What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

যেভাবে করবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স (1 Viewer)

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,762
Messages
23,256
Credits
825,322
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
kANLlPt.gif


বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য মতে, দেশে এই মুহূর্তে চলাচল করা বাস, মিনিবাস ও হিউম্যান হলারসহ মোট নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৯। এর বিপরীতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক আছে প্রায় ২০ লাখ। এ ছাড়া বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাকি সাড়ে ১১ লাখ গাড়ি চালায় শিশু, কিশোর এবং চালকদের হেল্পাররা। পরে তারা বিভিন্নভাবে অসৎ উপায়ে বের করছে লাইসেন্স।

নতুন আইনে কী থাকছে?

শিক্ষাগত যোগ্যতা : আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। নতুন আইনের খসড়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চালকের কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাসের শর্ত রাখা হয়েছে।
সহকারী হতেও শিক্ষাগত যোগ্যতা : আগের অধ্যাদেশে সহকারীদের লাইসেন্সের কথা থাকলেও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত ছিল না। নতুন আইনে চালকের সহকারীরও থাকতে হবে পঞ্চম শ্রেণি পাসের সার্টিফকেট। সহকারী হতে বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্সের বিধান তো থাকছেই।
নূন্যতম বয়স : ব্যক্তিগত গাড়ি চালনার জন্য চালকের বয়স আগের মতই অন্তত ১৮ বছর রাখা হয়েছে। তবে পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর।

নতুন আইনে লাইসেন্স না থাকলে কী ধরনের সাজা হবে?

নতুন আইনের খসড়ায় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে অনধিক ছয়মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড দেয়া হবে? আগের আইনে এই অপরাধের জন্য তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
সাজা হবে সহকারীরও : চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে নতুন আইনের খসড়ায়।
নিষিদ্ধ মোবাইল ফোন : নতুন আইন পাস হলে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না চালক। এ আইন ভাঙলে এক মাসের কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার : ছয় মাসের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে এমন অপরাধের ক্ষেত্রে চালককে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে।
বিধি অমান্যে পয়েন্ট কাটা : প্রস্তাবিত আইনে লাইসেন্সে থাকবে মোট ১২ পয়েন্ট। বিভিন্ন বিধি অমান্যে কাটা যাবে এই পয়েন্ট। পয়েন্ট শূন্য হলে বাতিল হবে চালকের লাইসেন্স।
দুর্ঘটনার সাজা দন্ড বিধিতে : দুর্ঘটনার জন্য শাস্তি দেয়া হবে দন্ড বিধি অনুযায়ী। নরহত্যা হলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড। হত্যা না হলে ৩০৪ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদন্ড হবে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটালে ৩০৪ (বি) ধারা অনুযায়ী তিন বছরের কারাদন্ড হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা:

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বয়স নূন্যতম ২০ বছর এবং অপেশাদারের জন্য নূন্যতম ১৮ বছর হতে হবে। লাইসেন্স দেয়া হয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে। প্রথমে বিআরটিএ থেকে বা তাদের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ও মেডিকেল সার্টিফিকেট ফরম নিতে হবে। এরপর আবেদনপত্রটি নিজ হাতে এবং মেডিকেল সার্টিফিকেটটি একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রটি তিন কপি স্ট্যাম্প ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএ'র যে সার্কেলের আওতাভুক্ত সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন। লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রথম ক্যাটাগরিতে ৩৪৫ টাকা ও দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ৫১৮ টাকা বিআরটিএ'র নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এরপর বিআরটিএ'র দেয়া সময় অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এক্ষেত্রে তিন ধরনের পরীক্ষা নেয়া হয়।

প্রথমত, জিগজ্যাগ টেস্ট, দ্বিতীয়ত র‌্যাম্প টেস্ট ও তৃতীয়ত রোড টেস্ট দিতে হবে। তবে ভারী যানবাহন যেমন ট্রাক, লরি এসবের জন্য লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই একটি হালকা মোটরযানের লাইসেন্স থাকতে হবে এবং তিন বছর পার না হলে ভারী যানবাহনের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে না। লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আবার একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করে স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন, রেজিস্টার্ড ডাক্তারের মাধ্যমে মেডিকেল সার্টিফিকেট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জন্ম সনদ বা পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি, নির্ধারিত ফি (পেশাদার ১৬৭৯ টাকা ও অপেশাদার ২৫৪২ টাকা) বিআরটিএ'র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন ও সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে। লাইসেন্স ১০ বছর পরপর নবায়ন করাতে হয়। তবে পেশাদার লাইসেন্স পাঁচ বছর পরপরই নবায়ন করাতে হয়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top