What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

জ্যাক দ্যা রিপারঃ রহস্যময় বিখ্যাত সিরিয়াল কিলার (1 Viewer)

SoundTrack

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
530
Messages
13,427
Credits
283,450
Recipe pizza
Loudspeaker
প্রত্যেকটা মানুষেরই কিছু না কিছুনা দক্ষতা থাকে, থাকে শখ, থাকে প্যাশন। যদি তার নাম সিরিয়াল কিলিং হয় তবে অবশ্যই তা ভাল শোনাবেনা। হয়তো আপনার আশেপাশেই এমন কেউ লুকিয়ে আছে জানেন না। হয়তো পরমূহুর্তেই আপনিই হতে পারেন টার্গেট। এমনই ভয়ংকর আশংকা নিয়ে ১৮৮৮ সালে লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল ডিসট্রিক্টের লোকজনকে চলাফেরা করতে হত। যার কারিগর ছিল জ্যাক দ্যা রিপার। যাকে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় সিরিয়াল কিলার, যাকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায় নি।

উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে আইরিশ অভিবাসীরা এবং ১৮৮২ এর দিকে রাশিয়া পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া থেকে ইহুদিরা লন্ডনে আসতে থাকে। তার ফলে পূর্ব লন্ডনে জনারণ্য হয়ে উঠতে থাকে। তাদের মাঝে বেশীরভাগই ছিল দরিদ্র ইহুদী। ময়লা আবর্জনা, নোংরা,গরীব, অতিরিক্ত জনগণ, বস্তি বসতি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্বারা ঘেরা একটি শহর হয়ে উঠে হোয়াইট চ্যাপেল। তাদের ছিলনা স্বাভাবিক জীবনধারণের মত সঙ্গতি। তার ফলে অধিকাংশই মানবেতর জীবনযাপন করত। ফলশ্রতিতে বাধ্য হয়েই অনেক মেয়েকে পতিতাবৃত্তিতে নামতে হয়। এইখানে তাই গড়ে উঠে ৬২ টি পতিতালয় আর পতিতার সংখ্যা ছিল প্রায় ১২০০।

JDRBSK_001.jpg


নারীর উপর সহিংসতা এত বৃদ্ধি পায় যে একজন লোকের দ্বারা কতজন খুন হয়েছে তা জানার উপায় নেই। ২ এপ্রিল ১৮৮৮ সাল থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৯১ পর্যন্ত লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ১১ টি হত্যাকাণ্ডের তথ্য পাওয়া যায়। পুলিশ এটিকে "হোয়াইট চ্যাপেল মার্ডার" নামে অভিহিত করে। এহেন অরাজক অবস্থায় নতুন করে একটি আতংক নেমে আসে। আতংকের নামে জ্যাক দ্যা রিপার। এই ১১ টি খুনের মাঝে পাঁচটি খুনের জন্য দায়ী করা হয় জ্যাক দ্যা রিপারকে। এই পাঁচটি খুনকে বলা হয় ক্যানোনিকাল ফাইভ।

ক্যানোনিকাল ফাইভের শিকার পাঁচজন নারী হলেন ম্যারি অ্যান নিকলস, অ্যানি চ্যাপম্যান, এলিজাবেথ স্ট্রাইড, ক্যাথরিন এডোস, মেরি জেন ক্যালি। এদের মাঝে মেরি ক্যালি ছাড়া বাকি চারজনই ছিল পতিতা।

হোয়াইট চ্যাপেলের বাকস রো এলাকায় ১৮৮৮ সালের ৩১ শে আগস্ট রাত ৩ টা ৪০ মিনিটে নিকলসের লাশ পাওয়া যায়। ধারালো চাকুর সাহায্যে গলায় দুটি আঘাত করা হয়েছে যার ফলে তা ফেড়ে গেছে। তলপেটের নিচের অংশ নিখুঁতভাবে কেটে নিয়েছিল খুনি।

তার ঠিক এক সপ্তাহ পরে হ্যানব্যারি স্ট্রিটের একটি বাড়ির পিছনের দরজায় ১৮৮৮ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টার দিকে অ্যানি চ্যাপম্যানের লাশ পাওয়া যায়। তার গলাটিও ঠিক আগের হত্যাকাণ্ডের মতই একইভাবে দুটি আঘাত করে ফেড়ে ফেলা হয়েছিল। তার তলপেট কেটে উন্মুক্ত করা ছিল। পরে দেখা যায় তার জরায়ু পুরোটাই কেটে ফেলে দিয়েছিল খুনি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি একটি কালো চুলের এক উসকোখুসকো লোকের সাথে তাকে শেষ দেখা গিয়েছে। এই দুইটি খুন এই অঞ্চলের অধিবাসীদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।

JDRBSK_002.jpg


এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর, ১৮৮৮ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর এলিজাবেথ স্ট্রাইড ও ক্যাথরিন এডোসের লাশ পাওয়া যায়। স্ট্রাইডের লাশ পাওয়া যায় দ্যূত-ফিল্ডস ইয়ার্ডে রাত একটায়। তার কাঁধে প্রধান ধমনীর বাম পাশ থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এইবার তলপেট অক্ষতই ছিল। ধারণা করা হয় খুনির তাড়াহুড়ার কারণে এমনটি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী জানায় এক উসকোখুসকো লোকের সাথে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে তাকে।

এর ঠিক ৪৫ মিনিট পরেই মিট্রে স্কয়ারে এডোসের লাশ পাওয়া যায়। বরাবরের মতই গলা কাটা এবং তলপেটে বাম কিডনি ও জরায়ু কেটে নেওয়া হয়েছে। এডোসের রক্তাক্ত এপ্রনের কিছু অংশ একটি বহুতল বস্তির সামনের প্রবেশদ্বারে পাওয়া যায়। এর ঠিক উপরেই ইহুদিদের বিরুদ্ধ লেখা একটি গ্রাফিতি আকা ছিল। তবে সেটা খুনিদেরই আকা ছিল কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। মানুষের মনে প্রচণ্ড আতংক ছড়িয়ে পড়ল।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top