What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other ফিরে দেখা ২০১০-১৯: আলোচিত বিশ নির্মাতা (1 Viewer)

Nagar Baul

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,152
Messages
13,339
Credits
547,766
Pen edit
Sailboat
Profile Music
hvAvcwW.png


নাটক সিনেমা কিংবা বিজ্ঞাপন, সবক্ষেত্রেই একটি ভাল কাজে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে তিনি হচ্ছেন নির্মাতা। একজন অভিনয় শিল্পী যতোই ভাল হোন না কেন তার থেকে কাঙ্খিত অভিনয় বের করে আনা কিংবা যে কোন গল্পকে আকর্ষণীয় ও বাস্তবসম্মত ভাবে ফুটিয়ে তোলার দায়িত্ব পালন করেন নির্মাতাগণ।

বহু আগে থেকেই আমাদের নাট্য ইন্ডাস্ট্রি অনেকখানি নির্মাতা নির্ভর! হুমায়ূন আহমেদ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, গিয়াসউদ্দিন সেলিমদের নাম শুনলেই নাটক দেখার আলাদা আগ্রহ জাগত। কারণ তাদের প্রত্যেকেরই নির্মাণের স্বকীয় ভাষা ছিল। হুমায়ূন আহমেদ গত হয়েছেন, বাকিরা সিনেমায় থিতু হয়েছেন! তো তাদের অনুপস্থিতিতে কারা এ দশকের নাটককে টেনে নিয়েছেন, দর্শককে কতটুকু বিনোদিত করতে পেরেছেন আজ জানব তাদের সম্পর্কে।

সেরা বিশ আলোচিত নির্মাতা-

১. শিহাব শাহীন: গত দশকের জনপ্রিয়তা তিনি এই দশকে এসে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে নেন। বিশেষ করে এয়ারটেল প্রযোজিত ভালোবাসি তাই ও ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই নির্মানের পর খুব আলোচিত হন। এরপর একে একে যুক্ত হয় মনফড়িঙের গল্প, মনসুবা জংশন, নীলপরী নীলাঞ্জনা, বিনি সুতোর টানের মত অত্যন্ত সফল টেলিফিল্ম। 'নীলপরী নীলাঞ্জনা' তো খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। নাটকে গানের সুব্যবহারের রীতি উনার নাটক থেকেই নিয়মিত হওয়া শুরু করে। সবগুলোই ছিল বাংলা নাটকে রোমান্টিকতার ক্ষেত্রে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া কাজ। যদিও ইদানীং কালে দর্শকরা প্রত্যাশামাফিক উপহার পাচ্ছেন না।

২. আশফাক নিপুণ: ছবিয়ালের অত্যন্ত মেধাবী এই নির্মাতা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের চলমান সামাজিক ইস্যু নিয়ে নাটক বানানোর জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত। দ্বন্ধ সমাস, ফেরার পথ নেই, এই শহরে, সোনালী ডানার চিল বানিয়ে পেয়েছেন সাহসী নির্মাতার খেতাব। তবে তার আগেই আশির দশকের প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত 'ল্যান্ডফোনের দিনগুলিতে প্রেম' খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, এছাড়া খুঁটিনাটি খুনসুটি, মিস শিউলি, সুখের ছাড়পত্র, আল্পনা কাজল, তুমি না থাকলে আলোচিত হয়েছিল। যদিও সমকামিতা নিয়ে 'রেইনবো' নাটক বানিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন, তবে এমন সাহসিকতার জন্য অনেকেই বাহবা দিয়েছিলেন।

