একবার ভেবেই দেখুন অপয়া কে?
শিকারে বেরিয়ে পথে প্রথমেই নাসিরুদ্দীনের সামনে পড়ে রাজামশাই খেপে উঠলেন । লোকটা অপয়া । আজ আমার শিকার পন্ড । ওকে চাবকে হটিয়ে দাও ।
রাজা হুকুম তামিল হল ।
কিন্তু শিকার হলো জবরদস্ত ।
রাজা শিকার থেকে ফিরে নাসিরুদ্দীনকে ডেকে পাঠালেন ।
'ভুল হয়ে গেছে মোল্লা । আমি ভেবেছিলাম তুমি অপয়া । এখন দেখছি তা নও ।'
নাসিরুদ্দীন তিন হাত লাফিয়ে উঠল ।
আপনি ভেবেছিলেন আমি অপয়া ? আমায় দেখে আপনি ২৬ হরিণ মারলেন আর আপনাকে দেখে আমি ২৬ ঘা চাবুক খেলাম । আপয়া যে কে , সেটা বুঝতে পারলেন না ?
বিড়াল না মাংস
মোল্লা বাজার থেকে মাংস কিনে এনে তার গিন্নিকে বললো আজ কাবাব খাব , বেশ ভাল করে রাঁধো দেকি ।
গিন্নি রান্না করে লোভে পড়ে নিজেই সব মাংস খেয়ে ফেলে । কর্তাকে তো আর সে কথা বলা যায় না । সে বললো বেড়ালে খেয়ে ফেলছে ।
এক সের মাংস সব বেড়ালে খেয়ে ফেললো ?
সবটা ।
বেড়ালটা কাছেই ছিল । মোল্লা সেটাকে দাঁড়ি পাল্লায় চড়িয়ে দেখলো ওজন ঠিক একসের ।
'এটাই যদি সেই বেড়াল হয় 'বলল মোল্লা ' তাহলে মাংস কোথায় ? আর এটাই যদি সেই মাংস হয় তাহলে বেড়াল কোথায়' ?
সব কাজ একবারেই করতে হবে
মোল্লা এক বাড়িতে চাকরের কাজ করছে । মনিব তাকে ডেকে বললেন 'তুমি অযথা সময় নষ্ট কর কেন , তিনটে ডিম কিনতে কেউ তিন বার বাজারে যায় ?' এবার থেকে সব কাজ একবারে সেরে আসবে ।'
একদিন মনিব অসুখে পড়লে মোল্লাকে বললেন ডাক্তার ডাকো ।
মোল্লা গেল কিন্তু ফিরলো অনেক দেরিতে আর সাথে একবাস লোক ।
মনিব বললেন 'ডাক্তার কই ?'
তিনি আছেন সাথে আরো অনেকে আছেন , বললো মোল্লা ।
আরো কেন ?
আজ্ঞে ডাক্তার বললো পুলটিশ দিতে লোক চাই । জল গরম করতে কয়লা লাগবে কয়লাওয়ালা চাই । আপনি যদি মারা যান তো কোরান পড়ার লোক চাই । আপনাকে কবর দেওয়ার লোক চাই , আপনি মরলে পরে লাশ বইবার লোক চাই । তাই সবই একবারে এনেছি ।