পাপের অংশীদার
..........................
আল্লাহর রহমতে যৌবনে পদার্পণ করার আগ পর্যন্ত আমার জীবন ছিল কাঁচের মত স্বচ্ছ, জলের মত নির্মল। তাতে ছিল না কোন পঙ্গিলতা কিংবা কলঙ্কের কালো দাগ। কিন্তু তারুণ্যে পা রাখার সময় গুলোতে আমার কচি হৃদয়ে জন্ম নিল জনৈক চাচাতো বোনের জন্য ভালোবাসা। প্রথম দিকে আমি তার ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করতাম এবং পড়ালেখার খোজখবর নিতাম। এক সময় আমার হৃদয় রাজ্য দখল করে নিল তার ভালোবাসা। আমি আটকা পরে গেলাম তার প্রেমের রাজ্যে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমি আম্মুকে গিয়ে ধরলাম, তিনি যেন চাচাতো বোনের সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যাপারটি নিয়ে আব্বুর সাথে কথা বলেন। কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করলেন। বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি আব্বুর সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘ চিন্তা ভাবনার পর সিদ্ধান্ত নিলাম, বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেই সরাসরি আব্বুর মুখোমুখি হব। অবশেষে তার সাথে কথা বললাম। শুনেই তিনি আমার প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন। কারন হিসেবে বললেন, এতে আমার পড়ালেখার ক্ষতি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল শেষ করার পর তিনি এসব নিয়ে ভাববেন বলেও জানালেন।
আমার দিনগুলো কেমন মলিন ও বিষন্য হয়ে উঠল! গ্রীষ্মের প্রচন্ড প্রচন্ড তাপদাহে যেন শুকাতে লাগল হৃদয়ের ছোট্ট কাননটি। আবেগগুলো কোথায় যেন দলবেধে হারিয়ে গেল। একবার কুসঙ্গে পরে প্রথমবারের মত দেশের বাইরে সফর করার মনস্থ করলাম। হায়! এর আগেই যদি আমার মৃত্যু এসে যেত। সেখানে আমি বিভিন্ন খারাপ ও অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পরলাম। এমনকি এসব জঘন্য কাজ আমার ভালো লেগে গেল। বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল শেষ করার দিনগুলোতে আমার মনে হতে থাকে বিয়ে একটি গুরুত্বহীন বিষয়। এমনকি বিয়ের ব্যাপারে কোন চিন্তাই করতাম না আমি। শিক্ষা জীবন শেষ করে আমি শহরের বাইরে একটি চাকরীতে যোগ দিলাম। এদিকে অশ্লীল সব পাপ আমার সর্বাঙ্গ জড়িয়ে ধরেছিল, বীভৎস অপকর্মগুলো প্রতিনিয়ত আমার আমলনামার পৃষ্ঠাগুলো কালো করে তুলছিল। পাপের এই প্রলয় আরও ভয়ংকর রুপ ধারন করল, যখন আমাকে কাফেরদের একটি দেশে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ছয় মাসের একটি কোর্সে পাঠানো হল। প্রবাসের এই দিনগুলোতে আমি যা ইচ্ছে তাই করেছি। কোর্স শেষ করে আমি দেশে ফিরলাম। কিন্তু ততদিনে হৃদয় আকাশ পাপের ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। আমার উপর অভিশাপের অগ্নি বৃষ্টির বর্ষণ শুরু হয়েছে।
অবশেষে আমি জীবনের হিসাব মিলাতে শুরু করলাম। আমার সেই চাচাতো বোন এখন চার সন্তানের মা। তার স্বামী পরিপাটি শান্তশিষ্ট এক ভদ্রলোক, চেহারায় তার কল্যাণের দীপ্তি। পরম সুখে কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি দিব্যি উপলব্ধি করতে পারছি, আব্বু আমার ব্যাপারে কত বড় অন্যায় করেছেন! কিভাবে তিনি আমাকে পাপের পথে ঠেলে দিয়েছেন!! বিয়ে করে আমিও সবার মত পবিত্র ও নিষ্কলুষ জীবনযাপন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার সেই সুযোগটি কেড়ে নিলেন। কিয়ামতের দিন আমি সর্বপ্রথম তাকেই অপরাধী সাব্যস্ত করব।
সংগৃহীত
..........................