৩. মিজানুর রহমান আরিয়ান: 'বড় ছেলে' খ্যাত এই নির্মাতা প্রথম আলোচনায় আসেন ট্র‍্যাম্প কার্ড ও ইন এ রিলেশনশিপ বানানোর পর। তবে বড় ছেলের বিশাল সাফল্যের পর তিনি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় নির্মাতা,সেই ধারাবাহিকতায় নির্মান করেন 'বুকের বাঁ পাশে'র মত আরেক জনপ্রিয় টেলিফিল্ম। সাধারনত রোমান্টিক ধারার নাটকই বেশি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া বানিয়েছেন ব্যাচ ২৭ সিরিজ, কথোপকথন, ২২শে এপ্রিল, প্রিয় নিতু, অ্যাংরি বার্ডসহ আরো অনেক সফল নাটক। উনার নির্মিত নাটকে গান নিয়মিত ঘটনা, তবে বেশ জনপ্রিয় হয়।

৪. শাফায়েত মনসুর রানা: পেশায় তিনি একজন শিক্ষক, বছরে খুব কম সংখ্যক নাটক নির্মাণ করেন। এরমাঝেই সামাজিক সচেতনতামূলক বৈচিত্র্যময় কাজের জন্য তিনি বেশ আলোচিত হয়েছেন। বিশেষ করে এক্স ওয়াই যেড সিরিজ ও লাইক এন্ড শেয়ার সিরিজের তিনি দর্শকনন্দিত হয়েছেন, এছাড়া আমরা ফিরবো কবে, আমাদের সমাজবিজ্ঞান, আমার নাম মানুষ, অ্যাওয়ার্ড নাইট তার উল্লেখযোগ্য টেলিফিল্ম।

৫. রেদওয়ান রনি: সাম্প্রতিক সময়ে 'পাতা ঝরার দিন' নাটক বানিয়ে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিলেন এই নির্মাতা। হাউজফুলের পর 'এফ এন এফ' এর মত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক বানিয়েছিলেন,এছাড়া 'পিন্টু-মিন্টু' সিরিজের সবগুলো ঈদ ধারাবাহিক দর্শকদের পছন্দের তালিকায় বেশ ভালোভাবেই আছে। ছবিয়ালের অন্যতম প্রতিভাবান এই নির্মাতার ইউটার্ণ, জেগে উঠার গল্প,পাঞ্চ ক্লিপ, ভালোবাসা ১০১, রেডিও চকলেট উল্লেখযোগ্য কাজ হিসেবে বিবেচিত।

৬. আদনান আল রাজীব: তিনি মূলত ব্যস্ততা কাটান বিজ্ঞাপন নির্মাণ নিয়ে, তবে ছবিয়াল থেকে আবিষ্কার এই নির্মাতা একেবারেই কম সংখ্যক নাটক বানালেও সেইগুলো খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। @18 অলটাইম দৌড়ের উপর, বিকেল বেলার পাখি ও মিডলক্লাস সেন্টিমেন্ট তিনটি কাজই দর্শকদের পছন্দের তালিকায় প্রথমদিকেই রয়েছে। নাটকে উনার নিয়মিত পদচারণা দর্শকরা আশা করেন।

৭. তানিম রহমান অংশু: মিউজিক ভিডিও নির্মাণে বেশি সময় দেন তিনি,চলচ্চিত্র বানিয়েছেন তিনটি। এরমাঝে নাটক নির্মাণেই তিনি বেশি আলোচনায় এসেছিলেন।বিশেষ করে 'আলো'র মত হরর ও 'স্পুক' টেলিফিল্ম বানিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। এছাড়া আমি তৃনা ও ম্যাজিক, এয়ারবেন্ডার, হঠাৎ তোমার জন্যে, লাইফ এন্ড ফিওনা, দরজার ওপাশে বানিয়ে দর্শকদের নতুনত্বের স্বাদ দিয়েছিলেন।

৮. সাগর জাহান: আরমান ভাই ও সিকান্দার বক্স সিরিজ বানিয়ে বেশ দর্শকপ্রিয় হয়েছেন তিনি। এছাড়া চুপ! ভাই কিছু বলবে, এই শহর মাধবীলতার নয়, নীল গ্রহ, ক্ষনিকের আলো, মাখন মিয়ার উদার বউটা, এই কূলে আমি আর ঐ কূলে তুমি তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক। তবে এভারেজ আসলাম, মাহিনের নীল তোয়ালে দর্শকদের হতাশ করেছে, সিকান্দার বক্সের শেষদিকেও সমালোচিত হয়েছিল।

