সেঞ্চুরির সম্ভাবনায় দিন শুরু করেছিলেন সাদমান ইসলাম। কিন্তু কাছে গিয়েও পেলেন না তিন অঙ্কের দেখা। বরং আব্দুর রাজ্জাকের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লড়াইয়ে ফিরল দক্ষিণাঞ্চল।
অভিজ্ঞ স্পিনার নিয়েছেন ৬ উইকেট। সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে ছুঁয়েছেন এনামুল হক জুনিয়রকে।
বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিনে রাজশাহীতে প্রথম দিনে অনেকটা এগিয়ে ছিল মধ্যাঞ্চল। বুধবার দ্বিতীয় দিনে লড়াইয়ে ফিরেছে দক্ষিণাঞ্চল। ২ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে শুরু করা মধ্যাঞ্চলকে ৩০২ রানে অলআউট করেছে দক্ষিণাঞ্চল। নিজেরা দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৫০ রান তুলে।
প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের লিড ছিল ১১১ রানের। দিন শেষে দক্ষিণাঞ্চল সেটি কমিয়ে এনেছে ৬১ রানে। হাতে ৯ উইকেট।
বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় এদিন খেলা শুরু হয় দেরিতে। মধ্যাঞ্চলের শুরুটাই ধাক্কা হজম করে। আগের দিনের সঙ্গে আর ১ রান যোগ করে রান আউট অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব।
এরপর উইকেট হারাতে থাকে তারা নিয়মিত বিরতিতে। মাহমুদউল্লাহ ও তানবীর হায়দার শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। এই দুজনের মাঝে বিদায় নেন ভরসা হয়ে থাকা সাদমানও।
৬৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা সাদমান ৯৩ রান করে কটবিহাইন্ড হয়েছেন রাজ্জাকের বাঁহাতি স্পিনে। তরুণ বাঁহাতি ওপেনার আগের রাউন্ডে করেছিলেন সেঞ্চুরি।
সপ্তম উইকেটে ইরফান শুক্কুর ও মোশাররফ হোসেন গড়েন ৭৯ রানের জুটি। লিড পেরিয়ে যায় শতরান। দক্ষিণাঞ্চল তখনই ম্যাচে ফেরে দারুণভাবে। ১১ চারে ৫৪ রানে আউট হন ইরফান। ১ রানে মধ্যাঞ্চল হারায় শেষ ৪ উইকেট। এর তিনটিই নেন রাজ্জাক।
সব মিলিয়ে ৩১ ওভারে ১০৬ রানে রাজ্জাকের উইকেট ৬টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ উইকেট নিলেন ৩২ বার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেটে স্পর্শ করলেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়রের রেকর্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণাঞ্চল ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে হারিয়েছে দ্রুত। তবে এনামুল হক ও ইমরুল কায়েসের জুটি পার করে দিয়েছে দিন। ৩১ রানে অপরাজিত এনামুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৯১
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৮.৩ ওভারে ৩০২ (আগের দিন ১৫৪/২) (সাদমান ৯৩, মার্শাল ১৫, মাহমুদউল্লাহ ১৪, তানবীর ২২, ইরফান ৫৪, মোশাররফ ২৮, আবু হায়দার ০, শাকিল ১, এবাদত ০*; কামরুল ০/৭৭, জিয়াউর ০/২৮, নাঈম ৩/৮৮, এনামুল ০/৭, রাজ্জাক ৬/১০৬)।
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৯ ওভারে ৫০/১ (এনামুল ৩১*, ফজলে রাব্বি ৯, ইমরুল ১০*; আবু হায়দার ০/১১, শাকিল ০/৭, এবাদত ০/১৯, মোশাররফ ০/৬, তানবীর ১/৫, মাহমুদউল্লাহ ০/২)।