What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা এবং কেন এই ডিম খাওয়া এত জরুরি। (1 Viewer)

mahabub1

Member
Joined
Mar 4, 2018
Threads
93
Messages
103
Credits
13,877
পৃথিবীতে যত প্রকার খাদ্য উপযোগী ডিম আছে তার মধ্যে কোয়েল পাখির ডিম গুনে মানে এং পুষ্টিতে সর্বশ্রেষ্ট। আমাদের সমাজে র্ফামের মুরগীর ডিম বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যার মধ্যে প্রাণের কোনো স্পন্দন নেই। কারণ এইগুলি মোরগ ছাড়া ডিম। এর বাচ্চা হয় না। অপর পক্ষে কোয়েলের ডিম বাচ্চা উৎপাদন করতে সক্ষম তাছাড়া পুষ্টিগুন ও অন্নান্য ডিম থেকে অনেক অনেক শ্রেয়।
৪০ বছর পার হলেই ডাক্তারের নির্দেশ থাকে মুরগীর ডিম খাওয়ার ব্যাপারে সর্তক থাকুন। কারণ নিয়মিত মুরগীর ডিম খেলে কলোস্ট্ররেল বেড়ে হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বয়স্ক লোকদের এই অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং অতীব সুস্বাদু খাদ্য ডিম খাওয়া থেকে বিরক্তি ভাবে বিরত থাকতে হয়। অথচ কোয়েলের ডিম নিসংকোচে যে কোনো বয়সের মানুষ অর্থ্যাৎ বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা খেতে পারে।
এতে ক্ষতির কোনো কারণ নেই বরং নিয়মিত কোয়েলের ডিম গ্রহণ করলে অনেক কঠিন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ হতে পারে। বিভিন্ন দেশে কোয়েল পাখির ডিম নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং সব জায়গা থেকে গবেষকরা কোয়েলের ডিম খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
একজন ফাঞ্ছ ডাক্তার জিন ক্লড ট্রুফিয়ার বিভিন্ন রোগীর উপর কোয়েল পাখির ডিম থেরাপী হিসাবে ব্যবহার করে অভূত ফল পেয়েছেন। এটা নিশ্চিত যে, কোয়েল ডিম খাদ্য হলেও শরীরে ঔষধ হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসা বিশেজ্ঞদের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, কোয়েল ডিম ঔষধ হিসাবে খেয়ে বিভিন্ন প্রকার রোগ যেমন- হার্ট-ডিজিজ, নানা ধরনের কিডনী রোগ, অতিরিক্ত ওজন, র্দুবল রোগ প্রতিরোধ, পাকস্থলীর নানা রকম রোগ, ফুসফুসের নানা রকম রোগ, স্মৃতিশক্তি হ্রৃাস, রক্তশুণ্যতা, ডায়াবেটিস, পুরুষত্বহীনতা এবং উচ্চ কলোস্ট্ররেল ইত্যাদি কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া নিরাময় হয়।
কেন কোয়েল পাখির ডিম খাবেন-
★ এই ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে, এই ডিম শরীরের সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।
★ মুরগীর ডিমের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরল ১.৪% আর মুরগীর ডিমে ৪% এবং প্রোটিনের পরিমান মুরগীর ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী।
★ কোয়েল ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী,
আয়রন ও ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী, ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
★ কোয়েলের ডিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
★ হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
★ কিডনী এবং লিভারের কর্মদক্ষতা দুর্বল থাকলে সবল করে।
★ হজম শক্তি বাড়ায় এবং এসিডিটি কমায়।
★ মস্তিষ্ক সতেজ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি সবল রাখে।
★কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
★ বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়।
★ দুর্বল বাচ্চা এবং বৃদ্ধরা প্রতিদিন ২/৩ টি কোয়েল পাখির ডিম গ্রহণ করলে ৩/৪ মাসের মধ্যে সবল হয়।
কেন কোয়েল পাখির ডিম এত সমাদৃত ?
কোয়েল ডিম প্রাণীজ খাদ্য দ্রব্য হলেও এর মধ্যে প্রটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে, এই ডিম খেলে শরীরে সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
মুরগীর ডিমের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরেল যখন ১.৪% তখন মুরগীর ডিমে ৪% চর্বি জাতীয় উপাদান থাকে ও মুরগীর তুলনায় তিন ভাগের একভাগ এবং কুসুমে প্রটিনের পরিমান মুরগীর থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী।
ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমান তুলনা করলে আরও উৎসব্যঞ্জক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
কোয়েল ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী।
ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী।
আয়রন পাঁচ গুণ বেশী।
ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে অ্যালাজিক প্রতিক্রিয়াকে বিনষ্ট করে।
এছাড়া শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনেন ভিটামিন, মিনারেল, এবং এ্যামাইনো এসিড, কোয়েল ডিমে বিদ্যমান। যার কারণে কোয়েল ডিম ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা নিয়ে গবেষকদের কোন মতপার্থক্য নেই।
সকালের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ৪/৫টা কোয়েল ডিম থাকলে দেহ যন্ত্রাদির কার্যক্রম যে ভাবে উন্নত করে ।র্হাটের কার্যক্ষমতা উন্নত করবে।
কিডনী এবং লিভারের কার্যক্ষমতা দুর্বল থাকলে সবল করে।
হজম শক্তি বাড়াবে এবং এসিডিটি কমাতে সাহায্য করবে।
ব্রেন সব সময় সতেজ থাকবে এবং স্মৃতিশক্তি সবল রাখবে।
সব বয়সের লোকদের পূর্ণজ্জীবিত করবে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমর্ত্তার বিকাশ ঘটাবে।
দুর্বল বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা প্রতিদিন ৪/৫ টা কোয়েল ডিম গ্রহণ করে তবে ৩/৪ মাসের মধ্যে তার শরীরে পূর্ণ শক্তি ফিরে আসবে।
কোয়েল ডিম দিয়ে চিকিৎসা
যে কোনো গুরুতর জটিল রোগের সুস্থ্যতা শুধু কোয়েল ডিম ঔষধ হিসাবে গ্রহণ করে তার সুস্থ্যতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।
কোয়েল ডিম ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করার নিয়ম
রোগের তীব্রতা, সময়কাল, বিপদজনক এবং গুরুতর অবস্থার উপর ভিক্তি করে রোগ নিরাময়ের সময়কাল এবং দৈনিক ডিম গ্রহনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। যেমন- ৬০, ৯০, ১২০ এবং ২৪০ টা ডিম কত দিনের মধ্যে খেতে হবে।
১ বছর থেকে ৭ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ৬০ টা ডিম নির্ধারণ করে ৩০ অথবা ২০ দিনের জন্য। অর্থ্যাৎ প্রতিদিন ২টা বা ৩টা করে খেতে দিতে হবে।
৮ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ৯০ টা ডিম ৩০ দিনে খেতে হবে অর্থ্যাৎ প্রতিদিন তিনটা করে।
১১-১৫ বছর বাচ্চাদের ৯০ টা ডিম ৩০ দিনে অর্থ্যাৎ প্রতিদিন ৩ টা করে খেতে হবে।
১৬-১৮ বছর বয়সীদের জন্য ১২০ টা ডিম ২৬ দিনে খেতে হবে।
প্রথম দিন – ৩ টা
দ্বিতীয় দিন – ৩ টা
তৃতীয় দিন – ৪ টা
পরের দিন গুলি ৫ টা করে ডিম খেতে হবে।
বয়স্কদের জন্য ২৪০ টা ডিম ৪৯ দিনে নিচের নিয়ম অনুসারে খেতে হবে।
প্রথম ৩ দিন – ৩ টা করে ডিম খেতে হবে।
৪র্থ দিন – ৪টা
পরের দিন গুলিতে – প্রতিদিন ৫ টা করে ডিম খেতে হবে।
ডিমগুলি প্রতিদিন খালি পেটে কাঁচা খেতে হবে। ডিমগুলিকে প্রথমে গরম পানিতে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর কাঁচা ডিমে সামান্য মধু এবং কয়েক ফোটা লেবু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ডিমের সংখ্যা
বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি, বিপাকীয় কার্যক্রম এবং স্নায়ু তন্ত্রের বিকাশের জন্য Ñ ১২০ টি ডিম প্রয়োজন।
বয়স্ক লোকদের শরীরের ধীর অধোগতি, বিভিন্ন তন্ত্রের ভারসাম্যতা এবং সুস্থ্য থাকতে Ñ ২৪০ টি ডিমের প্রয়োজন।
চামড়ায় নানা ধরনের র‌্যাসের জন্য – ১২০ টি
লিভারের কার্যক্রম সবল করতে – ২৪০টি
মুত্রাশয় জনিত সর্ব প্রকার রোগের জন্য – ২৪০ টি
দুর্বল হজম শক্তির জন্য – ১২০ টি
ব্াঁত এবং বাঁতজ্বরের জন্য – ২৪০ টি
অতিরিক্ত ওজন কমাতে – ২৪০ টি
হৃদ রোগের জন্য – ২৪০ টি
এইডস এর জন্য – ২৪০ টি
অ্যাজমা – ২৪০ টি
এক্জিম্যা – ২৪০ টি
এর্লাজি – ২৪০ টি
আলসার – ২৪০ টি
এ্যাসিডিটি – ১২০ টি
রক্ত শূন্যতা – ২৪০ টি
ডায়াবেটিস – ২৪০ টি
 

Users who are viewing this thread

Back
Top