৯. ইফতেখার আহমেদ ফাহমি: হাউজফুলের জনপ্রিয়তার পর একক নির্মাতা হিসেবে 'ফিফটি ফিফটি' ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করেছিলেন, এটাও মোটামুটি জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে বেশি আলোচিত হয়েছিলেন 'আমাদের গল্প' দিয়ে। বেশ বিরতির পর সাম্প্রতিক কালে 'কিংকর্তব্যবিমূঢ়' নাটক বানিয়ে নিজের বেশ ভালোভাবেই প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। অনেকের মতে, ছবিয়ালের সেরা আবিষ্কারক তিনি, তবে তাকে নিয়ে যে দর্শকদের উচ্চাশা ছিল সেটা অনেকটাই অস্তমিত হয়ে গেছে। এছাড়া বানিয়েছেন রিল্যাক্স বক্স, তুমি থাকো সিন্ধুপাড়ে, সেলুলয়েড ম্যান, হাইওয়ে টু হেভেন, রিং এর মত নাটক।

১০. মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ: এই দশকের প্রচুর জনপ্রিয়তা পাওয়া ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে বেশিরভাগই তাঁর বানানো। গ্র‍্যাজুয়েট, মাইক, চাঁদের নিজের কোনো আলো নেই থেকে সাম্প্রতিক কালে ফ্যামিলি ক্রাইসিসের মত জনপ্রিয় ধারাবাহিক বানিয়েছেন। এছাড়া দেনমোহর, ২৬ দিন মাত্র, হ্যালো ৯১১ লাভ ইমার্ঞ্জেসী আলোচনায় ছিল। সিনেমাও বানিয়ে ফেলেছেন চারটি। তবে ছবিয়াল থেকে আসা এই নির্মাতাকে নিয়ে দর্শকদের হতাশাও অনেক। গত কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ তিনি প্রত্যাশানুযায়ী নাটক বানাচ্ছেন না।

১১. মাবরুর রশিদ বান্নাহ: নির্মাণে সংখ্যার দিক থেকে রেকর্ড করে ফেলা এই নির্মাতা অবশ্যই এই মুহুর্তে জনপ্রিয় নির্মাতাদের একজন। প্রথমদিকে তারুণ্যনির্ভর নাটক বানালেও আজকাল ভিন্ন ভিন্ন গল্পের নাটক বানাচ্ছেন। তবে সংখ্যার পরিমাণ বেশি হওয়ায় মানের দিকে অতো মনোনিবেশ করতে পারেন না। এর মাঝেও কয়েকটি কাজ বেশ দর্শকালোচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আইসক্রিমওয়ালা, এলিয়েন ও রুম্পার গল্প, শত ডানার প্রজাপতি, লালাই, হোম টিউটর, রূপবান ফিরে এলো, মাস্তি আনলিমিটেড, হঠাৎ নীরার জন্য, ছেলেটি অবন্তীকে ভালোবেসেছিল থেকে হালের আশ্রয়, মুগ্ধ ব্যকরণ, আমাদের দিনরাত্রি অন্যতম।

১২. অনিমেষ আইচ: গত দশকে যারা বাংলা নাটকের পট পরিবর্তনে বড় প্রভাব রেখেছিলেন, তিনি তাদের মধ্যে একজন। দশকের শুরুতেই কাঁটা ও ইনসমনিয়া বানিয়ে নিজেকে আরো প্রশংসিত ও পরিক্ষীত করেছিলেন। তবে গত কয়েক বছর ধরেই তিনি আগের সেই চিরচেনা রুপ হারিয়ে ফেলেছেন,তাঁর ভক্তরা দিনদিন হতাশ হচ্ছে।এর মাঝে সিনেমা বানিয়েছেন দুইটি, উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে হলুদ, বুবুনের বাসররাত, নয়টার সংবাদ, মায়াবতী অন্যতম।

