আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ ২৮ বছর পর চলতি বছরের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে নিজেদের প্রার্থী যাচাই-বাছাই শুরু করলেও ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো। ছাত্রদল ও বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের পরিবেশ নেই অভিযোগ করে নির্বাচনের আগেই সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ইত্তেফাককে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই তার ব্যক্তিগত মতামত বা বক্তব্য রাখার অধিকার আছে। তবে বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা আমাকে হলগুলোতে সহাবস্থান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও মনে করছে ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।' ছাত্রদল এবং বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর আস্থা ফেরানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিবে কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, 'সব ছাত্র সংগঠনের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি, সেখানেই সব সংগঠনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থী বা সংগঠনের জন্য বাড়তি কিছু বলার নাই।'
তবে উপাচার্য দাবি করলেও ছাত্রদলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা হলগুলোতে সহাবস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সাংগঠনিক তত্পরতাই তারা চালাতে পারছে না। এমনকি ক্লাস করতে কিংবা পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে গিয়েও ছাত্রলীগের হামলার শিকার হতে হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন ছাত্রদলের কয়েকজন হল পর্যায়ের নেতা। এই অবস্থায় ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে না পারলে ডাকসু নির্বাচন একদলীয় নির্বাচনে রূপ নিবে বলে আশঙ্কা ছাত্রদল নেতাদের।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার সিদ্দিক ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে জানান, 'ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে বলে প্রভোস্ট কমিটি যে দাবি করেছে তা অবান্তর এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন। পরিবেশ পরিষদের সভায় আমাদেরকে সহাবস্থানের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে, এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে সহাবস্থান আছে। ডাকসু নির্বাচনের তফসিলের আগে কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্য প্রমাণ করে তাদের প্রিয় দলকে (ছাত্রলীগ) অবৈধভাবে বিজয়ী করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।'
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগকে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো স্বাগত জানালেও ডাকসুতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমানো, সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং সম্পাদকীয় পদ বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির কাছে। সহাবস্থান নিয়ে তাদেরও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চাই ডাকসু নির্বাচনের আগেই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত হোক। প্রত্যেকটি সংগঠন যাতে নিজেদের কর্মসূচি নির্বিঘ্নভাবে পালন করতে পারে তার ব্যবস্থাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই করতে হবে। তিনি উপাচার্যকে হলগুলো পরিদর্শন করে সহাবস্থান আছে কিনা তা দেখার অনুরোধ জানান।
এদিকে প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রলীগও বলছে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলছেন, ডাকসু নির্বাচনের ফল যাই হোক নির্বাচন হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ইত্তেফাককে বলেন, 'ছাত্রলীগ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে আমরা জনপ্রিয় ও প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছি।'
ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ইত্তেফাককে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই তার ব্যক্তিগত মতামত বা বক্তব্য রাখার অধিকার আছে। তবে বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা আমাকে হলগুলোতে সহাবস্থান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও মনে করছে ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।' ছাত্রদল এবং বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর আস্থা ফেরানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিবে কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, 'সব ছাত্র সংগঠনের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি, সেখানেই সব সংগঠনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থী বা সংগঠনের জন্য বাড়তি কিছু বলার নাই।'
তবে উপাচার্য দাবি করলেও ছাত্রদলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা হলগুলোতে সহাবস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সাংগঠনিক তত্পরতাই তারা চালাতে পারছে না। এমনকি ক্লাস করতে কিংবা পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে গিয়েও ছাত্রলীগের হামলার শিকার হতে হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন ছাত্রদলের কয়েকজন হল পর্যায়ের নেতা। এই অবস্থায় ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে না পারলে ডাকসু নির্বাচন একদলীয় নির্বাচনে রূপ নিবে বলে আশঙ্কা ছাত্রদল নেতাদের।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার সিদ্দিক ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে জানান, 'ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে বলে প্রভোস্ট কমিটি যে দাবি করেছে তা অবান্তর এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন। পরিবেশ পরিষদের সভায় আমাদেরকে সহাবস্থানের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে, এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে সহাবস্থান আছে। ডাকসু নির্বাচনের তফসিলের আগে কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্য প্রমাণ করে তাদের প্রিয় দলকে (ছাত্রলীগ) অবৈধভাবে বিজয়ী করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।'
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগকে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো স্বাগত জানালেও ডাকসুতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমানো, সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং সম্পাদকীয় পদ বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির কাছে। সহাবস্থান নিয়ে তাদেরও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চাই ডাকসু নির্বাচনের আগেই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত হোক। প্রত্যেকটি সংগঠন যাতে নিজেদের কর্মসূচি নির্বিঘ্নভাবে পালন করতে পারে তার ব্যবস্থাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই করতে হবে। তিনি উপাচার্যকে হলগুলো পরিদর্শন করে সহাবস্থান আছে কিনা তা দেখার অনুরোধ জানান।
এদিকে প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রলীগও বলছে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলছেন, ডাকসু নির্বাচনের ফল যাই হোক নির্বাচন হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ইত্তেফাককে বলেন, 'ছাত্রলীগ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে আমরা জনপ্রিয় ও প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছি।'