What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made ছোটো বেলা খেলার সাথি বড় হয়ে বদলে গেছে.........। (1 Viewer)

Pegasus

Member
Joined
Mar 8, 2018
Threads
103
Messages
171
Credits
28,977
-আপনি কি বুঝতে পারছেন আমার কথা ?
আমি অন্য কিছু ভাবছিলাম । নিশির কথা শুনে আবার ওর দিকে ফিরে তাকালাম ! চুপচাপ শান্ত মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
আমার এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে আসলেই সামনে বসা মেয়েটি আমার ছোট্ট বেলার পরিচিত সেই নিশি । এর সাথে কত খেলা করেছি মারামারি করেছি কত ! সেই ছোট্ট মেয়েটি আজকে এক সুদর্শনা তরুনী হয়ে আমার সামনে বসে আছে !
আগে সম্ভবত আমাকে ও তুই কিংবা তুমি করে বলতো আজকে বলছে তুমি করে ! আসলেই সময় বড় অদ্ভুদ একটা জিনিস । কত দিন ওর সাথে দেখা নেই । তুই বলাটা সহজে আসার কথা না ।
আমি বললাম
-হ্যা !
-কোন আপত্তি নেই তো ?
-নাহ ! আপত্তি কেন থাকবে ?
যদিও আমার কেন জানি নিশি এটা চাচ্ছে না । অন্তত ওর মুখের ভাব টা দেখে মনে হল ও যেন চাইছিলো আমি ব্যাপার টা আরেক টু ভেবে দেখি । যদিও এতো কিছু ভাবাভাবির কিছু নেই । কিন্তু আমার নিজেরও কেন জানি মনে হচ্ছিল যেন ব্যাপার টা না হলেই মনে হয় ভাল ছিল । আমার সামনে আমার সেই ছোট্ট বেলার বউ বসে আছে এটা ভাবতেই মনের ভেতরে কেমন যেন একটা অনুভুতি হচ্ছিলো !
আমি আবার বললাম
-আসলে তুমি যা বলছো তা তো ঠিকই ! আমাদের এখন সেই সব মনে রাখলে চলে নাকি !
-তা তো ঠিকই !
নিশি আমাকে আপনি করে বললেও আমি কেন জানি ওকে তুমি করেই বলে ফেললাম ! খানিকটা অবশ্য ভয় ছিল ও আবার কিছু মনে করে কি না কে জানে ! একে তো সুন্দরী তার উপর কানাডা থাকে সেখানে পড়ালেখা করেছে ! এমন মেয়েদের আত্মসম্মান বোধ অনেক থাকে । হুট হাট করে কেউ আপনি না বলে তুমি করে বললে চোখ কঠিন করে বলল
কি ব্যাপার আপনি আমাকে তুমি করে কেন বলছেন ?
কিন্তু ওর চেহারা দেখে তেমন কিছুই মনে হল না ! কে জানে ছোট্ট বেলার পরিচিত বলেই মনে হয় ও কিছু বলল না !
নিশি একটু সময় চুপ করে থেকে বলল
-তাহলে কাগজ পত্র রেডি করে ফেলি ?
আমি বললাম
-এসেবের কি দরকার আছে ? ছোট্ট বেলায় আমাদের আব্বারা কি ছেলে মানুষী করেছে সেটার জন্য আইনী প্রকিয়ার ভেতরে যাওয়ার কোন দরকার নেই ! আমি যতদুর জানি তখনও কোন আইনি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়া হয় নি !
-তা অবশ্য ঠিক । কিন্তু আমার কাছে ব্যাপার লিগ্যাল ওয়েতে নিস্পত্তি না হলে শান্তি আসবে না !
গত কয়েকটা দিনে নিশিকে নিয়ে বেশ ভেবেছি আমি । বিশেষ করে ওর ফোন টা আসার পর থেকেই । কেমন কাপা কাপা কন্ঠে যখন ফোনের ওপাশ থেকে বলল
-হ্যালো, নাগিম মাহমুদ বলছেন ?
-জি ! বলছি !
-আমি আরিসা আহমেদ ! ডাক নাম নিশি !
নিশি নাম টা শুনতেই স্মৃতির পাতায় কারো মুখ যেন একটু ভেসে উঠেই চলে গেল আবার । ৫/৬ বছরের একটা মেয়ের মুখ আসতে না আসতে আবার মিলিয়ে গেল । আর এল ভাসা ভাসা কিছু কথা !
আমি বললাম
-জি বলুন !
-আপনার ডাক নাম সম্ভবত অপু !
-জি ! আমি মনে হয় আপনাকে চিনতে পারছি !
-আপনার সাথে আমার দেখা হওয়া দরকার ।
-আচ্ছা !
-সম্ভব ?
-হ্যা ! কোথায় দেখা করবেন বলেন ?