১৩. সুমন আনোয়ার: রাতারগুল, স্বপ্নকুহক, ফুলমতি, কমলা সুন্দরী, জীবন সঙ্গী, রাতুল বনাম রাতুলসহ বেশকিছু নাটক এই দশকের বেশ কয়েকটি প্রশংসিত নাটক। এখনো প্রতি বছরে বেশ সংখ্যক নাটক বানান। তবে সাম্প্রতিক কালে 'অন্ধকার ঢাকা' নির্মাণ করে সমালোচিত হয়েছেন।

১৪. মাহফুজ আহমেদ: অভিনেতা হিসেবে তিনি সুপ্রতিষ্টিত,তবে নির্মাতা হিসেবেও তিনি সমান দক্ষ তার প্রমান দিয়েছেন অনেকবার। 'চৈতা পাগল' ধারাবাহিক নাটকটি দর্শক থেকে সমালোচক সবার প্রশংসা পেয়েছিলেন, 'হ্যালো বাংলাদেশ' টেলিফিল্মটিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এছাড়া উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে কেবলই রাত হয়ে যায়, মায়ের কাছে যাবো, একজন ছায়াবতী, শৈন প্রু, সূর্যাস্তের আগে, বাপের বেটা অন্যতম।

১৫. সালাউদ্দিন লাভলু: গত দশকে গ্রামাঞ্চল নিয়ে নাটক বানিয়ে প্রতিষ্টিত হয়েছিলেন তিনি, এই দশকের শুরুতেও সার্ভিস হোল্ডার, হাড় কিপ্টের মত নাটক বানিয়ে দর্শকদের সন্তুষ্টি দিয়েছিলেন। তবে বৃন্দাবন দাসের সাথে জুটি ভেঙ্গে যাবার পর থেকেই তিনি ম্লান হচ্ছিলেন। এখনো নাটক বানান, তবে প্রত্যাশা মিটায় না। এর মাঝে কবুলীয়তনামা, প্রিয় দিন প্রিয় রাত মোটামুটি আলোচনায় এসেছিল।

১৬. মাসুদ সেজান: এইম ইন লাইফের পর এই দশকে এসে এক ঘন্টার দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক 'লং মার্চ' বানিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। এরপর না ভোট, লাইক এন্ড কমেন্টস, চরিত্র: স্ত্রী, একটি তালগাছের গল্প, খেলোয়াড়সহ বেশ বিঠু নাটক বানিয়েছিলেন। তবে প্রায় নাটকেরই একই বিষয়বস্তু থাকায় দর্শকদের মাঝে একঘেয়েমি ভাব চলে এসেছে।

১৭. কাজল আরেফিন অমি: 'ট্যাটু' সিরিজ দিয়ে মোটামুটি আলোচনায় আসা এই নির্মাতা তুমুল আলোচিত হন 'ব্যাচেলর পয়েন্ট' ধারাবাহিক নাটক দিয়ে। মূলত এটার জনপ্রিয়তার পরই তিনি নির্মাতা হিসেবে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে সুখের লটারি, মুঠোফোন, এক্স গার্লফ্রেন্ড, মি এন্ড ইউ। তবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি গল্পের বিষয়বস্তু ও সংলাপের কারনে সমালোচিত হয়েছেন।

১৮. চয়নিকা চৌধুরী: গত দশকের সুবর্ণ সময় কাটানোর পর এই দশকে ম্লান ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় এই নারী নির্মাতা। তিনিও সংখ্যার দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছিলেন, যার কারণে মান পড়ে যায়। কিছুদিন পরেই মুক্তি পাবে তার প্রথম সিনেমা। উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রুপা, চলমান ছবি, সোনার মানুষ, কেমন আছো তুমি, সুইজারল্যান্ড, নূপুর অন্যতম।

