থ ও শৈল্পিক বিনোদনের প্রক্রিয়ায় আসার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

বিবৃতিদাতারা হলেন: সৈয়দ হাসান ইমাম, মুস্তাফা মনোয়ার, মামুনুর রশীদ, আলী যাকের, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, ফেরদৌসী মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, এটিএম শাসমুজ্জামান, ড. ইনামুল হক, ম.হামিদ, কে এস ফিরোজ, জুয়েল আইচ, আফজাল হোসেন, আনিসুল হক, নওয়াজীশ আলী খান, আনোয়ার হোসেন বুলু, সানাউল আরেফিন, শর্মিলী আহমেদ, সারা যাকের, লাকী ইনাম, ফাল্গুনী হামিদ, গোলাম কুদ্দুস, হাসান আরিফ, ঝুনা চৌধুরী, কামাল বায়েজিদ, আহসান হাবিব, হারুন অর রশীদ, তারিক আনাম খান, মান্নান হীরা, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ফেরদৌস হাসান, মোহন খান, মাসুম রেজা, সালাহউদ্দিন লাভলু, শহীদুজ্জামান সেলিম, অরুণ চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, আজিজুল হাকিম, ফজলুর রহমান বাবু, তৌকীর আহমেদ, জাহিদ হাসান, মাহফুজ আহমেদ, গাজী রাকায়েত, ইরেশ যাকের, শমী কায়সার, বিপাশা হায়াত, তানিয়া আহমেদ, ত্রপা মজুমদার, শহীদুল আলম সাচ্চু, তুষার খান, মুশফিকুর রহিম গুলজার, খোরশেদ আলম খসরু, মাজহারুল ইসলাম, শাকুর মজিদ, আহকাম উল্লাহ, আহমেদ গিয়াস, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মোহাম্মদ হোসেন জেমি, মনোয়ার পাঠান, আনজাম মাসুদ, ফারিয়া হোসেন, জিনাত হাকিম, চয়নিকা চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, এজাজ মুননা, শাহেদ শরীফ খান, দীপা খন্দকার, বৃন্দাবন দাস, পান্থ শাহরিয়ার, বিজরী বরকতউল্লাহ, তারিন জাহান, তানভীন সুইটি, রিচি সোলায়মান, চঞ্চল চৌধুরী, মীর সাব্বির, এস এ হক অলিক, আহসান হাবিব নাসিম ও সাজু মুনতাসির।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top