বাসায় এসে খাবার টেবিলে নিশির কথা বলতেই দেখলাম বাবা মা দুজনেই কেমন গম্ভীর হয়ে উঠলেন ! বাবা তো বলেই উঠলো যে দেখা করার কোন দরকার নেই ! আমি কোন মানে বুঝলাম না !
আমার যতদুর মনে পরে এক সময় নিশিরা আমাদের আসেপাশেই থাকতো ! নিত্য দিনের খেলার সঙ্গি ছিল সে আমার । আমাদের পরিবারের ভেতরেও খুব ভাল সম্পর্ক ছিল । তারপর কিছু একটা হল । নিশি কিংবা ওর বাবা আমাদের বাসায় আসা বন্ধ হয়ে গেল । আমাদেরও ওদের বাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল । কিন্তু কি সেই কারন আজও আমি জানি নি । অবশ্য খুব একটা জানতে চাই ও নি তখন ছোট ছিলাম বেশ । নিশির কথা ভুলে যেতে খুব বেশি দিন সময় লাগে নি !
রাতের বেলা মা আমার ঘরে এসে হাজির হলেন হাতে একটা ছবির এলবাম নিয়ে ! আমাকে দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন
-এই তোর আর নিশির কিছু ছবি আছে এখানে ! তোর বাবা আগেই সব নস্ট করে ফেলতে বলেছিলেন । আমি কটা লুকিয়ে রেখেছিলাম !
-মানে কি ? নষ্ট করে ফেলতে কেন বলবেন ? কি হয়েছিল ?
-লম্বা ইতিহাস ! সেটা জেনে তোর কাজ নেই । আমি গেলাম । তোর বাাব ঘুম থেকে জেগে আমাকে না দেখলে রাগ করবে ! মা আর দাড়ালো না !
আমি এলবাম উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলাম ! পুরোনো কিছু কিছু কথা যেন আমার মনে পড়তে লাগলো !
কিন্তু যে কথাটা আমার মনে পড়ে নি সেটা নিশির কাছ থেকে শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম । নিশির দেখার করার প্রধান কারনও সেইটাই ! আমার নিজের কাছেই বিশ্বাস হচ্ছিলো না ! আসলেই কি ব্যাপার টা হয়েছিল এমন করে !
আর কিছু বলছে না দেখে আমি নিশিকে বললাম
-তাহলে তাই হোক ! তোমার যা ইচ্ছে ! কবে আবার আসতে হবে ?
-যতদ্রুত সম্ভব ! আমি আসলে কেবল এই কাজের জন্যই দেশে এসেছি !
-ও আঙ্কেল আন্টি কেউ আসে নি !
এই কথাটা জানতে চাইতেই দেখলাম নিশির মুখ টা কেমন মলিন হয়েগেল ! নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় ! আমার তখনই মনে হল উনারা সম্ভবত আর বেঁচে নেই । তা না হলে নিশির এমন আচরন করার কোন কারন নেই !
আমি বললাম
-আই এম সরি ! তাহলে আপনি কিভাবে জানলেন ?
উত্তর দিতে হবে না দেখে নিশি যেন কিছুটা প্রসন্ন হল । অপ্রিয় কথা বলতে অনেকের ই ভাল লাগে না । নিশি বলল
-আম্মুর একটা ডায়েরি পড়ে জেনেছি ! জেনে এতো অবাক হয়েছিলাম ! আমার আপনার ব্যাপারে অনেক কিছুই মনে আছে কিন্তু এটার কিছুই মনে নেই ! আশ্চর্য !
-আমারও মনেই নেই ! তখন এসবের কিছু বুঝতাম নাকি !
-তা ঠিক !
আমার মনে সেই কখন থেকে একটা কথা বারবার ঘুর পাক খাচ্ছিল ! কিন্তু জিজ্ঞেস করতে কেমন যেন সংকোচ হচ্ছিল । শেষে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম !
-ইয়ে মানে ওখানে কাউকে পছন্দের নেই ?
-না ! তেমন কেউ নেই ! আসলে বাবা মা মারা যাওয়ার পরে ওখানে আমি হোমে বড় হয়েছি । নিজের জীবিকার চিন্তায় অস্থির থাকতাম তো তাই এসব আর চিন্তা করি নি কিছু ! আসে নি !
-ও !
আর কি বলবো কিছুই খুজে পেলাম না ! দুজনেই খানিকটা সময় চুপ করে রইলাম ! একটা সময় ওঠার সময় হল । নিশি বলল ও এখানে একটা হোটেলে উঠেছে । দেশে কিংবা বিদেশে ওর কোন আত্মীয় নেই যে সেখানে উঠবে !
