অশান্ত মধ্যপ্রাচ্য : উৎসের সন্ধানে
ফিলিস্তীন প্রসঙ্গ বাদ দিলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীলই ছিল গত কয়েক দশক। একথা অনস্বীকার্য যে, রাজতন্ত্র আর যাই হোক স্থিতিশীল রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ চমকের মত দপ করে সারা মধ্যপ্রাচ্যে গণআন্দোলনের বহ্নিশিখা জ্বলে উঠল। চারিদিকে শুরু হ'ল একই আওয়াজ- সরকারের পতন চাই, পতন চাই। তিউনিসিয়া, মিশর, লিবিয়া, জর্ডান, লেবানন, মরক্কো হয়ে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে জর্ডান, বাহরাইন, ইয়েমেন পর্যন্ত। এমনকি খোদ সৌদি আরবেও ছড়িয়ে পড়ে এর রেশ। অতঃপর অভূতপূর্ব ভাবে তাসের ঘরের মত পতন ঘটতে থাকে একের পর এক লৌহমানবখ্যাত শাসকদের। এই পতনধারার সূত্রপাত ঘটে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলীকে দিয়ে। তিনি ঐ দিন তার মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দিয়ে স্বদেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এই সফলতায় উৎসাহিত হয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে শুরু হয় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। ক্ষোভের উত্তপ্ত দমকা বাতাসে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মরুবালুকা এখন গনগনে অগ্নিশিখা হয়ে জ্বলছে। কিন্তু কেন এই আন্দোলন? কেন হঠাৎ ক্ষেপে উঠল জনগণ। শাসকের শোষণ? নিরবচ্ছিন্ন বঞ্চণার ছাইচাপা দ্রোহ, না কোন ষড়যন্ত্র? এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ বেন আলীর ২৩বছর, হোসনী মোবারকের ৩০ বছর, গাদ্দাফীর ৪০ বছরের ক্ষমতাকালীন এই দীর্ঘসময়ে এমন আন্দোলন তো কখনো কেউ দেখেনি? হঠাৎ করে জনগণ বিপুল তেজে ফুঁসে উঠল কেন? তবে কেউ কি আড়াল থেকে জনগণকে ব্যবহার করে আপন স্বার্থ হাছিল করছে? উৎস কোথায় এ আন্দোলনের? বক্ষমাণ প্রবন্ধে সেটাই বিশ্লেষণের প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
ফিলিস্তীন প্রসঙ্গ বাদ দিলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীলই ছিল গত কয়েক দশক। একথা অনস্বীকার্য যে, রাজতন্ত্র আর যাই হোক স্থিতিশীল রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ চমকের মত দপ করে সারা মধ্যপ্রাচ্যে গণআন্দোলনের বহ্নিশিখা জ্বলে উঠল। চারিদিকে শুরু হ'ল একই আওয়াজ- সরকারের পতন চাই, পতন চাই। তিউনিসিয়া, মিশর, লিবিয়া, জর্ডান, লেবানন, মরক্কো হয়ে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে জর্ডান, বাহরাইন, ইয়েমেন পর্যন্ত। এমনকি খোদ সৌদি আরবেও ছড়িয়ে পড়ে এর রেশ। অতঃপর অভূতপূর্ব ভাবে তাসের ঘরের মত পতন ঘটতে থাকে একের পর এক লৌহমানবখ্যাত শাসকদের। এই পতনধারার সূত্রপাত ঘটে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলীকে দিয়ে। তিনি ঐ দিন তার মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দিয়ে স্বদেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এই সফলতায় উৎসাহিত হয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে শুরু হয় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। ক্ষোভের উত্তপ্ত দমকা বাতাসে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মরুবালুকা এখন গনগনে অগ্নিশিখা হয়ে জ্বলছে। কিন্তু কেন এই আন্দোলন? কেন হঠাৎ ক্ষেপে উঠল জনগণ। শাসকের শোষণ? নিরবচ্ছিন্ন বঞ্চণার ছাইচাপা দ্রোহ, না কোন ষড়যন্ত্র? এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ বেন আলীর ২৩বছর, হোসনী মোবারকের ৩০ বছর, গাদ্দাফীর ৪০ বছরের ক্ষমতাকালীন এই দীর্ঘসময়ে এমন আন্দোলন তো কখনো কেউ দেখেনি? হঠাৎ করে জনগণ বিপুল তেজে ফুঁসে উঠল কেন? তবে কেউ কি আড়াল থেকে জনগণকে ব্যবহার করে আপন স্বার্থ হাছিল করছে? উৎস কোথায় এ আন্দোলনের? বক্ষমাণ প্রবন্ধে সেটাই বিশ্লেষণের প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।