বিল্টু আর বিল্টুর বউ ভোরে হাটতে বেরিয়েছে। হঠাৎ বিল্টু দেখতে পেলো একটা কুকুর তাদের দিকে তেড়ে আসছে।
নির্ঘাত কামড় দেবে বুঝে, বিল্টু হঠাৎ তার বউকে দু'হাতে মাথার ওপর তুলে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। কামড়ালে তাকে কামড়াক। বউ-এর গায়ে যেন আঁচড় না পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে কুকুরটি কখনও পড়েনি। তাই ঘাবড়ে গিয়ে বার কতক ঘ্যাঁক ঘোঁক করে ধমক দিয়ে ফিরে গেলে। বিল্টু তার সুন্দরী বউকে নিচে নামালো। বিল্টু ভাবলো, তার একটা গিফট পাওনা হল বউ-এর কাছ থেকে।
কিন্তু বউ তো রেগে মেগে অস্থির! চিৎকার করে বলছে, 'আজ পর্যন্ত কোনও মানুষ দেখিনি, যে কুকুর তাড়াতে ইট পাটকেলের বদলে নিজের বউকে ছুঁড়ে মারতে চায়।
দুই বিবাহিত বন্ধু বিল্টু আর দুবলোর মধ্যে কথা হচ্ছে -
বিল্টু: আচ্ছা দুবলো! বল তো সিনেমার জীবন আর বাস্তব জীবনের মধ্যে পার্থক্য কী?
দুবলো: এইটা বুঝলি না! সিনেমায় অনেক ঝক্কিঝামেলা পেরোনোর পর বিয়ে করতে হয়। আর বাস্তব জীবনে বিয়ের পর অনেক ঝক্কিঝামেলা শুরু হয়!
বল্টু : তুই তোর বউয়ের সাথে ঝগড়া করিস ?
পল্টু : হ্যাঁ, করি। তবে প্রতিবার ঝগড়ার শেষে ও এসে হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসে পড়ে।
বল্টু : বলিস কী ! তারপর ?
পল্টু : তারপর মাথা ঝুঁকিয়ে বলে, ‘খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসো। আর মারব না।'
জজ সাহেবঃ যখন এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল তখন কি তুমি সেখানে উপস্থিত ছিলে?
সাক্ষীঃ জী হ্যাঁ।
জজ সাহেবঃ তোমার এই ঝগড়া থেকে কি ধারনা হলো?
সাক্ষীঃ হুজুর আমি জীবনেও বিয়ে করব না
বাবা ছেলেকে বলছেঃ প্রতিদিন সামান্য ব্যাপার নিয়ে চিত্কার করে বাড়ি মাথায় তোলা তোর মা আজকে এতো চুপচাপ বসে আছে কেন রে?
ছেলে : তেমন কিছুনা বাবা । মা আমার কাছে লিপস্টিক চেয়েছিল, কিন্তু আমি শুনেছি গ্লু স্টিক ।=
…
বাবা : গড ব্লেস ইউ সান !!
মৃত্যুর আগ মুহূর্তে রহিম সাহেব বলছেন তাঁর স্ত্রীকে,
‘ওগো শুনছ, আমি তোমার
কাছে আজ কিছু সত্যবলে যেতে চাই।’
স্ত্রী: ‘বলো।’
রহিম সাহেব: ‘তোমার সঙ্গে মিথ্যে বলতে আমার
একদমই ভালো লাগত না।
তবু, কখনো কখনো মিথ্যা বলতে হয়েছে।
খাটের নিচে একটা কাঠের বাক্স দেখতে পাবে।
যখনই আমি তোমার সঙ্গে কোনো প্রতারণা করেছি,
তখনই আমি ওই বাক্সে একটা করে ডিম রেখেছি,
যাতে মৃত্যুর আগে তোমার কাছে
আমার মিথ্যার হিসাব দিয়ে যেতে পারি।’
রহিম সাহেবের স্ত্রী খাটের নিচ
থেকে বাক্স বের করলেন।
দেখলেন, বাক্সের ভেতর একটা
কাগজের প্যাকেট আর তিনটা ডিম।
স্ত্রী: ‘প্রিয়তম! তুমি সারা জীবনে
আমার সঙ্গে মাত্র তিনবার মিথ্যা বলেছ?!
যাও তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম।
কিন্তু এই কাগজের প্যাকেটে কী?’
রহিম সাহেব: ‘কাগজের প্যাকেটের
ভেতর পাঁচ হাজার টাকা আছে।
যখনই ডিমের সংখ্যা এক হালির
বেশী হয়েছিল, আমি সেগুলো বিক্রি করেছি!’