নিশি কথাটা বলে কিছু টা সময় চুপ করে রইলো । কি বলবে আর যেন খুজে পাচ্ছে না ! আমি ওকে দেখতে লাগলাম ! আসলেই নিশি অনেক বেশি সুন্দরী হয়ে উঠেছে । সেই ছোট বেলাতেই ও অবশ্য বেশ কিউট ছিল । চেহারা টা একটু চাইনিজ ভাব ছিল তবে সেটাই যেন ওকে আরও বেশি সুন্দরী লাগছো । আমরা আমাদের বাসার উঠানে , বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে সব জায়গায় খেলা করতাম । ঘরঘর খেলায় নিশি সব সময় আমার বউ হত, কি চমৎকারই না দিন ছিল আমাদের !
বাবা মায়ের কথা মনে আসতেই ওর মনটা একটু যেন খারাপই হয়ে গিয়েছিল ! আমি বলল
-আচ্ছা যদিও কাজ গুলো শেষ করতে এখন তো তুমি আমার বউ নাকি ?
নিশি কিছু টা সময় আমার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর বলল
-হিসেব মত তো তাই ই !
-ভাবতেই কেমন লাগছে । কয়েক ঘন্টা আগেও আমি ব্যাচেলর ছিলাম আর এখন জানতে পারলাম আমি আসলে সেই কবে বিবাহিত ! হাহাহা !
নিশিও হাসলো আমার সাথে ! আমি বললাম
-চল আর মনে হয় সুযোগ নাও পেতে পারি, তোমাকে ফুসকা খাওয়াই ! নিজের বউকে নিয়ে ঘুরতে বেড়ানোর মজাই আলাদা !
নিশি কিছুটা সময় অসস্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! তবে ওর চেহারা দেখে মনে হল অসস্তি বোধকলেও ও বেশ খুশি হয়েছে ! তারপর ওকে বেশ খানিক্ষন ঘুরাঘুরি করলাম ! এসেবের কোন কারন ছিল না তবুও কিছু হিসেব ছাড়া কাজ করতে খারাপ লাগলো ! ওকে হোটেলে রেখে আসার সময় হঠাৎই আমার মনে হল যে নিশি আসলে যে কাজ টা করতে এসেছে সেটা না করলেই মনে হয় ভাল হত ! কেন এই চিন্তাটা মাথায় এল আমি ঠিক জানি না, তবে মনে এল !
বাসায় এসেই মায়ের মুখোমুখি হলাম । মা আমার চেহারা দেখেি বুঝে গেল যে আমার নিশরি সাথে দেখা হয়েছে ! কিন্তু আশে পাশে বাবা থাকায় তেমন কিছু জানতে চাইলেন না । এমন কি খাওয়ার সময়ও মা চুপ করে করে রইলো । বাবাকেও দেখলাম অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা গম্ভীর ! এক প্রকার কোন কথা বার্তা ছাড়াই খাওয়া শেষ করলাম !
গত দিনের মত রাতের বেলা মা এসে নিশির কথা জিজ্ঞেস করতে লাগলেন । দেখতে কেমন হয়েছে । ফর্সা হয়েছে নাকি কালো হয়ে গেছে আরও কত রকম প্রশ্ন ! কিন্তু যখন ওর বাবা মার কথা বললাম মা কেন যেন একদম চুপ হয়ে গেল ! একটা কথাও বললেন না ! চুপচাপ ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন !
নিশ্চয়ই মায়ের সাথে তাদের অনেক ভাল সম্পর্ক ছিল । তাই তো খবর টা এতো শক দিলো তাকে । আমি চুপচাপ শুয়ে পড়লাম !
পরদিন টা কাটলো অফিসের বেশ ব্যস্ততায় কাটলো ! নিশির কথা মনে করার সময়ই পেলাম না ! ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় এসেছে তখনই একটা ধাক্কার মত খেলাম !
বাসায় এসে দেখি নিশি আমাদের ঘরের সোফার উপর বসে আছে মাথা নিচু করে । বাবা তাকে কি যেন বলেই চলেছে ! আমি প্রথমে বাবার কোন কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না ! যে কয়েকটা শব্দ কানে এল তার কিছুই মাথায় ঘুকলো না !
আমি মায়ের কাছে গিয়ে বলল
-কি ব্যাপার নিশির কিভাবে এল ?
-তোর বাবা নিয়ে এসছে !
-মানে কি ? বাবাই না বলল যে দেখা না করতে তাহলে ?
-নিশির বাবার মারা যাওয়ার কথা শুনে আর স্থির থাকতে পারে নি ! কিভাবে কিভাবে জানি খোজ বের করেছে নিশি কোন হোটেলে আছে । জানিসই তো বাবা পারে না এমন কোন কাজনেই । সেই হোটেলে গিয়ে নিশিকে নিয়ে এসেছে । আমি তোকে কয়েকবার ফোন দিয়ে ছিলাম ! তুই ধরিস নি ।
-ব্যস্ত ছিলাম !
