আমাদের এই আধুনিক যুগে ইন্টারনেটের প্রভাবে বর্তমানে পর্নোগ্রাফি তরুণ-যুবকদের কাছে আগের তুলনায় অনেক সহজলভ্য হয়ে গেছে। আগের মতো তা বিরল কোনো বিষয় নয়। আর তা তরুণদের মানসিকতাকে প্রভাবিত করছে ভয়ংকর ভাবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টেলিগ্রাফ।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকে ১১ বছর বয়স থেকেই পর্নোগ্রাফিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ফলে পর্নোগ্রাফি সহজলভ্য হওয়ার আগে তরুণরা যেমন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করত এখন তার ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকেই অনলাইনে ছবি ও ভিডিও দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এবং তাতেই আকর্ষণবোধ করে। ফলে বাস্তবে সত্যিকার নারীদের প্রতি আকর্ষণবোধ সেভাবে থাকে না।
গবেষকরা জানিয়েছেন, কম্পিউটার বা বিভিন্ন ডিভাইসের এ ভিডিও কিংবা ছবির মাধ্যমে যৌনতায় অভ্যস্ত হওয়ায় তা তাদের মস্তিষ্কে প্রভাব বিস্তার করে। ফলে প্রভাবিত হয় তাদের বাস্তব জীবনে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও। সাইকোথেরাপিস্ট ও যৌন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ পউলা হল বলেন, তিনি বেশ কিছু তরুণের দেখা পেয়েছেন, যারা অনলাইন থেকেই খুঁজে নিয়েছে যৌনতা। ফলে তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে থাকলেও কখনো বাস্তব জীবনে যৌনতার অভিজ্ঞতা পায়নি। এমনকি তারা এটি করার উপায়ও জানে না।
পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত এমন তরুণদের আসক্তি জীবনের শুরুতে হলেও জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা যায়। এতে যৌনজীবনে স্খলনজনিত জটিলতাসহ সম্পর্ক স্থাপনেও জটিলতা দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলেরই সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। এসব বিষয় যাতে মাথায় না ঢুকে তার জন্য নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ, সৃজনশীল কাজে সময় ব্যয় করা, পড়াশোনা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে অবিভাবকদের তাদের নিজ নিজ কিশোর সন্তানদের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। তাদের সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে মিশছে, পড়াশোনা ঠিকমত করছে কিনা এ বিষয় গুলো নিয়মিত তদারকি করা উচিত।