শীতকালই কিন্তু শরীরচর্চা করার সেরা সময়। এনার্জিও বেশি থাকে। পার্টি করেও কয়েকটা জিনিস মানলে বাড়বে না ওজন। জেনে নিন, সেগুলো কী।
১। শীতকালে একটু গরম খাবার খেতেই ভাল লাগে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্যুপ রাখলে উপকার পাবেন। পারলে দু'বেলাই স্যুপ খান। মরসুমি সব্জির সঙ্গে চিকেন, ম্যাকারনি, মাশরুম, এই সবও মিশিয়ে দিতে পারেন। তবে ক্রিমি স্যুপ চলবে না। তাহলে উপকারের চেয়ে অপকারই হবে।
২। শীতেই চিজ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হয়ে যায়। চেষ্টা করুন কটেজ চিজ দেওয়া খাবার খেতে। বাড়িতে পাস্তা বানালে লো ফ্যাট কটেজ চিজ দিন। মাফিন কিংবা কেক এই সময়টায় খাওয়া হয় বেশি। একবারে গোটা জিনিসটা কখনওই খাবেন না। ক্রেভিং মেটাতে বড়জোর ছোট একটা টুকরো খান।
৩। বার-বি-কিউ করার আদর্শ সময় এটা। এই একটা রান্নায় ক্যালরির ভয় ততটা থাকে না। অল্প তেলে গ্রিল অথবা বার-বি-কিউ করা চিকেন, মাছ কিংবা টার্কি খেতে পারেন। তবে পরিমাণটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। ননভেজ খাবারের সঙ্গে সব্জিও গ্রিল করে খান। তাহলে পেট ভর্তি থাকবে। সেক্ষেত্রে মাংসটা আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখুন এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
৪। মৌসুমি ফল রাখুন আপনার খাদ্যতালিকায়। কমলালেবুর সিজন এটা। দিনে একটা করে অবশ্যই খাবেন। রস করে খাওয়ার বদলে গোটা লেবুটা খান। মুসম্বি খান।
৫। একদিন পার্টি করলে বাকি দিনগুলোয় ব্যালান্স করার চেষ্টা করুন। পার্টির পরের দিন ব্রেকফাস্টে ভারী খাবার খেয়ে, বাকি দিনটা হালকা খাবারের উপর থাকুন। ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে ওটমিল খেতে পারেন। খেজুর, আমসত্ত্ব, আমন্ড দিন। এতে বেশিক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে।
৬। ঠান্ডার সময়ে অ্যালকোহলও বেশি খাওয়া হয়ে গিয়ে থাকে। পরিমাণ ঠিক রাখার চেষ্টা করবেন। অ্যালকোহল-জাত ফ্যাট কাটানোর উপায়, হালকা গরমজল পান করা। পারলে গোটা শীতকালেই সারাদিন হালকা গরম জলে চুমুক দিন। তাতে যদি একটু লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন, তাহলে আরও ভাল। যাঁদের সর্দির-কাশির সমস্যা, তাঁরাও উপকার পাবেন। এছাড়া দিনে যতবার খুশি গ্রিন-টি খেতে পারেন। ক্যাফেন এড়িয়ে চলুন। শীতে জলের তেষ্টা কম পায়, তাই একটু নিয়ম মেনে জল খেতে হবে। শীতকালেই শরীর বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় কিন্তু।