এই কথা বলতে বলতে বাবা ডাক দিলেন ! আমি তার সামনে গিয়ে দালাম !
-তোরা নাকি কি ডিভোর্সের কথা বলছিস ?
-হ্যা ! বাবা ! ও এই জন্যই এসেছে !
-তোদের তখন বিয়েটা কে দিয়েছিল ? আমি আর সাফায়েত মিলে দিয়েছিলাম !
-বাবা, তখন আমরা কত ছোট ছিলাম ! ঐ…..
-চুপ ! থাপড়ায়ে দাঁত খুলবো ! বেশি বুঝিস তুই ?
আমি কোন কথা না বলে চুপ করে গেলাম । দেখলাম নিশিও কোন কথা না বলে চুপ করে রইলো !
আব্বা বললেন
-সাফায়েতের বেশি ইচ্ছে ছিল তোকে ওর জামাই বানাবে ! ও আজ নেই তাই বলে কি ওর ইচ্ছার কোন দাম নেই !
-কিন্তু কোন কিন্তু না ! তোদের বিয়ের কাবিন আছে আমার কাছে ! প্রমান নেই কে বলল ! কোন কথা শুনতে চাই না !
তারপর নিশির দিকে তাকিয়ে বলল
-শুনো আজ থেকে তুমি এখানে থাকবে ! এটা তোমার বাসা আজকে থেকে । তোমার বাবা মায়ের পর আমি তোমার অভিভাবক !
নিশি কোন কথা না বলে কেবল কিছু সময় চুপ করে বাবার চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলো । আমিও কম অবাক হই নি ।
বাবা ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার পর মা নিশিকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে লাগলো !
-মিলির মেয়েটা কত বড় হয়ে গেছে । তুমি কি জানো মিলি আর আমি কত ভাল বন্ধু ছিলাম ?
নিশির চেহারায় কেমন যেন একটু আনন্দের আভা দেখতে পাচ্ছিলাম । কেন জানি মনে হল এতো দিন পর কারো আদর পেয়ে নিশি নিজেও একটু আবেগে সিক্ত হয়ে পরেছে ।
-আমার আসলে সেব কথা কিছু মনে নেই তবে মায়ের ডায়রী আপনার কথা অনেক শুনেছি !
-ও খুব কষ্ট পেয়েছিল তোমার বাবা আর অপুর বাবার ঝগড়া নিয়ে ! আসলে আমিও কম কষ্ট পাই নি ওর কাছ থেকে দুরে থাকাতে । তোমরা চলে যাওয়ার পরেও আমাদের যোগাযোগ হত ! তবে খুব গোপনে ! তোমার বাবারা যে কি শুরু করেছিল । তবে তোমরা বাইরে চলে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ রাখাটা সম্ভব হয় নি । তখনও আর এখন কার মত যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন ছিল না !
তারপর আরও পুরানো দিনের আরও কত কথা বলতে বলতে চোখ মুছলো !
তারপর ঘটনা খুব দ্রুত ঘটতে লাগলো । রাতের বেলা বাবা কোথা থেকে যেন আবার একটা কাজি নিয়ে ডেকে নিয়ে এল । আবারও আমাদের বিয়ে হল । বাবা বললেন যেন আমাদের মনে কোন রকম অস্বস্তি না থাকে । রাতের বেলা নিশি যখন লাল শাড়ি পরে আমার ঘরে এল আমি তখনও কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না !
নিশিকে হঠাৎ দেখলাম ও যেন ঠিক মানিয়ে নিয়েছে । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি এটা এক্সপেক্ট করি নি ।
-আমিও না ! তবে…..
-তবে…?
-আসলে জোড়া সেই উপর থেকে লেখা থাকে । তবে তুমি যখন প্রথম বার যখন আমাকে বললে না আমার তখন কেন জানি মনে হচ্ছিলো কাজ টা না করলেই মনে হয় ভাল হত !
-তাই ?
-হুম ! পুরানো দিন গুলোর কথা বেশ মনে পড়ছিল । তোমার মনে পরছিল । তোমার মনে আছে আমাদের পাশের বাসায় রিমন রিমু নামের আরেক টা মেয়ে ছিল । বর বউ খেলার সময় তাকে তুমি কোন দিন আমার বউ হতে দিতে না !
নিশি হেসে ফেলল !
-মনে আছে !

ঐ দিন রাতের বেলা বলতে গেলে আমরা কথা বলেই কাটিয়ে দিলাম ! ঠিক আগের মত যখন আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা একসাথে খেলা করে কাটিয়ে দিতাম ! হঠাৎ করেই পুরানো কিছু খুজে পেয়ে আবার যেন আমার নতুন একটা জীবন শুরু হয়ে গেল !
 

Users who are viewing this thread

Back
Top