আল্লাহর রহমতে যৌবনে পদার্পণ করার আগ পর্যন্ত আমার জীবন ছিল কাঁচের মত স্বচ্ছ, জলের মত নির্মল। তাতে ছিল না কোন পঙ্গিলতা কিংবা কলঙ্কের কালো দাগ। কিন্তু তারুণ্যে পা রাখার সময় গুলোতে আমার কচি হৃদয়ে জন্ম নিল জনৈক চাচাতো বোনের জন্য ভালোবাসা। প্রথম দিকে আমি তার ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করতাম এবং পড়ালেখার খোজখবর নিতাম। এক সময় আমার হৃদয় রাজ্য দখল করে নিল তার ভালোবাসা। আমি আটকা পরে গেলাম তার প্রেমের রাজ্যে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমি আম্মুকে গিয়ে ধরলাম, তিনি যেন চাচাতো বোনের সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যাপারটি নিয়ে আব্বুর সাথে কথা বলেন। কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করলেন। বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি আব্বুর সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘ চিন্তা ভাবনার পর সিদ্ধান্ত নিলাম, বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেই সরাসরি আব্বুর মুখোমুখি হব। অবশেষে তার সাথে কথা বললাম। শুনেই তিনি আমার প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন। কারন হিসেবে বললেন, এতে আমার পড়ালেখার ক্ষতি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল শেষ করার পর তিনি এসব নিয়ে ভাববেন বলেও জানালেন।
আমার দিনগুলো কেমন মলিন ও বিষন্য হয়ে উঠল! গ্রীষ্মের প্রচন্ড প্রচন্ড তাপদাহে যেন শুকাতে লাগল হৃদয়ের ছোট্ট কাননটি। আবেগগুলো কোথায় যেন দলবেধে হারিয়ে গেল। একবার কুসঙ্গে পরে প্রথমবারের মত দেশের বাইরে সফর করার মনস্থ করলাম। হায়! এর আগেই যদি আমার মৃত্যু এসে যেত। সেখানে আমি বিভিন্ন খারাপ ও অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পরলাম। এমনকি এসব জঘন্য কাজ আমার ভালো লেগে গেল। বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল শেষ করার দিনগুলোতে আমার মনে হতে থাকে বিয়ে একটি গুরুত্বহীন বিষয়। এমনকি বিয়ের ব্যাপারে কোন চিন্তাই করতাম না আমি। শিক্ষা জীবন শেষ করে আমি শহরের বাইরে একটি চাকরীতে যোগ দিলাম। এদিকে অশ্লীল সব পাপ আমার সর্বাঙ্গ জড়িয়ে ধরেছিল, বীভৎস অপকর্মগুলো প্রতিনিয়ত আমার আমলনামার পৃষ্ঠাগুলো কালো করে তুলছিল। পাপের এই প্রলয় আরও ভয়ংকর রুপ ধারন করল, যখন আমাকে কাফেরদের একটি দেশে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ছয় মাসের একটি কোর্সে পাঠানো হল। প্রবাসের এই দিনগুলোতে আমি যা ইচ্ছে তাই করেছি। কোর্স শেষ করে আমি দেশে ফিরলাম। কিন্তু ততদিনে হৃদয় আকাশ পাপের ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। আমার উপর অভিশাপের অগ্নি বৃষ্টির বর্ষণ শুরু হয়েছে।
অবশেষে আমি জীবনের হিসাব মিলাতে শুরু করলাম। আমার সেই চাচাতো বোন এখন চার সন্তানের মা। তার স্বামী পরিপাটি শান্তশিষ্ট এক ভদ্রলোক, চেহারায় তার কল্যাণের দীপ্তি। পরম সুখে কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি দিব্যি উপলব্ধি করতে পারছি, আব্বু আমার ব্যাপারে কত বড় অন্যায় করেছেন! কিভাবে তিনি আমাকে পাপের পথে ঠেলে দিয়েছেন!! বিয়ে করে আমিও সবার মত পবিত্র ও নিষ্কলুষ জীবনযাপন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার সেই সুযোগটি কেড়ে নিলেন। কিয়ামতের দিন আমি সর্বপ্রথম তাকেই অপরাধী সাব্যস্ত করব।
সংগৃহীত