১৯. ইমরাউল রাফাত: চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে সিরিজ নাটক 'মেড ইন চিটাগাং'-এর কারণে আলোচনায় আসেন তিনি, পাশাপাশি 'রুমডেট' নাটক দিয়েও আলোচিত- সমালোচিত হন। এছাড়া মোটামুটি জনপ্রিয় হয়েছে স্পর্শের বাইরে তুমি, লাভ এন্ড ওয়ার, ভূতের ভ্যালেন্টাইন, ওল্ড ইজ গোল্ড, অপেক্ষা, হলুদ রঙের বায়নাসহ বেশ কিছু নাটক। গত বছর র‍্যাগিং নিয়ে নাটক বানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

২০. হিমেল আশরাফ: 'মিস ফায়ার' নাটক বানিয়ে দর্শকালোচিত হয়েছেন তিনি। গত বছর শাড়ী, সব গল্প রুপকথা নয়, ওগো বধু সুন্দরীর জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। এছাড়া দীর্ঘ ধারাবাহিক চৌধুরী ভিলা, একদিন ছুটি হবে, লাল নীল হলুদ বাতি, কাঁচের পুতুল উল্লেখযোগ্য,নিজের প্রথম সিনেমাও বানিয়ে ফেলেছেন এই নির্মাতা।

*বিশেষ:

১. মেজবাউর রহমান সুমন: ফেরার কোন পথ নেই থাকে না কোন কালে' নির্মাণ করে বেশ আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছিলেন, এছাড়া অরুপার জন্য,শেষ বলে কিছু নেইয়ের পর সর্বশেষ সুপারম্যান বানিয়েছিলেন। সিনেমা বানাবেন বলেই নাটক নির্মাণ থেকে সরে এসেছিলেন। বর্তমানে সিনেমার নির্মাণে ব্যস্ত।

২. ওয়াহিদ আনাম: পাড়ি, চক্র ও ছিন্ন এই তিনটি টেলিফিল্ম বানিয়ে দর্শকদের চমক দিয়েছিলেন তিনি। স্বল্প বাজেটের মাঝেও দর্শকরা নতুনত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন। এইকাজগুলোর তিনি বিশেষ হয়ে আছেম, যদিও সিনেমা নির্মাণের পর আর নাটক বানাচ্ছেন না।

৩. মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: টিভি নাটকের চিরাচরিত ধারা ভেঙ্গে যুগান্তকারী পরিবর্তন যার হাত ধরে ঘটেছিল,তিনি এই দশকে নাট্যঙ্গনে নিষ্প্রভ ছিলেন। ঘোষনা দিয়েছিলেন টিভির জন্য আর কোনো কাজ করবেন না,তবে বিরতি ভেঙ্গে 'আয়েশা' বানিয়েছিলেন গত বছর, এটি বেশ আলোচিত হয়েছিল।

৪. অমিতাভ রেজা: সিনেমা বানিয়ে দারুণ আলোচিত তিনি, তাই নাটক বানিয়েছেন একেবারেই কম। মায়া ও মৃত্যুর গল্প, সময় চুরি, সারফেস, মার্চ মাসের শূটিং বানিয়েছিলেন নাটকের দর্শকের জন্য,সবগুলোই প্রশংসা পেয়েছে।

৫. মাসুদ হাসান উজ্জ্বল: নিজের প্রথম সিনেমা বানোনোয় ব্যস্ত তিনি, নাটকে সময় দিয়েছেন কম। এর মাঝে দ্য প্রেস, ধূলোর মানুষ, মানুষের ঘ্রান, দাস কেবিন, থতমত এই শহরে বানিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন।

এছাড়া অস্থির সময়ে স্বস্থির গল্প সিরিজের নবীন নির্মাতা হিসেবে নুহাশ হুমায়ূন, সৈয়দ আহমেদ শাওকি, তানভীর আহসানরা প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে আশা জাগিয়েছিলেন, যদিও তাদের আর টিভি নাটকে দেখা যায়নি।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top